সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 21/12/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 21/12/2020


উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 21/12/2020

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:- 21/12/2020, সোমবার
               সময় :- রাত 09 টা. 30 মি:


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


      পর্ণমোচী
         পিনাকী  মুখার্জী
 
         জাঁকিয়ে  যখন  কনকনে শীত
              বইছে   হাওয়া  উত্তুরে  !!
          কাঁপছে  হাওয়ায়  পর্নমোচী , দেখা
                 আদুড়  গায়ে  রোদ্দুরে  !!

                এসেছে  শীত ,  মর্মর  শুনি
                     তবু  আনন্দে  নাচি  !!
               নূতন  রূপে আসবে জীবন
                      সবুজ  কচি - কচি  !!

              পোশাক  বদল  নয়তো  স্বভাবে ,
                      যজ্ঞে  পূর্ণ   আহুতি  !!
                 আসতে  হবে  নব নবরূপে ,
                      যজ্ঞই   তার  নিয়তি  !!

                  সাথী  ঝরাপাতা , ঐ শুকনো
                    ডালে ,  আগুনের  ফুলকি  !!
                    লক্ষ বুকে জীবনের নামে
                         লেখা  হল  উল্কি  !!





আমি তাহাদের কবি
বিপ্লব গোস্বামী

আমি কবি ভাই ভিখারিনীর ছেলে;
আমাকে পাবি তোরা দীন জনের মেলে।
আমাকে পাবি তোরা কৃষাণের মাঠে;
আমাকে দেখবি তোরা মাঝিদের ঘাটে।
আমাকে দেখবি তোরা ঠেলতে ঠেলা গাড়ী;
আমাকে পাবি তোরা মুচীদের বাড়ী।
আমাকে পাবি তোরা রাখালের সনে;
আমাকে দেখবি তোরা ধেনু সনে বনে।
আমাকে দেখবি তোরা হাল নিয়ে মাঠে;
আমাকে পাবি তোরা কুমারের হাটে।
কামার,কুমার,ছুতর সবই আমার সাথী;
ফুঠপাতের হাটে মোরা নিত‍্য দোকান পাতি।





পবিত্র ভালোবাসা
     -শান্তি দাস

স্রষ্টার সৃষ্টি ভালোবাসা  নির্মল শাশ্বত, সুন্দর অমলিন।
এই প্রেম ভালোবাসা‌ বাহ্যিক সৌন্দর্যে নয় অন্তরের আকর্ষণ।

প্রেম ভালোবাসা জীবনের অঙ্গ এক অনন্য আবেগ,
কখন ও করে বিধ্বস্ত কখন ও আশ্বস্ত চিরন্তন সত্য।
মা বাবার ভালোবাসা স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ, অবিনশ্বর।

পরিণত যৌবনে বসন্তের ছোঁয়া,
প্রণয় বিরহের শাশ্বত প্রেমের নব অধ্যায়।
ভালোবাসা ত্যাগের জীবনকে করে ঐশ্বর্য্যবান
জীবনকে করে দুর্বিনীত গতিশীল।

ভালোবাসার রঙ মেঘলা আকাশে কখনো রামধনু,
কখনো সন্ধ্যার দিবাকর, অমাবস্যার রাত প্রদীপ তারা,
যামিনীর আকাশে মনোলোভা চাঁদ এটা চিরন্তন।

ভালোবাসা অন্তরের অন্তঃস্থলে অনুভব করা,
মনের গভীরে বিনে সুতোয় গাঁথা অদৃশ্য বন্ধন,
জীবনের পরিপূর্ণতার আবাস্থল,প্রাপ্তি দুর্বার প্রেমসুধা।

কর্মক্ষেত্রে পারস্পরিক প্রেরণা ভালোবাসা,
হয় কল্যাণকর, সম্পর্ক হয় নিগূঢ়।
আবহমানকালের সৃস্টি তাই রেখেছে করে মহান
শিল্প, সাহিত্য  সৃজনশীল স্থাপত্য ভাস্কর্যে।






                এই শীত
           হামিদুল ইসলাম
             
শীত শীত করে
পাগল হয়েছিলাম একদিন
এখন ঘরের দুয়ারে শীত
শীতে আমি নিদ্রাহীন  ।।

শীত আমার প্রেয়সী
শীতের জন‍্য‍ে দাঁড়িয়ে থাকি পথের বাঁকে
কুয়াশা মাখা প্রভাত
হাতছানি দিয়ে প্রতিদিন আমায় ডাকে ।।

আমি প্রেয়সীর কাছে যাই
প্রাণ খুলে সামনে দাঁড়াই
মন ভরে ওঠে
শীতের জন‍্যে হাত বাড়াই  ।।





অভিনব শো-য়ে
বদরুদ্দোজা শেখু


অভিনবত্ব-মাতাল আমি ধ্বনি-আলোকের শো-য়ে
বসেছি সন্ধ্যায় লাল কেল্লার অন্দরে, ইতিহাসের শুঁড়িপথ ব'য়ে
উঠে এলো টগবগে ছুটন্ত অশ্বের হ্রেষা, সংগীত -নৃত্য-মহলের ঝংকার
চুড়ি ও নূপুর-ধ্বনির  টুংটাং অনুরণ  থেকে ঝলসিত অস্ত্রের টংকার
ঘটনা-পরম্পরা ইমারতগুলো থেকে, এক ঘন্টার অনুপুঙ্খ মহড়ায়
উচ্চকিত হলো স্নায়ুতন্ত্র আবিষ্ট বিহ্বল , যেন চোখ রগড়ায়
আঁধারে শ্বাপদকুল, পুষ্পিত রমণীকুল হামাম-মহলে
যমুনা-বিলাস করে সোহাগে আদরে , ইশারায় ফিসফাস কথা বলে ।

মুঘলশাহীর আলেখ্য ঘটনাক্রম শেষ হলো, সময়ের গ্রন্থিগুলো থেকে
কতো কিছু ঝ'রে পড়লো পলকে পলকে, প্রত্নলোকে নিয়ে - গেলো ডেকে
রুদ্ধশ্বাস শো-য়ের ব্যঞ্জনা, আনমনা কখন্ হয়েছি মনে নাই
মোহাবিষ্ট ব'সে আছি অতীত-রচনাকারী শিল্পিত সভায়
শ্রোতারা সবাই উঠে গেছে একে একে , আমি ব'সে আছি ---
'চলিয়ে বাবুজী' -- মার্শাল ডাকলো এসে স্নায়ুচর বিস্ময়ের কাছাকাছি - - -






অনুগল্প
মাঠের সেই তেঁতুল গাছ
   আব্দুল রাহাজ

গ্রামের মধ্যে পূর্বদিকে সুবিস্তীর্ণ মাঠ সেখানে আছে বহুযুগের তেঁতুল গাছ তার সামনে কিছুটা দূর গিয়ে একটা স্কুল।স্কুলের ছেলে মেয়েদের টিফিন বেলা কাটে ওই তেঁতুল গাছ তলায়। গ্রামের বেশিরভাগ ছেলে-মেয়ের ছেলেবেলা কাটে তেঁতুল গাছের নিচে খেলা করে ‌‌। গ্রামের প্রবীণ মানুষেরা গ্রীষ্মকালে ছেলেমেয়েদের নিয়ে তেতুল গাছের গল্প করতেন। সেদিন ছিল পূর্ণিমার দিন আলী চাচা সিদ্দিক করিম রহিম আল আমিন সবাইকে নিয়ে গল্প করছে। করিম বলল দাদু আজকে তেঁতুল গাছের গল্প শুনবো ও আচ্ছা আচ্ছা শোনাবো একটু হেসে নিলেন হো হো করে ‌। আলী দাদু শুরু করলেন সেদিন মেলার দিন আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে মেলায় গিয়েছিলাম সেদিন বাড়ি আসতে রাত হয়েছিল আমাদের মধ্যে আমার এক বন্ধু মরেনি দেখতে পেলেও তেঁতুল গাছের তলায় অদ্ভুতভাবে কি একটা জ্বলছে আমরা তখন দৌড়ে ছুটে অন্য রাস্তা দিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে দৌড়ে বাড়ি ফিরলাম। তারপর আমার দাদুর কাছে ওই তেঁতুল গাছের এক অদ্ভুত গল্প শুনলাম নাকি তেঁতুল গাছ তলায় সোনার কলসি ও তার পাশে সাপ আছে একবার একটা লোক এসে ওটা নেওয়ার চেষ্টা করলে সাপের কামড়ে তার প্রায় সবাই হা করে শুনতে থাকে‌। এদিকে এশারের নামাজের আজান শোনা যাচ্ছে ওরা দৌড়ে সবাই বাড়ি চলে গেল এই তেতুল গাছের কথা শুনে আর কেউ আর তেঁতুল গাছ তলায় খেলতে যেত না তারপর থেকে তেঁতুল গাছ বড় বড় গাছের সাথে জড়িয়ে বিশাল আকার ধারণ করল ওখানে এখন সাপের বাস গ্রামের মানুষেরা আর কেউ যায় না মোটামুটি পাশে একটা পুকুর ছিল তাই ওর নাম হল মাঠপুকুরের তেঁতুল গাছ‌‌।







গদ্য কবিতা   
      উপাধি প্রাপ্ত শাল
  সুস্মিতা দে

আজ খুব শীত লাগছে
গায়ে চাদর টি মুড়িয়ে নে।
রাখা চাদর ঘরে
এই টি চাদর নহে ।
এই টি শাল বলে।
দেখি দেখি খুকি শাল কি?

এই শীতে শরীরে গরম দেয়
এই টি শাল সবাই অবাক চোখে
তাকিয়ে দেখে কি অপূর্ব শোভা
সুন্দর কারুকাজে শাল
মোলায়েম কতো?

এই খুকি কোথায়
পেলি শাল। বকবেনা
মাগো কাল  নদীর ধারে
গাছের নীচে হারিকেন
  আলোর তলায়
একজন বুড়ো মানুষ
বসেছিলতিনি আমাকে
  আমার গায়ে জড়িয়ে দেন
    আমি চাইনি মাগো ।
    তিনি কে জানো? তিনি হলেন
    স্বয়ং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর
   মহাশয়ের কাছ থেকে পাওয়া
              এ শাল।

শাল টি কে ব্রিটিশ
সরকার সন্মানিত
করেছিলেন উপাধি সরূপ
আমি  তখন নদীর
তীরে বসে উনি দিয়েছিলেন।
গ্রামবাসী দেখে নিশ্চিত হন
বোঝেন উনি কেউ নয় তা
দয়ার  সাগর বিদ্যাসাগর
মহাশয়ের উপাধিপ্রাপ্ত শাল
খুকির শতো ছিদ্রো শাল দেখে
তিনি নিজের শাল দিলেন তবেই
তফাৎ কি? কে? 
দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর ।
জনহিতকর কর্ম সৃষ্টি করে ধর্ম ।

1 টি মন্তব্য: