উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 12/12/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 12/12/2020
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:- 12/12/2020, শনিবার
সময় :- রাত 09 টা. 40 মি:
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
ফিরে আসি
ডাঃ তারক মজুমদার
আমার চিন্তা গুলো
গভীরে প্রবেশ করলে
আমি স্হির থাকি---- ।
বাণের জলে যায় ভেসে আমার
স্বপ্নের বাড়ি--।
ঝড় বৃষ্টির সঙ্গম হলে শেষ
ঘোলা জলে ধরতে আসে মাছ
সুযোগসন্ধানী মানুষ---।
আমি ফিরে আসি বারবার
মায়াবী জাগ্রত মোহনায়-।
জীবন এই রকম বটে
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
মোমবাতির মতো জীবন আমাদের,
নিজেকে পুড়িয়ে আলো দিতে হয় অন্যদের,
বেঁচে থাকা মানে কিছুটা যন্ত্রণা,
অনেক অনেক পথ চলা,
হাসির আড়ালে থেকে যায় কতো কথা না বলা!
পদ্মপাতার জলবিন্দুর মতো সবার জীবন বুঝি?
দুঃখের পরে সুখ লুকিয়ে থাকে?
তবুও কি আমরা কোথায় যেন সুখ খুঁজি?
জীবনের কত স্বপ্ন ছিল,
সব পূরণ কোথায় হলো?
যৌবনে যাকে ভালোবাসা যায়,
সবাই কি আর তাঁকে এই জীবনে পায়,বলো?
আমি আছি আমার মতো,তুমিও কি বন্ধু তাই?
অনেক কিছু পেয়ে যেন,কার জন্য মনে সেই সুখ আর নাই?
—————————————————
শিশির কণা
শান্তি দাস
শরতের আকাশ মৃদু মৃদু হালকা বাতাস,
ভোরের সূর্যে ঘাসের উপর শিশির গুলো ভাসে।
স্নিগ্ধতা ভরা সকালে বিন্দু বিন্দু শিশিরে,
নক্সীকাঁথার মাঠের ভিতর ঘাস গুলো ভিজিয়ে।
এমন করে যখন রোদ্দুর নামে মন খারাপের গায়ে,
শিশির কণা নূপুর জড়িয়ে ধরুক সবুজ পাতার পায়ে।
মাঠের ভিতর হাজার শিশিরের ভীড়ে,
ঘাসগুলো সব চুপসে আছে নয়ন ধরে ধরে।
হেমন্তের এই মশরুমে শিশির কণা ঘাসের গাঁয়ে গাঁয়ে,
সুর্য যখন উঠবে শিশির গুলো শুকিয়ে যাবে পায়ে পায়ে।
সূর্যের তাপে ছড়িয়ে যখন পড়েছে সারা মাঠে,
শিশির গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে কৃষকেরা নামছে ক্ষেতে।
বিপ্লব গোস্বামীর তিনটি কবিতা
তুমি কে
বিপ্লব গোস্বামী
তুমি কে ? জানিনা ,
দেখেছিলাম পাহাড়ী এক গাঁয়।
আজো তুমি ভেসে ওঠো
মনের আয়নায়।
নীল শাড়ি ছিল গায়
পায়েল বাঁধা এক পায়।
আজো তুমি ভেসে ওঠো
মনের আয়নায়।
আরোও তোমার ছিল সাথী
সবার মুখে মিষ্টি হাসি।
সবার হাসি হল বাসী
তোমার হাসি মন উদাসী।
তুমি কে ? জানিনা ,
হাত ভরা বালায়
গলা ভরা গয়নায়।
আজো তুমি ভেসে ওঠো
মনের আয়নায়।।
ওরা স্বার্থপর
এত দিনে বুঝিলাম
ওরা স্বার্থপর !
স্বার্থের লোভে সবই
পারে ওরা।
ভুলে যায় প্রেমের দর।
পূজার লোভে ওরা
খেলে প্রেম খেলা।
পূজা শেষে পূজারীরে ওরা হানে শত অবহেলা।
ওরা স্বার্থপর মীরজাফরের জাত
স্বার্থ ফুরালে পূজারীরে ওরা
সজোরে মারে লাথ।
ওরা লোভী , লোভী ওদের মন
এক জন থাকতে
ওরা চায় অন্য জন।
ওরা বিশ্বাস ঘাতক
ওরা পাষাণ !
নীলকণ্ঠ কবির অশ্রু লেখা
ওদেরই দেওয়া দান।
আমার চাওয়াগুলো
আমার চাওয়াগুলো
চাওয়া হয়ে থেকে যায় গোপনে !
পাওয়া হয়ে আসে না জীবনে।
আমার স্বপ্নগুলো
স্বপ্ন হয়ে থেকে যায় নয়নে !
স্বপ্ন ,বাস্তবে আসে না জীবনে।
আমার আশাগুলো
প্রতীক্ষায় স্বপ্ন দেখে সুখে
আশা , বাসা তবু বাঁধে না এ বুকে।
চেয়েছিলাম সুখী হতে
সুখটাকে ধরে।
সুখ কি কভু বাসা বাঁধে
চীর ধরা দিলে ?
জন্ম যার বেদনার দহে
জীবন যায় তার বেদনা সহে।
মোহিনী
পিনাকী মুখার্জী
তোমার মনের চেনা মাধুরী
ঘিরে , মেলা প্রত্যাশা !!
জাঁকিয়ে শীতেও শৈত্য নাশা
তোমার উষ্ণ ভালোবাসা !!
মোহিনী কলস হাতে দাঁড়িয়েছ ,
শীতের আমেজ দিতে !!
হিমেল হাওয়ায় সেই হাতছানি ,
শীতের মুঠো হতে !!
বাতাসে ভাসে আমোদ , যত
বেলা বেড়ে যায় !!
মনের মাধুরী দূর থেকেও
বাঁধে , এক আত্মীয়তায় !!
ফল্গুধারায় বাঁচিয়ে রাখা , শুধু
ভালোকে গোপন মনে !!
পেয়েছ যেটুকু তাকেই গড়েছ ,
মিঠে করে পরাণে !!
রাত্রি অগাধ
হামিদুল ইসলাম
বন্ধুর জন্যে
ফুলশয্যা সাজাই
মনের গভীরে বয়ে চলে নদী
নির্দ্বিধায় ।।
আত্মগ্লানিতে পোড়ে মন
অশান্ত পৃথিবী
মৌচাকে ঢিল ছুড়ি
মধুর আশায় ।।
মধুতে ভরে যায় মুখ
নির্জীব পুরুষকার
বন্ধুকে প্রতিদিন ভুল বুঝি
একমুঠো যন্ত্রনায় ।।
পথের উপর দেখা
বন্ধুর সাথে
অবহেলিত গানের আসর
তবু বন্ধুকে পেয়ে যাই ।।
বন্ধুর জন্যে স্বপ্ন সাজাই
অন্তর ফাঁকা মাঠ
বন্ধু দাঁড়িয়ে থাকে
বিভৎস রাত্রি অগাধ ।।
ওদের গ্রাম
আব্দুল রাহাজ
ওই যায় ছুটে চলে ছোট ছোট পাখির দল দূর আকাশের কোলে
ওই আঁখি নদী তারপরে তিল ক্ষেত ওই রামু দের গ্রাম
সবুজ শ্যামলে ভরা চারিদিকে গাছপালায় ঢাকা
ওদের সেই গ্রাম
চারিদিকে সবুজের সঞ্চার মিলেমিশে থাকে ওরা
ছেলে মেয়ে গুলো কাটায় আনন্দে ঝিমলি নদীর তীরে খেলা করে
ওরা করেনা ঝগড়া ওরা মিলেমিশে থাকে প্রকৃতির মায়ের কোলে ওদের গ্রাম যেন মায়ের সমান হয়ে উঠেছে।
দুলছে ভারত ভূখণ্ড
আমিরুল ইসলাম
দুলছে ভারত ভূখণ্ড,
চারিদিক লাল,
রক্তে মানুষ লন্ডভন্ড।
বিদ্রোহীরা ঘুমন্ত উপত্যকা,
বিভীষিকাময় মানব জীবন
রক্তের ঘ্রাণে মুখরিত বায়ু,
সম্প্রীতির অকাল মরণ।
গঞ্জে গঞ্জে রোজই গঞ্জিত হয়,
'তোর আইন মানি না'
মানুষ দেখি ঢের ঢের,
প্রতিবাদী তো দেখি না।
ধোঁকাদারি চলছে সবেতে--
ভারতকে করছে ছারখার
নিভে গেছে প্রতিবাদী আগুন
মধ্যদুপুরও ঘন আঁধার।
চক্ষু ফেঁটে ঝর্না ঝরে,
সারা দেহে অনাবৃষ্টি,
লেগেছে পেটে ক্ষুধার আগুন
তাই ধরেছি বজ্র মুষ্ঠি।।
দ্বিতীয় শ্রেণী না ক্লাস টু?
সুস্মিতা দে
দুই মেয়ে একটি মেঘলা
অপরটি মেখলা একটা
উওরে গেলে অপরটি দক্ষিণে ।
মেঘলা আকাশ দেয় উঁকি ঝুঁকি
মেখলা অর্থনীতিতে মেধাবী ।
চাহিদা যোগান নিয়ে থাকে ।
মেঘলা ইচ্ছেমতো ঝড়ে
সব আনাজ নষ্ট করে
দিলে নিরামিষ খাবে না
কি করি মা এই দুটি কে
নিয়ে? আসলে খাবে ইলিশ
ভাজা আর তেল তোর মতো
দুইটি মেয়ে খালি সমস্যা
মানুষ কে নাজে হাল করা।
একটি রেডিও তে চোখ দিয়ে
মহালয়া দেখবে অপরটি টিভি
তে কান দিয়ে মহালয়া শুনবে।
তোর মতো তোমার মেয়েরা যে
মা বলে?
একটি বিদ্যালয় গেলে অপর
টি স্কুলে যায় বলে দুই টি
তর্কে বহুদূর পর্যন্ত যাবে,
বিদ্যালয় বললে বলবে
ইংরাজি মিডিয়ামে পড়ি ।
অন্যটি ইস্কুলে যাবে তাই
বলে আমি বাংলা মিডিয়ামে
পড়ি। অজানা অচেনা মানুষ
কে বিভ্রান্ত করে কোনটি ঠিক
আর কোনটি ভুল?
অচেনা মানুষ কে বাড়ি ঠিকানা
ভুল দেখিয়ে দেবে না
নিজেদের অঙ্গীকার রক্ষা
করবে বোঝা পড়া আছে।
তা বেশ বেশ সুমতির বেশ
চলবে ? চলবে চলবে চিন্তা নেই।
চমৎকার আয়োজন । সুন্দর বৈচিত্র্যময়
উত্তরমুছুন