রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০

Upokontha sahitya patrika-27/12/2020

 Upokontha Sahitya Patrika - 27/12/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 27/12/2020, রবিবার
               সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


মিষ্টিকথা
   অগ্নিমিত্র

কী দারুণ সৃষ্টি, বাংলার মিষ্টি!..
বাংলার মিষ্টি যে আমাদের কৃষ্টি ।
সন্দেশ ভালো লাগে নানা স্বাদে গন্ধে..
চমচম মুখে পুরি, বিনা কোনো ধন্দে ।
গরম গরম পান্তুয়া পেলে আমি
চাইনা যে আর কোনো উপহার দামী ;
তবে সবথেকে আদি সেই রসগোল্লা ,
চুপচাপ খেয়ে নিই, করি না তো হল্লা !..
সুগার ও কোলেস্টেরলকে ভয় নেই,
দিনে একখান খেয়ে নাচি ধেই ধেই !
জিলিপির মোহ আমি ছাড়তে পারি না ..
তার সাথে রাবড়িও আমি যে ছাড়ি না ।
কষ্ট করেও লাইন দিয়েই কিনবো,
গন্ধ ও স্বাদেই যে মিষ্টি চিনবো।
আরো কত মিষ্টি ছড়িয়ে ছিটিয়ে
আছে চারদিকে, তাই আশ মিটিয়ে
মিষ্টিচরিত লিখে যাব আমি দেখো,
এই কথাটি আমার মনে রেখো ।।





চলো বিদ‍্যালয়ে যাই
বিপ্লব গোস্বামী

আয়রে সখা আয়রে সখী
বিদ‍্যালয়ে যাই,
সেথা পড়ি-লিখি,হাসি,খেলি
বড় মজা ভাই।

নিয়ম মাপিক পড়াশোনা
নিয়ম মাপিক খেলা,
গুরু মশাইর আদর-স্নেহে
কাটে সারা বেলা।

পড়ার সময় আদর করেন
দুষ্টামিতে ধমক,
বকাটে সব বড্ড পাজী
সরাক্ষণ বকবক।

আয়রে সখা আয়রে সখী
বিদ‍্যালয়ে যাই,
যেথা সত‍্য,নিষ্ঠা,সহিষ্ণুতার
সদা শিক্ষা পাই।






ভগবানের দূত যিশুর বাণীর এখনকার  প্রাসঙ্গিকতা
নরেন্দ্র নাথ নস্কর

প্রভূ যিশুর আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবার নয়।

মানুষকে সেবা করতে গিয়ে, মানুষের চেতনা ফেরাতে গিয়ে, যীশু  তত্কালীন শাসক ও ধর্ম রক্ষার ধ্বজাধারীদের হাতে যে লাঞ্চনা পেয়েছিলেন তা এযুগের সাধারণ মানুষ ধারণাও করতে পারবেন না।

শুধু লাঞ্চনা নয়, অকল্পনিয়  অত্যাচার তাকে সেই সময় সইতে হয়েছিল।

ততকালীন রাজাও সমস্ত জেনেও  চোখ বুঝিয়ে ছিলেন।

তখনকার তথাকথিত ধর্মের ধ্বজাধারীদের জন্য  ও তাদের চাপে রাজা  যিশুকে বিচারের নামে প্রহসন করে, তাকে  ক্রুশবিদ্ধ করে ভয়াবহ  যাতনা দিয়ে, তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন।

যিশুর হত্যাকরিদের মত চরিত্র আজকের সমাজের বুকেও  মুখোশ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তবে প্রভূ যিশুর মত, বানী  ও মানুষের ভালবাসাকে কেউ মারতে পারেনি।

এখনও যীশুর প্রেমের বানী  ও উপদেশাবলি  আজকের দিনেও একইরকম ভাবে প্রযোজ্য।

হিংসায় উত্তাল এই পৃথিবীতে মানুষের মনে ভাতৃত্বের ভাব জাগাতে, তার জীবন আদর্শ, বানী এখন বা ভবিষ্যতেও প্রাসঙ্গিকতা আছে ও থাকবে।




মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
১ ।ঘরের টানে

ঘরের
টানে এতদিন
ঘুরেছি চরকির মত
পটের মত নিজেকে ধরেছি
মেলে প্রতিদিন একটু একটু করে
নতুন মাটির প্রলেপে ঘর হয়েছে খোলতাই।

জানিনা কেমন করে হারিয়ে গেল রোশনাই
অবাঞ্ছিত আমি রয়েছি  কোণের ঘরে
বিছানাকে শুধু আঁকড়ে রেখেছি
শরীরে ব‍্যাধির মত
ডাক প্রতিদিন
বাইরের।

২ ।পথের যীশু

হাজার
যীশু প্রতিদিন
পড়ে থাকে ফুটপাতে
শীতের দিনে জোটেনা জামা
খিদের পেটে জোটেনা তাদের আহার
বড়দিনে তবু যীশুকে নিয়ে আদিখ‍্যেতার বাহার।

যীশু মানেনা সমাজের এই বৈষম্য অনাচার
তার জীবন দান পাপের প্রতিকার
ঘুচলে পাপীদের পাপের পরিসীমা
আসবে যীশু শীতরাতে
মিটবে ঋণ
রাজার।





এক চাষী
আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট গ্রামে বাস করতো রহমত চাচা তার পরিবার ছিল বেশ বড়‌। রহমত চাচা মাঠে কাজ করে চার ছেলে সবাই ছোট থেকেই বাবার সাথে উত্তর দিকের সুবিস্তীর্ণ মাঠে কাজ করে সারা বছর। প্রতি সপ্তাহে মুন্সিগঞ্জের হাটে গিয়ে বিভিন্ন সবজি নিয়ে বসে ওরা  যা উপার্জন হয় তা একটা অংশ নিজেরা দৈনন্দিন সংসারের কাজে লাগান আরেকটি অংশ সঞ্চিত করে রাখেন আরেকটি অংশ গ্রামের প্রান্তিক মানুষগুলোর জন্য দু'বেলা দু'মুঠো ভাত তুলে দেয় তাদের হাতে এইভাবে ওরা দিনগুলি কাটায় বছরগুলি কাটায়। দেখতে দেখতে রহমত চাচার পরিবারে সুখ শান্তিতে ভরপুর হয়ে ওঠে গ্রামের মানুষগুলো তাদের কাছে কাজ করতে আসে সেই রহমত চাচা সবাইকে আপন করে নিয়ে বেঁচে থাকে আজীবন সেই গ্রামে। সবুজ শস্য শ্যামলা গ্রামে বেশ পারস্পারিক মেলবন্ধন সহযোগিতা মধ্য দিয়ে ওরা বেঁচে থাকে আজীবন।সবার মুখে মুখে চাষী পরিবার নামে সবার পরিচিতি হয়ে ওঠে।  এরপর বেশ কয়েকটা বছর কেটে যায় নতুন রূপে সেজে ওঠে ফসলে। সেদিন ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছে রহমত চাচা জীবনের শেষ সময়ে এসে উপস্থিত হয়েছেন তখন বেলা বারোটা আজান শুরু হয়েছে পূর্বপাড়ায় রহমত চাচা পারছিলেন না ফেরার দেশে গ্রামে বেশ শোকের আবহ তৈরি হয় কোথায় যেন সূর্যের নিস্তেজ হলুদ আভার আলোর মত দূরের মাটির সাথে যেন বিলীন হয়ে যায়। তার যে উদার মন তার যে ফেলে যাওয়া স্মৃতি তার যে সাহায্য সবাই মনে রেখেছিল মনের মনিকোঠায় আজীবন। এইভাবে সেই চাষী ও তার পরিবার গ্রামে এক অনন্য কৃতিত্ব‌ নিয়ে বেঁচে ছিল আজীবন।






চির বঙ্গ স্পেশাল
    মম

পাটালি গুড়।
কাঁঠালি কলা।
ও উচ্চারণ করে কথাবলা।
গাওয়া ঘিয়ের লুচী।
নাওয়া হলে তবেই সূচি।
অষ্টম প্রহরের কীর্তনের সুর।
নৃত্যকলা।
পুরনোকে আঁকড়ে থাকা।
বুদ্ধিতে চির পাকা।
সাধারণ বেশবাস।
ভ্রমণ বারোমাস।
অম্বল রোগ।
শ্রী মহাদুর্গা নবমিতে মাংসের প্রসাদ ভোগ।
কম্বল ঢেকে মাথা পর্যন্ত শীতের ঘুম।
প্রিয় চিলেকোঠার রুম।
সম্বল গীতাঞ্জলি, কথামৃত, গীতা।
বাগানে নীল অপরাজিতা।





বর্ষার এক রাত
শ্রীকান্ত মালাকার

আকাশ হাসে বাতাস গাই
জীর্ণ পাতা ঝরে যায়।
শ্রাবণ মাসে আষাঢ়ে মেঘে
বৃষ্টি ধারা ঝরে তাই।

দক্ষিণ কোণে গোয়াল ঘরে
গাভীর পিঠে মোরগ চড়ে।
বিনা ছাতায় কাজ সেরে
শরীর কাবু হল জ্বরে।

জমা জলে মশার চাষ
ঝোপেঝাড়ে সর্পের বাস।
উঠোন শুকাতে লাগবে তুষ
নইলে পিছলে পড়ে হইবো লাশ।

দিঘি পুকুর কানাই কানাই
বন্যার আভাস দিচ্ছে জানাই।
ব্রাহ্মণপাড়ায় কার বিয়ে গো?
নিঝুম রাতে শুনলাম সানাই।।







কাকের ধর্ম 
সুস্মিতা দে

একটি কাককে খাবার দিলাম
চাড়টি নিজের পাতে খানিক
ফেলা ভাত।দশটি কাক এসে
হাজির হলো একটি  কাকের ডাক।
একটি কাক মারা গেলে হাজির
করে দশ কুড়ি কতো কাক।

মানুষের  জীবন নহে কাকের
মতো নয় ।তাই মানুষের 
পেটে খাবারের  হাহাকার
তাই তো শেষ যাত্রার সময়
মানুষ ভাবে মানুষের অভাব
জ্বলজ্বলকরে মানুষের মাঝে
মানুষের প্রয়োজন আজ ।

জনহিতকর কাজ সৃষ্টি
করে তাদের নাম আজ
সবার স্মরণে তাই তো
মহাপুরুষর বানি আজো
ইতিহাস তাখোদিত আছেন
মানুষের জন্য মানুষের
প্রয়োজন সেই কথা বলে ।

1 টি মন্তব্য: