শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 31/10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 31/10/2020

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন-31/10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-31/10/2020, শনিবার
               সময় :- রাত 8 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

Necessary
         Sohini Shabnam

People fall in love easily
with them who listen to them.
Nowadays people are so uselessly busy,
Wandering in social media and standing online without knowing
for what they are standing.
They don't like to talk much
As they think everybody is going to mock at him and his suffering.

But some time coincidentally or rather fortunately special person came in life who is willing to hear all of your stuffs without hesitating for a single moment.
May be they like how you talk
Or like you entirely.

Whenever a dejected person finds this kind of friend,
They just want to hold that person for lifetime and the first opinion come to their mind is to propose him.
              BUT
Reality is much harder than you think.
Situation changes and that same person become busy and not has least time to listen to you.
Then the relationship become toxic.
               SO
It is better to be friends.
That person who takes cares of you earlier may be come back to you one day.
What you can do is to wait for him
             BECAUSE
Some people are like sticks  to support you whenever you need.
And make you so self sufficient that you can live your life so strongly and bravely without him.

It is not betrayal,it is the part of teaching from where you learn how to be yourself.
It is our necessary to have that friend and believe me surely there is someone for you.

Keep patience.if there is no one like that then it implies you are already sufficient for yourself baby.






বিভাগ
        হাইকু কবিতা
        শংকর হালদার

০১।
শিশিরে মুক্তো
দুর্বার শিরোপরে
তব হাসিতে ।
০২।
মুক্তির স্বাধ
মরণে নয় ওগো
অনুকম্পায় ।
০৩।
সবুজে প্রাণ
প্রাণের মাঝে ঢেউ
ঢেউতে শুদ্ধি ।
০৪।
দৃষ্টিতে ক্ষত
বিষময় বিবেক
চলনে ভয় ।
০৫।
অদুরে তুমি
স্বপন মনে হয়
হারানো ভয় ।



দার্জিলিং—কোলকাতা
           চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

সবুজ চাদরে ঢাকা এই দার্জিলিং জেলা  থেকে
ফারাক্কা হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে পলাশীর প্রান্তরের পাশ দিয়ে কংক্রিটের মহানগরী কোলকাতা যতো বার গেছি,
ইংরেজ আমলের বাংলার এই রাজধানী দেখে মুগ্ধ হয়েছি৷
কতো ধর্মের কত কর্মের কত বর্ণের লোক !
"কারো পকেট ভরা,কারো পকেট ফাঁকা"
আবার হচ্ছে কত চিকিৎসা,যাঁর যেমন আছে রোগ৷
কত নেতা,মন্ত্রী, লাল বাতির গাড়ী, ভিক্টোরিয়া, ইডেন গার্ডেন, যাদুঘর আর চিড়িয়াখানা,
মঠ, মন্দির, গীর্জা,
মসজিদ, শিয়ালদা—হাওড়া লক্ষ লক্ষ মানুষের আনাগোনা!
অট্টলিকার সারির কাছে কত বস্তি বাড়ী আছে!
অবাক কান্ড কোলকাতায় ট্রেন চলে মাটির উপরে আর নিচে৷
জলে জাহাজ আকাশে বিমান!
কত জনের জন্য কত রকমের থাকে ফরমান,
রাতের বেলা লাগে দিনের মতো,
লড়াই করে বাঁচেন মানুষ—
জীবনের পথ চলে, খেলাধুলা, নাটক— কবিতা, গল্প, উপন্যাস, বইমেলা, কত কান্ভ,
এমন সুন্দর মহানগরী কম দেখা যায়,
লোকজন তো এই কথা বলে৷






বাহন
আভা সরকার মন্ডল

প্যাঁচাদের ঘরে ঘরে চলছে কলরব
লক্ষ্মী মায়ের কাছটি থেকে এসেছে তলব ।

সেজেগুজে পূর্ণিমাতে আনতে যাবে মাকে
লক্ষ্মী প্যাঁচা এই দিনেরই অপেক্ষাতে থাকে ।

তদারকি সারে তারা থেকে দূরে দূরে
সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনেই দেখে সব যে ঘুরে ঘুরে ।

হরেক-রকম আলপনাতে ঘর-বারান্দা সাজে
নিয়ম নিষ্ঠা ভরা থাকে প্রতি খাঁজে খাঁজে ।

মায়ের কাছেই বসে তারা মাপে মতিগতি
জেনেই সেটা, ভক্ত করে তার-ও যে আরতি ।

বাবা স্বয়ং মহাদেব যার মাতা দশভূজা
বাহন হয়ে তাঁরই প্যাঁচা ধরাতে পায় পূজা ।



আরশির ব্যাথা
            এমাজদ্দিন সেখ

যদি গাছ হতে পারতাম !!
মরা পাতা  ঝড়ে যেত , উদাসীন থাকতাম l
যদি সদা বাহার হতাম  ; ---
সদাই নবীন পুষ্পে-  পল্লবে  মাতোয়ারা  প্রাণ !!
যদি, পাতা ঝড়া হতাম :----
ফি-বছর বসন্তে নব সাজে পল্লবিত  বিকশিত জীবন !!
ক্যাকটাস হলেও কাঁটার  আড়ালে সবুজ সতেজ রোইতাম ---
যেমন সহস্র কাঁটা বিন্যাসের  গহীনে ...
রস সম্পৃক্ত  ফণীমনসা  ;---
গভীর মাটি -  পাথর থেকে সংগ্রহ করে প্রাণ রস ll

আমি কেন চূর্ন কাঁচ -  মানব প্রাণ ?
কেন আছড়ে ভাঙলে সুন্দর হৃদ আরশিটাকে ?
সে আরশিয় দেখো স্বরূপ কায়া বারে বারে ---
রূপ যদি না হয় গো প্রিয় আবার ভাঙ তারে !
রূপই যদি হয় গো কালো !
আরশির  কী দোষ বলো ?




তোমার অপেক্ষায় রয়
        অনাদি মুখার্জি

প্রিয়া আজ তুমি চলে গেছো বহু দূরে,
জানিনা তোমার মন  বেঁধেছে আজ কোন সুরে !
একবার ও কি মনে পড়ে না আমার মনের কথা,
তোমার কথা ভেবে এই  হৃদয়ে জাগে শুধু ব্যাথা !
সারাদিন সারারাত আজো আছি জেগে,
কিছুতেই ঘুম আসে না আমার এই দুই চোখেতে !
তুমি বলেছিলে আবার আমাদের দেখা হবে ,
নদীর পাড়ে বসে আমি ভাবি নীরবে !
আজ খুব মনে পড়ে তোমার ঐ গোলাপি ঠোঁট,
ঐ  ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়ে ভিজেছিল আমার মন !
তোমার ঐ  শ্যাম্পু করা ভেজা চুলের গন্ধ,
যে গন্ধে আমি পেয়েছি জীবনের চলার ছন্দ !
কি এমন অভিমান হয়েছে বলো গো সাথি,
তোমার সাথে এমন ভাবে থাকতে চাই মোর সখি !
এখনো কি তুমি জোৎস্নার দেখো  প্রতি রাতে,
যে ভাবে আগে দেখতাম আমি তুমি এক সাথে !
বৃষ্টি এলে তোমার কথা বেশী মনে পড়ে ,
কলেজের ফেরার সময় ভিজে ছিলাম এক সাথে !
তোমায় ছাড়া হৃদয়ের উঠান শূন্য মনে হয়,
ফিরে আসবে জানি বলে আজো আছি তোমার অপেক্ষায় !





অনুভূতির ছোঁয়া
           নির্মল সরকার

সকল জীবন তোমার জন্য
কে তুমি ? ওগো প্রাণময় ..!
পথহারা যেন আমি ব‍্যকুল হৃদয় ।
কেমনে বলো, আপনারে শুধাই ।
আমার একটু ভালোবাসা -
তাও যদি মরে যায় !
তুমি নিষ্ঠুর না অবুঝ তা জানা নাই !
তুমি অনন্ত সুন্দর -
পবন বাহিত মনোরম দৃশ্য
হার মানে অপরূপ পৃথিবীময় !   ।

   
 

  চলাচল
       সৌরভ পুরকাইত

হিমেল হাওয়ার মতো
আমার কানের কাছে এসে
কী কথা যে বলো তুমি
কী যে কথা বলো ভালোবেসে।

শীতের দুপুর ঘেরা রোদ আসে
রাঙা আঙিনায়
মৃত সমাজের মতো
নীরবতা ঘেরে দুই পায়।

আমাদের চলাচল
শতকের আস্তরণ ঠেলে
কখনো মলিন হয়
জেগে ওঠে
নীলিমার
নীল বুক ঠেলে।

আদিগন্ত এ কি কথা
নাকি শুধু জলধির ঢেউ
বুক চিরে কথা কয়
নাকি বয়
বাতাসেতে কেউ।।





     ছেলে ভোলানো
           সুস্মিতা দে

বাজে বেদনার কান্নার সুর
সন্তান খাইনি আজ তিন চাড় দিন। আঁচে হাঁড়ি বসিয়ে মা বলে ভাত সেদ্ধ হয়নি আর একটু সবুর কর মায়ের খোকা ,

পুরোটা  মিথ্যা গল্প  বাচ্ছা কে সান্ত্বনা দিতে এই পথ মাতা অনুসরণ করে। হাঁড়ি তে ভাত নেই  অথচ ভাতের মিছে আশা  সন্তান কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে  পড়লে ক্রন্দন ধ্বনি মার কানে আসবে না ক্ষুধার্ত মা তাই ভাবে ?
মা একটু ঘুমিয়ে যাবে।
আর কতো কাল কাঙালিনী জননীরা পেটে ক্ষুধা নিয়ে তন্দ্রাবিহীন রাত কাটাবে কে জানে?

আঁধার রাতে এক খালি রুপালী আলোর ঈদের  চাঁদ উঠেছে , ঐ দেখ খোকা মা ডাকে? খোকা কি? ঘুমিয়ে গেছে  ,সাড়া নাই  মা ভয়ে চমকে উঠে । না না না খোকা  ঠিক আছে পিট পিট করে  চেয়ে মা কে দেখে?

            




বাবা-মা
    আব্দুল রাহাজ

আমাদের বাবা-মা শ্রেষ্ঠ জগত সভায় শ্রেষ্ঠ প্রতীক
নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসে তারাই এটাই হলো আমাদের বাবা-মা।
সুখ দুঃখ ভুলে হাসি ফোটায় ছেলেমেয়েদের দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেয় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারাই আমাদের বাবা-মা। সত্যিই তাদের অবদান কারো সাথে তুলনা নয় তারাই শ্রেষ্ঠ তারায়  মহান এই শ্রেষ্ঠ জগত সভায়।
কিছু অমানুষ ছেলে মেয়ে বাবা মাকে কষ্ট দেয় গায়ে হাত তোলে হে মানবজাতি তাদের বিরুদ্ধে তোমরা গর্জে ওঠো বাবা-মা সত্যিই আমাদের নয়নের মনি তারা না থাকলে হয়তো এই পৃথিবীর মায়া মুখ আমরা দেখতে পেতাম না তাদের উপর অত্যাচার বর্তমান সময়ে বহুপঠিত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন প্রতিবাদ
নেই।
তাই বলি আমাদের বাবা মাকে শ্রদ্ধা করি ভালোবাসি তাদেরকে সাহায্য করি তারাই আমাদের ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক আমাদের বাবা-মা আমাদের বাবা-মা।





হাহাকার
        মোঃআলিউল হক

পাঁচ শো বছর নত শিরে
খোদার দ্বারে লুটি
আজ সেথা নাইকো নিশান
ইট পাটকেল খুঁটি
উপন্যাসের নায়ক হলো
ভক্তের কান্ডার
রাম তুমি জাগিয়ে দিলে
রহিমের হাহাকার!

দীর্ঘ কাল ধ'রে যেথা
শির নত হলো
হায় আফশোস পেশি বলে
তাই কেড়ে নিলো!
এই কি তোমার সত্য নিষ্ঠা ?
মহা ফ্যাসাদের গুরু !
ইতিহাস ছাড়বেনা ফের
কুরুক্ষেত্র শুরু!






          কামরাঙা মন
                   হামিদুল ইসলাম
               

ছন্দের যাদুকর পান্থজনের সখা
মনের মাধুরী মিশিয়ে দুচোখ ভরে দেখে নেয়
সাদা জলের পিপাসা
তাকে চিনি
বড়ো বাজার থেকে সে কিনে এনেছিলো ভালোবাসা
আর টুকরো টুকরো মেঘ  ।

মেঘেরা কোমল হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো
ভালোবাসা নেমেছিলো
কাঁচের পিঞ্জরে
তাকে দেখে বড়ো মায়া হতো আমার
একদিন স্বপ্নে দেখি সে আমার বাসর ঘরে
কুটি কুটি করে কেটে ফেলেছে ভালোবাসার নৈঃশব্দ‍্য হাহাকার  ।

আমার দুচোখের জলে
আমি স্নান করি প্রতিদিন
কাঁচের পিঞ্জরা ভেঙে ফেলি দুহাতের মুঠোয়
মুক্ত করি কপট ভালোবাসা
ডালিয়া ফুলের ঘ্রাণ তার স্তনের বোঁটায়
মেঘের মতো ঈষৎ নীল তার কামরাঙা মন  ।





পদচিহ্ন
        উমর ফারুক

এক বুক কেঁপে উঠে
ধরিত্রীর বায়ুতে কম্পমান হৃদয়
অনুপস্থিতি আবার উপস্থিত থাকবে
চিড় ধরিয়ে বিধৃত হয়ে চলে
তুমি যেথা যাও বদলে!
পাঁচের পদচিহ্ন এক বা দুই নিবে 
কোন চাঁদের আহরিত
আলোয় উজ্জ্বল হবে  বক্ষ।
পথের রেখাচিত্র জতির্ময় করে না
জ্যামিতিক নকশা প্রণয়ন করো,
পদচিহ্ন হৃদয় হীনতার তালে
ছুরিকা হাতে প্রস্তুত!





পানিপথের চতুর্থ যুদ্ধ
      মহীতোষ গায়েন

অনাবিল জোৎস্নালোকে পড়ে থাকা মৃতদেহ সারি
সৎকার হয়নি,অতৃপ্ত আত্মারা সব অদৃশ‍্য ইতিহাসে,
যাদের সৎকার করার কথা ছিল তারা যুদ্ধ থেকে
ফেরেনি,অতৃপ্ত আত্মারা আততায়ীর খোঁজে গেছে।

আততায়ীরা নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে পড়েছে,রাত গাঢ় হয়,
অতৃপ্ত আত্মা নিরিবিলি নির্ঘুম ঘোরে,সময়ের খেয়া
বেয়ে চলে যায় সব সাক্ষী,সব আত্মা একজোট হয়ে প্রস্তুত,এবার একটা যুদ্ধ বাধবে,পতনের প্রতিশোধে।

এতদিন যারা সুকৌশলে কেটেছে যাবতীয় লাভের
ফসল,তাদের গোডাউন এবার লুটে নেবে প্রেতাত্মার দল,যে সব আততায়ীরা গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরেছে,
ডিঙিয়েছে লাশের পর লাশ,তাদের পোস্টমর্টেম হবে।

পরাজিত আত্মারা নবরূপে বিবর্তনের পথে,এখনো
পানিপথের প্রান্তরে মারাঠদের অতৃপ্ত আত্মরা ঘোরে,
আত্মারা এবার  আববদালিদের বাগানে যুদ্ধে নামবে-
সব পথ একাকার পানিপথে,চতুর্থ যুদ্ধের ডঙ্কা বাজে।







কুতুবমিনারের পাদদেশে 
         বদরুদ্দোজা শেখু


কুতুবমিনার সামনে দণ্ডায়মান ,ইতস্ততঃ
ভাঙাচুরা ইমারত , ভগ্নস্তূপ ,পাথরের চাঁই
অথবা বিধ্বস্ত কেল্লা কোনোকালের সাক্ষীর মতো
প'ড়ে আছে চারিপাশে প্রাণহীন বিপন্ন দশায় ।
পাদদেশে ইতস্ততঃ গুণমুগ্ধ মানুষের ভিড় ,
ভ্রমণ-বিলাসী কেউ , ভ্রমণকে স্মৃতির মাধবী
ক'রে রাখার প্রয়াসে ব্যস্ত কেউ তুলে রাখে ছবি ,
কীর্তির ভৌতিকতায় উচ্চকিত স্নায়ুর নিবিড় ।

চৌহদ্দির চারিপাশে লতাগুল্ম আগাছায় গাছে
পরাস্ত সত্ত্বার কিছু হৃদয়ের লজ্জা ঢেকে আছে ,
ইচ্ছা নাই পিছনে হাঁটার , তবু সপাটে সাবেকী
শাহী খানদানির খোল-নলচে পিছু ফিরে দেখি ,
ঘুরে ফিরে মিনারের পাদদেশে এসে দাঁড়ালাম
বুঝিনি কতোটা ঠিক ইতিহাস মাড়িয়ে এলাম ।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
কোজাগরী

ধনের
দেবী লক্ষীদেবী
লক্ষীলাভে কোজাগরী জাগরণ
জগতের ঐশ্বর্য  তোমারি দান
ধূপদীপ আলপনাতে  ঘর হলে আলো
তুমি করো মঙ্গল সবার হয় ভালো।

এবার দেখো ঘরের লক্ষীর মুখ কালো
রোজগারপাতি বন্ধ নিভে গেছে আলো
রেখো তাদের ঘরের মান
পেতেছে তারাও আসন
দেখো ছবি
ঘরের।

(২)

নবী দিবস

বিশ্বনবী
দিবস হচ্ছে
এবার লক্ষীপুজোর দিনে
কেউ লক্ষী কেউ নবী
আরাধনা সব জগতের মঙ্গল কামনায়
যে যার আরাধ‍্যেই পাবে পথের ঠিকানা।

ভিন্ন পথে হাঁটতে নেই কোন মানা
লক্ষীলাভ হয় যেমন লক্ষী আরাধনায়
বিশ্বনবীর পথে জোটে সব ই
লক্ষী নবীর ঋণে
জগতের পাল্টাচ্ছে
ছবি।





বিষয় :  অনু কবিতা
করোনা
      সত্যব্রত চৌধুরী

দুরু-দুরু করে বুক
আতঙ্কে শুকায় মুখ
     'করোনা' আসিল যে দ্বারে ,
অদৃশ্য শত্রুর সনে
লড়াই যে অঞ্জানে
  হার-জিত কে বলিতে পারে !!




   অসাম্য
   ডঃ রমলা মুখার্জী

লক্ষ্মী-প্রতিমা পূজিতা হন
          ধুমধাম সহকারে,
অবৈতনিক বাড়ির লক্ষ্মী
        দিন-রাত খেটে মরে।
লক্ষ্মী পূজায় ফল-মিষ্টি
         অঢেল উপাচার-
ঘরের লক্ষ্মী দাসী-বাঁদী
         কেবল অত্যাচার।
মাটির লক্ষ্মীী পুজোয় হাজার
         লোকের নিমন্ত্রণ-
অভাবী ঘরে আনাদরে মেয়ে
           অনাহারে মরণ।
মাটির লক্ষ্মী, মানবী লক্ষী
         দুয়ের এই অসাম্য,
দূর কর মাগো, আনো সাম্য,
        সব মানবীরই কাম্য।





মনে পড়ে স্মৃতি
        অশোক কুমার পাইক

মনে পড়ে আজ কাচের বয়ামে
জোনাকি ধরার খেলা,
মনে পড়ে সেই ফড়িং ধরার
নিত্য দুপুর বেলা !

মনে পড়ে আজ বাবুই পাখির
বাসা ভাঙা ডিম চুরি,
চেয়ে থাকি সেই শূন্য আকাশে
সাথীরা উড়াই ঘুড়ি !

মনে পড়ে সেই বটের তলায়
গল্প আসর চলা,
দল বেঁধে শুনি পাড়ার ছেলেরা
দাদুর গল্প বলা !

মনে পড়ে আজ উঠানে মাদুর
বিছাই গরম কালে,
মনে পড়ে সেই বড়োর শাসন
লুকাই মায়ের কোলে !

মনে পড়ে সেই সকাল বেলায়
শ্যাওলার ফুল তোলা,
মনে আছে পাঠশালা পলায়নে
গুরু দিতো কান মলা !









👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 











শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ কোজাগরী সংখ্যা-30/10/2020

 উপকণ্ঠ কোজাগরী সংখ্যা-30/10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-30/10/2020, শুক্রবার
               সময় :- রাত 6:30 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒

কোজাগরী
সুশান্ত মজুমদার

কোজাগরী লক্ষী পূজা বিশ্ব জোড়া নাম;
অর্চিত হন দেবী সকল ঘরে ঘরে,
শারদের  পূর্ণিমাতে মহা ধূমধাম;
ধন ঐশ্বর্য বৈভবে যদি ঘর ভরে!
চারিভিতে খড়িমাটি আলপনা আঁকে,
ভক্তি যোগে পূজা হয় নানা উপচারে;
নতুন বসন পরে মাতৃ মূর্তি রাখে।
ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করিবারে।

নিজ লক্ষী চুপিসারে দিয়ে বিসর্জন;
নকল লক্ষীকে নিয়ে  টানাটানি করে!
পাপান্ধ দুনিয়ায় পাপেতে মজে মন,
আসল লক্ষীর আত্মা ঘোরে চরাচরে।
নাহি জানে দোষ কিবা ছিল তার হায়,
ভ্রুণ হতে  যমরাজ  কেন নিয়ে যায় ?




    কোজাগরী
        পিনাকী  মুখার্জী
    
            মন্থন  ক্ষণে  যার  জন্ম
           সমুদ্রে  কভু বা  হৃদয়ে  ,
           অমৃতে  যবে  বিষ মিশে
           তারে  চায়  দিতে  বিষিয়ে  !!

         শতরূপা  সে  কখনো  রাস্তায়
         দ্বারে  , কখনো  বা রান্নাঘরে  !!
            কখনো  মেয়ে  রূপে বেড়ে
           ওঠা ,  বাবার  বড়  আদরে  !!

             লালসা  অযত্নে  যার  কভু
           অকাল  মৃত্যু ,  ঘৃণা  অনাদরে !!
          সেই  তোমারই  আরাধনা , মা
             এসো  ঘর  আলো  করে  !!

            জ্যোৎস্নার  অমল  আলোয় আজ
               কেটে   যাক  জমা  আঁধারি  !!
          তোমার আলোর জ্যোৎস্না ছোঁয়ায়
              যেন  ওঠে  জেগে  বিভাবরী  !!




ফিরছে ঢাকী
আভা সরকার মন্ডল

গ্রাম ছাড়িয়ে মেঠো পথে ভাসান শেষে ফিরছে ঢাকী
যেতে যেতে বলছে হেঁকে তাকে যেন মনেই রাখি ।।

আকাশ আবার নীল হবে আর কাশের ফুলটি ঢলো ঢলো
ফিরবে নিজেই একা যখন করবে শিশির  টলোমলো।।

ঢাক বাজাতে আসবে আবার দুর্গা মায়ের আশীষ পেলে
দুয়ার সে তো খোলাই পাবে  আবার বছর ঘুরে এলে।।

হেমন্ত-শীত, বসন্ত আর গ্ৰীষ্ম কাটবে আশার দোলায়
বর্ষা কেটে গেলেই আকাশ ভরবে সাদা মেঘের ভেলায় ।।
শিউলি ফুলের আমন্ত্রণ আর পদ্মপাতার হাঁকে-ডাকে
ঢাকটি কাঁধে নৃত্য ঢাকীর ফিরতি পথের বাঁকে বাঁকে।।






তুমি  আমার লক্ষী  মাতা
       অনাদি মুখার্জি

লক্ষী পূজোতে গড়ি আমি  লক্ষীর প্রতিমা ,
চালের দোকানে আর বাড়িতে হয় সেই পূজা !
ধূপ ধূনো দিয়ে শঙ্ক বাজিয়ে ঘর আলো করি ,
এই দিনে মা সবাই তোমাকে ভক্তি করে !
খিচুড়ি আর নারকেল নাড়ু হয় তোমার প্রসাদ ,
তাই আমি মা তোমাকে ভক্তি দিয়ে করি  প্রনাম !
মাগো তোমায় একটি কথা বলি আমি ,
তোমার মতোন সমাজের নারীরা পায় যেনো সন্মান !
তুমি হলে মাটির তৈরী লক্ষী মা যে আমার ,
রক্ত মাংসের গড়া নারী তো তোমার মতোন মা ,
তারা তো কারোও কন্যা আবার মাতা ,
তাদের কে সুরক্ষিত রেখো আমার লক্ষী মাতা ,
আজকে  জানাই মা তোমায় আমার এই কামনা !




বিভাগ-
    হাইকু কবিতা
শংকর হালদার

০১।
চাঁদনি রাতে
অপলক দৃষ্টিতে
তোমায় দেখি ।
০২।
ওরা কাঁদায়
নিষ্ঠুর মানবতা
সমাজ হাসে ।
০৩।
অনন্ত প্রেম
ধরা দেয় গভীরে
নিঃস্বার্থভাবে ।
০৪।
ধূ ...ধূ ...প্রান্তর ...
বিস্তর ব্যবধান
নির্জনে বসে ।
০৫।
অঝোরে বৃষ্টি
প্লাবিত দু'কুল যে ...
ধোঁয়াশা দেখি ।
০৬ ।
অশুভ নাশে
শক্তিদায়িনী রূপে ...
বছর পরে ...
০৭।
অশুভ নাশে
অশুভ নাশিনী মা
চঞ্চলা হও ।

মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

হেমন্তের রাত

শিশিরে
শিশিরে ভেজা
এই হেমন্তের রাত
চরাচর ভেসে যায় জোছনায়
ধানের শীষে শিশির জমে দুধ 
ধানের ঘ্রাণে মাতাল আজ হেমন্তের আলপথ ।

এ পথেই আসবে ঘরে লক্ষীর রথ
চাষীর ঘরে জমবে শ্রমের সুদ
উঠোন ভেসে যাবে আলপনায়
জমবে নবান্নের মৌতাত
উড়বে ধ্বজা
ভান্ডারে।

(২)

ভালোবাসা

ভালোবাসা
দিয়ে জেনো
সব জয় হয়
হিংসা নয়, ক্রোধ নয়
ভালোবাসাতেই  সংসারে সব জয় হয়
ভালোবাসাহীন সংসার তাসের ঘর জেনো নিশ্চয়।

ভালোবাসার অভাবেই দেখো সম্পর্ক হয় ক্ষয়
ভালোলাগা ভালোথাকা সব মিছে জয়
যদি তুমি চাও জয়
   বন্ধ কোরো প্রলয়
শুধু মেনো
ভালবাসা।






দেবীর আসন
          সুস্মিতা দে

মনে লাগে কষ্ট  পুরনো স্মৃতি তে হৃদয় ভারাক্রান্ত ।
বর্তমান বলে বর্তমান সংসার আগামী কাল অতীত হবে ।

বাস্তবের রূপ সংসার  জীবন আমার আপন খুশি আনন্দে আমাকে ভাসানের আনন্দ টুকু  নিতে দাও ।

দেখো চেয়ে তুষার নেই , কচি সবুজ ঘাস অবহেলিত ফুলের নানান রঙে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ রূপে।
নবীন ঘাসে লুটোপুটি অঙ্গে আমার দোলা লাগে। মনের মধ্যে কথা চলে জীবনের জীবিকা কঠিন সহজ দুই নিয়ে  মিলিয়ে চলে  ।

ঐ দেখা যায় পশ্চিমে রবি শশী দোলে । সূর্য ডুববে লাল হবে আকাশে অস্ত রাগের ছটা  পুলকিত হর্ষের  জোছনা ভরা রাত মা লক্ষী পূজা আজ  ঘরে  ঘরে । আমার ঘরের  আঁধার আলো মনের দ্বার উন্মুক্ত করে মন দিয়ে  ডাকলে মা পুজো নেবেন ,আনন্দে পুলকিত হবে হৃদয় , মায়ের গায়ে পূজার গন্ধ আসে বাতাসে ভেসে ভেসে, সবার ঘরে।
দুঃখ দূদর্শা ভরা সংকটে ভরা এই বছর সকলের ঘরে আলো দাও মা,  সবাই মিলেমিশে ভাগ করে আনন্দে দুই বেলা দু  মুঠো ভাত  যেনো ভাত খেতে   পায়।

প্রনাম  কোজাগরী লক্ষ্মী আজ।







মায়ের চিঠি
     সাফরিদ সেখ

তুই জানিস না রে বাবা আমার মন ব্যথা।
এই বাড়িতে প্রথম যেদিন আসি
ভাবিনি কোনো দিন ছেড়ে
যাবো।
আজ কেনো বলিস যাবার কথা।

যৌবন কালে হারিয়েছি যৌবন ধন।
আমি দুখের স্মৃতি বয়ে চলছি আজও
চোখের জলে কাটলো কত দিন।
আর কিছু দিন কাটলে আমি যাব নিজের দেশ।

আজ ঘুমোতে যাবার আগে একবার
মনে মনে তোর বাপের দেখা পায়।
এই ঘর এই দরজা তোর বাবার চিহ্ন।
এই সব হারিয়ে আমি কেমন এ বাঁচি।

আজও গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে
দেখি তোর বাপ যেন দরজায় দিচ্ছে টোকা।
নয়তো ডাকছে বারে বারে নাম ধরে।
নয়তো আসছে খোলা দরজায় না জানিয়ে ।

এই সব স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আর কিছু দিন
বেঁচে থাকলেই এ জনম শেষ।
                         
                   ইতি তোদের
                    অভাগা মা






💥💥  সত্য সাধনা 💥💥
           এমাজদ্দিন সেখ

প্রাচীন হলেই সত্য হবে ;---
পিতামহ  বললো বলেই বেদবাক্য  ;---
নয় সে নয় সত্যসাধক ;
সে সব শুধু মিথ্যার  বেসাতি  l
চিরন্তন  শাশ্বত  নয় ,নয় অপৌরুষেয়  কিছু ;---
এ শুধুই স্বার্থান্বেষী  , সত্যভীরুদের হুজ্জুতি  l
দেশ ,কাল ,যুক্তিপাথারে প্রগতির পথে ---
মিথ্যার ,সত্যের জন্ম আছে মৃত্যু আছে ll …

     বাস্তবে সত্যের কোনো শাশ্বত সংজ্ঞা হয় না l দেশ ,কাল ও পাত্রের Relation দিয়েই সত্যের যাঁচাই হয় l স্থান -  কাল -  পাত্রের পারস্পরিক সম্পর্কের সত্য জ্ঞানই সত্যের স্বরূপ l কোনও একটি পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যটিরও পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী l  সংগ্রামময় জীবনাবর্তে নানান ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে মানুষ যে অভিজ্ঞাতা অর্জন  করে ; --  যা সমাজ প্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা নেয় ,যুক্তি বিজ্ঞানেতার র দ্বারা বিবেচিত  সত্যকে ;  তার পরিবর্তন কে যুক্তি পূর্বক মেনে নেওয়াই  সত্যকে জানা l জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতির  সাথে সাথে সমাজ তথা সভ্যতা পরিবর্তিত ও বিকশিত হচ্ছে ও  আরও হবে  l  তাই , স্থান কালের প্রেক্ষিতে সত্য হবে অপিক্ষিক  ,, কিন্তু অব্শ্যই অবশ্যই Concrete  সত্য l

   এখন প্রশ্ন , সত্য জানার ক্ষেত্রে কী কোনো একজন ব্যক্তি ---  তিনি যত বড়ো মানুষই হোন না কেন , তাঁর ব্যক্তিগত মনীষা বা ধী-  শক্তির উপর নির্ভর করবো ;  নাকি পরীক্ষা -  নিরীক্ষা , ইতিহাস , ও যুক্তি বিজ্ঞান কে হাতিয়ার  করে চলবো ? উত্তর , অবশ্যই  আমাদের পরীক্ষা -  নিরীক্ষা ও বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করাটাই  যুক্তি যুক্ত l আবার বিজ্ঞানের অগ্রগতিও  থেমে নেই l দূরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে তার জয়যাত্রা  !  পরীক্ষা -  নিরীক্ষা'র   বৈজ্ঞানিক যন্ত্র সামগ্রীর  উন্নতির সাথে সাথে সত্যের আরও উন্নত রূপ আমরা দেখতে পাবো l এমন কি অতীতের সত্য ধারণার  সাথে অনেক ক্ষেত্রে বিরোধ হওয়া ও অস্বাভাবিক কিছু নয় l
তখন সংস্কার মুক্ত মনে প্রমাণিত  সত্যরূপকে  গ্রহণ করাই সত্যকে জানা l বস্তু জগতের ন্যায় আমাদের সমাজ জীবনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য l কারন   সমাজও প্রতি মুহূর্তে  পরিবর্তিত হচ্ছে l নিত্য নতুন সমস্যা দেখা দিচ্ছে ---  জীবনকে  কেন্দ্র  করে ; নীতি -নৈতিকতা ; অর্থনৈতিক - রাজনৈতিক পরিস্থিতি  ;  মানসিক টানাপোড়েন  ;  জীবন সংগ্রাম --  সর্ব ক্ষেত্রে ---  তার সমাধানও হচ্ছে নব নব রূপে l তাই , পরিস্থিতি পাল্টালে  সত্যের রূপও বদলে যায় l কিন্তু আমাদের  মনন , চিন্তন  ,সংস্কার পরে আছে মধ্য যুগের  অন্ধকারে l ￰অত্যাধুনিক প্রকৌশলটা বৈজ্ঞানিক চিন্তন পিছনে  ফেলে !

    এমনিতেই নানান অন্ধ বিশ্বাস , কুসংস্কার , পুরোনো ধ্যান ধারণা গতানুগতিক  ভাবে আমাদের সংস্কারের সাথে মিশে আছে l তার উপর এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী  মানুষ তাকে Perpetuate করতে চাইছে l  ফলে , সত্যানুসন্ধানী  মনটাও যেমন গড়ে ওঠে না ;  তেমনি আমাদের মধ্যে অন্ধতা , গোঁড়ামি বদ্ধমূল  হচ্ছে ;  এমন কী অনেক ক্ষেত্রে হিংস্ররূপে  তার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে !  এই পরিস্থিতিতে  আমাদের কুসংস্কারের  ঠুলি ছুঁড়ে ফেলে সত্যানুসন্ধানী মন নিয়ে বিজ্ঞান ও যুক্তি বিচারের সাহায্যে সাহসের  সাথে সত্যকে গ্রহণ করতে হবে ও জীবনে প্রয়োগ করতে হবে l এর চর্চা করতে হবে বস্তু জগতের  সাথে সাথে আমাদের আচার , আচরণ ,নীতি -নৈতিকতা , আদর্শ , মূল্যবোধ তথা জীবনের সর্ব দিক ব্যক্ত  করে l এতে সভ্যতার উন্নতির নিরিখে বিশ্বাস , লোকাচার , শাস্ত্রের সাথে বিরোধ আসতেও  পারে (  আসবেই ) ;  কিন্তু যুক্তির  ভিত্তিতে তাকেও জয় করতে হবে l এক্ষেত্রে সঠিক বিচার পদ্ধতি অবলম্বন  করাটা সবিশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  l  অর্থাৎ , Correct process of thinking and correct process of movement and act on all aspect of life দরকার l  এর জন্য যাঁরা শিক্ষার আলো পেয়েছেন সেই ছাত্র যুবকদের অগ্রণী  ভূমিকা পালন করতে হবে l কিন্তু  আক্ষেপের সাথে স্বীকার করতেই হয় ,সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী শিক্ষিতের সংখ্যাধিক্য  দেখলেও জ্ঞান ও প্রাণ প্রাচুর্যে  ভরপুর  মানুষ   গন্জ্ঞে গ্রামে moicroscopic moinority ! মেষ বৃত্তির গড্ডালিকা  স্রোতে প্রাণ ভেসে যায় l তাই কবি নজরুলের আহ্বানের  প্রতিধ্বনি  করি , ---
  " সত্যকে হয় হত্যা করে অত্যাচারের খাঁড়ায়
কে আছো ভাই সত্য সাধক  বুক   চিতে আজ দাঁড়ায় "





শিশুর প্রিয় প্রণাম নিও
      রমলা মুখার্জী

শিশুর মনে  কোমল স্হানে ঢেউ তুলে কে যায়?
'আবোলতাবোল' বাজিয়ে মাদল, তিনি সুকুমার রায়।
বই 'খাই খাই' তুলনা তো নাই অজানা কোন মন্তরে
রসেতে গড়া মজায় মোড়া, হাসে শিশুর অন্তরে।
কল্প গল্প নয় তো অল্প, 'হ-য-ব-র-ল',
'পাগলা দাশু', 'বহুরূপী' মনকে নাড়ালো।
মজার নাটক কথার চটক 'অবাক জলপান',
'ঝালাপালা', 'ভাবুক সভা' আরও কত অবদান !
তাঁর ননসেন্স, মন ডে ক্লাবে কত গুনীজন আসতেন-
সুনীতি কুমার, কবি-গীতিকার  অতুল প্রসাদ সেন।
শিশু-দোসর উপেন্দ্রকিশোর সুকুমারের পিতা-
মুদ্রনে, চিত্রনে পুত্রে দিলেন নতুন বার্তা।
বৃত্তি নিয়ে শিল্প দুয়ে শিখতে গেলেন বিলাত -
থেকে ভিনদেশে লেখেন সন্দেশে, পাঠককুল মাত।
আঁকতেন কবি মজার সব ছবি, অপূর্ব সেই কীর্তি!
কৌতুকে নেচে শিশু গেল বেঁচে বই ভরা শুধু ফূর্তি।
বুঝে শিশুমন  প্রবন্ধ, ভ্রমণ, বিজ্ঞানও ছিল সাথী-
মাত্র ছত্রিশে কালাজ্বর এসে নেভালো জীবন বাতি।
অল্প সময়ে রসেতে জমিয়ে জল্পনা জয়-নদী-
সুকুমার রায় স্বমহিমায় বহিছেন নিরবধি।





      মরীচিকা
অশোক কুমার রায়

হেমন্তের শিশির যদি হতে  !
আমি হতেম বনফুল বা ঘাস --
চুপটি করে সন্ধ্যা থেকে ঊষা .
মিলন সুখে কাটাই সারা মাস ।

তা না হয়ে হলে মরীচিকা !
ছুঁতে গেলেই উধাও দেহ- মন-
পরে থাকে দূরের পথে ছায়া.।
কথায় কথায় ভাবনাই আপন জন !




অন্য দেশান্তরের মানুষ
        আব্দুল রাহাজ

তখন হালকা হালকা শীত পড়েছে নবীন গোবিন্দের গ্রামে পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে চিলকা নদীর পাড়ে গ্রামের মানুষ পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য বিকাল বেলায় ভিড় করছে চিলকা নদীর পাড়ে এটাই ছিল এই গ্রামের সবচেয়ে অপরূপ দৃশ্য। সেদিন নবীন গোবিন্দ রা গল্প করছে এক মনে নদী পাড়ে বসে সেই সময় ওদের সামনে একদল সাদা চামড়ার মানুষ এলো ওরা দেখেই বললো কে আপনারা ওরা তখন  ইংলিশে কথা বললো গোবিন্দ কলেজে পড়ে তাই সে বুঝতে পারলো এনারা অন্য দেশান্তর থেকে এসেছেন আমাদের গ্রামে অন্য দেশের মানুষের মধ্যে একজন বাংলা বলতে পারতেন তিনি বললেন এখানে কি প্রকৃতির সুন্দর নবীন গোবিন্দরা বলল হ্যাঁ খুব সুন্দর অন্য দেশান্তরের মানুষের নাম কি ছিল জেমস লং ও জেমস প্যাটিনসন জেমস লং বললেন গোবিন্দ কে একটু থাকার জায়গা কোথায় পায় বলুন তো নবীন আর গোবিন্দ দুজন মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ এখন নবীন বললো চলুন চলুন আমাদের বাড়ি জেমস লং বললেন খুব খুব ধন্যবাদ তোমাকে নবীনদের বড়বাড়ি উপরের তলায় থাকতে দিলো জেমস প্যাটিনসন বললেন বিউটিফুল নেচার গোবিন্দ বললেন হ্যাঁ খুব সুন্দর। এর পর ওদের সাথে খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেল
গ্রামের মানুষ ওদের দেখতে আসতে শুরু শুরু করল এইভাবে প্রতিবছর ওদের গ্রামে অন্য দেশান্তরের মানুষেরা এসে ওদের গ্রামের প্রকৃত শোভাকে দেখতে আসতো। এইভাবে নবীন গোবিন্দ রা তাদের গ্রামকে এই পরিবেশটাকে অতীব সুন্দর করে তুলে অন্য দেশান্তরের মানুষদের সাথে পরিচয় করতেন আহব্বান করতেন আস্তে আস্তে গ্রামটি যেন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেল। নবীন গোবিন্দরা গ্রাম কে অন্য দেশান্তরের মানুষদের প্রচেষ্টায় বিশ্বের প্রান্তে আজীবন উজ্জ্বল হয়ে রইল ‌।







                  পাথর
               হামিদুল ইসলাম
                 

তোমার হৃদয় পাথর
ছুঁতে চায় মন
তোমার বারণ প্রতিটি মুহূর্তে  ।

স্পর্শের অনুভবে প্রতিদিন যতোই
কাছাকাছি যাই
নাব‍্যতা হারিয়ে ফেলে তোমার নদী।

তোমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আজ
অস্পৃশ‍্যতার গন্ধ
পায়ের তলার মাটি ধীরে ধীরে  আলগা হয়ে যায় ।

আমি অসহায় আজো
ফিরে আসি
আর ছোঁবো না তোমার  হৃদয় পাথর  ।

পাথর ভাঙতে চাই
পারি নে
পাথর বড়ো শক্ত হৃদয়  ।

জানি পাথরের মাঝে প্রেম আছে
আছে ভালোবাসা
সে ভালোবাসা তোমাকে চায় প্রতি নিয়ত  ।

পারে না পারে না
তুমি পাথর
তুমি পাথরের থেকেও পাথর  ।







চির প্রতিবাদী
        মোঃআলিউল হক

আমার নবীর নামে যাহারা ব্যাঙ্গ চিত্র আঁকে
কি জানি তাহারা মানুষ নাকি গো ভাগাড়ে থাকে!
ইঁদুর ছুঁচো শৃগাল কি এরাই গায়ে গন্ধ মাখা
পরের খেয়ে নিজের পেশী বাড়িয়েও পেট ফাঁকা।

ক্ষুধার জ্বালায় পাগলা কুকুর শত বার ঘেউ করে
চেনা অচেনা ক'জনারে পথে পেয়ে কামড়ে ধরে
আপনি রোগের শিকার হয়ে ;রোগ না সারিয়ে হায়
নেকড়ের মতো অপর জনে কেন কামড়াতে চায়।

কোন জ্বালা চুলকানি?
তোমার বাপের মুরাদ নিয়ে যে করে কানাকানি
তার সাথে তুমি পারোনা ব'লে অন্যকে হয়রানি? 

ফল হবেনা ভালো
আপনি কান মলো
ভুল হয়েছে ব্যাঙ্গ করা স্বীকার করে বলো।

তোমার কি যায় আসে?
মুসলিমেরা তাদের নবীরে যদি বেশি ভালবাসে!

জেনে রাখ বেইমান
তোরা কান পাতিয়া শুন
নবীরে কিছু বল্লে সহেনা ; মুমিনের জাগে খুন।

অন্যায় করিতে কহেনা ইসলাম
কেউ যদি আগে করে
শান্তির লাগি হুসাইনি দল
তলোয়ার তখনি ধরে।

খোদার কোরান ; নবি মুহাম্মদ সবি মানব হীতে
জীবনে সরল পথ দেখাতে এসেছে পৃথিবীতে।

জগতের শান্তি রচিয়াছিল আগেকার ইসলাম
জগতে আজও শান্তি গড়িতে চায়,আছে প্রমাণ।
স্বার্থ কামী ভ্রষ্ট দেশ সইতে নাহি পারে
ইসলামের ঘুন পোকা হয়ে অলক্ষ্যে ক্ষতি করে।

দু'চোখ খুলে দেখো
বিশ্বে বিষাদ ছড়ায় কারা সঠিক নজর রাখো।
কালো ধলো আর দেশ দখলে অশান্তি করে কারা
অস্ত্র বানায় বেঁচে বেড়ায় ; চলে দুনিয়াতে পাহারা।

অজ্ঞরা সব জেনে রেখো মুসলিমের নেই ভয়
খোদার সাথে সব মুমিনের আছে গোপন পরিচয়।
খোদার কোরান নবির অপমান সইবেনা মুসলিম
দুনিয়ার বুকে এক জন মুমিন রয়েছেন  যতদিন।








বলবানের সমাধির পাশে
     বদরুদ্দোজা শেখু


আশেপাশে কতো হাঁটলাম ঠিক কীসের নেশায়
ইতস্ততঃ ধ্বংসস্তূপ আর পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়ি
দেখার উৎসাহ নিয়ে পুরাতাত্ত্বিক গবেষণায়
একান্ত নিবিষ্ট কোনো পুরুষের মতো পায়চারী
ক'রে ক'রে, সংক্ষিপ্ত সময়ে যতদূর যত বেশী
দেখা যায়, ঘোরা যায় একটানা ঘোরার মেজাজে
ক্রমশঃ প্রসারমাণ অনুসন্ধিৎসার আবেশী
তাগিদে , ঠিক বলতে পারবো না , সকলি অকাজে ।

চারিপাশে অচেনার মাঝে কিছু চেনা গন্ধ পাই
জানি না এ মুখস্থ বিদ্যার কিছু ফলশ্রুতি কিনা
ছাত্রজীবনের সব বিদ্যাই যদিও অনাবাদী
প'ড়ে আছে , উঠে আসে ইতিহাস মনের পর্দায় ,
উৎকীর্ণ ফলক দেখি , সব   কিছু পড়তে পারি না ----
সম্মুখে শ্রীহীন ভাঙাচুরা বলবানের সমাধি ।।







অনুগল্প-
         লাল শাড়ি
             গৌতম ভৌমিক

আমি স্মৃতি,
কিছু দিন আগে শাড়ি দিয়ে আমার দুটি আলমারি পূর্ন হলো। প্রতিদিন আমি শাড়ি গুলোকে দেখি।
ফিট করা আয়না দিয়ে দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
লাল,খয়েরি,গোলাপী,সবুজ রঙের শাড়ি গুলো।
ছোট খাটো একটা কাপড়ের দোকান বলা যেতে পারে।  সবাই আমাকে বলে এত কাপড় কিনি কেন!
আলমারিতে আমার বেশির ভাগ শাড়ি লাল।
আমার যে লাল রঙ খুব প্রিয়।
লাল শাড়িটার সাথে কপালে একটু কুমকুম আর সিঁথিতে বাড়িয়ে সিঁদুর আর হাতে শাঁখার সহ লাল চুড়ি ওর যে খুব পছন্দ।
সে তো সব সময় বলে শাঁখা সিঁদুর নাকি মেয়েদের অলংকার। আমি ও তাই মনে করি।
আমাকে সবাই বলে এত গুলো লাল শাড়ি তুই পরে যেতে পারবি!  তখন আমার খুব রাগ হয়!
পারবো না কেন?
এই তো এক বছর হলো আমাদের বিয়ে হলো...
আমি মা হবো.....
আমার সন্তান হবে....
আমরা সবাই কত জায়গায় ঘুরতে যাবো.....
শেষ হবে না কেন!
আমার তো আরো লাগবে।
আমার পায়ে আলতা দিয়ে লালাশাড়ি পরে সব সময় লক্ষ্মীর মতো সেজে থাকতে খুব ভালো লাগে,
সে ও খুব পছন্দ করে।
জানো ও আমাকে খুব ভালোবাসে। দিনে কত বার ফোন করে অফিস থেকে তোমরা জানো!
কাজ করার ফাকে ফাকে লুকিয়ে ফোন করে,
ফোন করেই বলে আজ কী রকম সাজলে।
তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে!
হঠাৎ ওর ফোন কল....
এই শোনো,
আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি এসে পরবো
বস কে বলে রেখেছি।
আমরা দুজনে আজ ঘুরতে যাবো,
তোমার পছন্দের চাট আর ফুচকা খাবো।
আচ্ছা ঠিক আছে
তুমি রেডি থেকো কিন্তু
আর গত পূজোতে যে লাল শাড়িটা দিয়েছিলাম ঐটাই পরবে। তোমাকে খুব মানায়। দেখতে খুবই মিষ্টি লাগে। আচ্ছা হলো,
ঠিক আছে আমি রেডি হয়ে থাকবো।
ছয়টা বাজে এখনো দেখি আসছেনা
ফোনটা ও লাগছেনা।
এক ঘন্টা হয়ে গেল আমি সেজে বসে আছি।
আর ভালো লাগছে না। আজ আসুক বাড়িতে।
ওর একদিন কী আমার এক দিন!
হঠাৎ একটা অজানা কল......
স্মৃতি দেবী বলছেন...
হে...
অতনু বাবু আপনার কী হয়?
কেন!
আমার স্বামী।
আমি সিটি হসপিটাল থেকে বলছি। আপনার স্বামীর এক্সিডেন্ট হয়েছে। মৃত অবস্থায় হসপিটালে পরে আছে। এসে নিয়ে যান।
স্মৃতির চিৎকার
না.........................
অতনুর নিথর দেহ পরে রয়েছে মেঝের উপর।
অতনুর বুকের উপর স্মৃতির বুকফাটা আর্তনাদ
কই গেলে তুমি কই গেলে.............
বলো........
তুমি কই তুমি কই...............
তুমি এই ভাবে ছেড়ে যেতে পারো না আমায়!
উঠো কথা বলো!
উঠো বলছি...... উঠো......
না.......
তুমি শুধু আমার
আমাকে এভাবে ছেড়ে যেতে পারো না!
না এ হতে পারে না.......!
কয়েক মাস অতিক্রান্ত...
স্মৃতি আজও আলমারিতে শাড়ি গুলোর দিকে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে!
চোখ দুটো ঝলসানো!
মেঝের উপর বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা!







থেমে গেল সুর
         অনিন্দ্য পাল

পাখিটা গান করে। কেন?
ও কি বুলবুলি? কোকিল? অথবা ...

পাখিটা গান করে
এই পৃথিবীকে শোনাতে চায় সুর
যারা শুনতে চায়,
যারা শুনতে পারে
পাখিটা গায় তাদের সবার জন্য
পাখিটা সত্যিই "গান" করে...

সেদিনও পাখিটা গান করছিলো
সেদিনও তার গলায় ছিল আনন্দ আর সুর
বসেছিল একটা তারের উপর
কিন্তু ভুল ছিল কোথাও, কার?
যারই হোক ওটা শুধু তার ছিল না
তবে?
পাখিটা বসেছিল সেদিন
একটা আগুনের মত ধারালো কাঁটাতারের শরীরে ...

তারপর ---
পাখিটার সুর গেল বদলে
যেমনটা হয় হৃদয় চিরে গেলে অথবা
প্রিয় শব্দগুলো হারিয়ে গেলে
আরও বাতাস, আরও বাতাস যদি ঋণ নেয়
চেনা পৃথিবীর থেকে
তবে কি জুড়াবে আগুন?
তবে কি তার লাল হয়ে ওঠা পালকের রঙ
আবার হলুদ হবে ভালোবাসার মত?
অথবা বিক্ষত সেই আঘাত-গুহা থেকে ঝরবে
আরও, আরও উষ্ণ তাজা রক্ত!

এখন আর কোন সুর নেই
কোন আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে না বাতাস-শরীরে
এখন থেমে গেছে তার জাদু সঙ্গীত
এখন আর সুরের প্যাকেটে নেই কোন
কোমল আশীর্বাদ...
এখন কোন শোক নেই, নেই কোন চমক সংবাদ

আবার নতুন পাখি আসবে এই কাঁটাতারের দেশে
আবার নতুন সুর ছড়িয়ে যাবে একই বাতাসে
কিন্তু যে গানটা থেমে গেল
যে গানের মৃতশরীর এখনও ভেসে আছে
কোথাও কোন গভীর হৃদয়ে
সেই গান আর শোনা যাবে না এই মৃত্যুর দেশে
আর কোন পাখি গাইবে কি মুক্তির গান?

তবে, পৃথিবী দিতে জানে শুকনো রক্তের সম্মান।





সর্বশক্তিমানের  কাছে আনার  প্রার্থণা
          চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

ওগো সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান,
আমি আরও বিনয়ী হতে চাই,
যেন গাইতে পারি আরো
ভালো মানুষেদের আর
তোমার জয়গান৷

সবার শরীরের রক্ত লাল !
বিশ্বের দেশে দেশে,
যাঁরা বিভেদ ছড়ায় মানুষে মানুষে,
তাঁদের মনের ভুল ভাঙ্গিয়ে দিও অবশেষে৷

আমি ধন্য এই জন্য সব জাতি ধর্মের মানুষের
ভালোবাসা এই জীবনে
পেলাম,
সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান
তোমাকে আমার সেলাম৷





শেষের কথা
       অঙ্কুর মাইতি

ওরা যখন হাঁটছিল পথ
তখন তুমি এসি ঘরে।
তুমি যখন সারছো ডিনার;
মরছে ওরা অনাহারে।

যে শিশুটা তুলতে মা'কে
টানছিল তার মায়ের চাদর,
আজও সে বোঝেই যে
আর পাবেনা মায়ের আদর।

এখন তুমি ড্রয়িংরুমে
দেখছো বসে এসব খবর।
কিন্তু জেনো ঠিক অজান্তে
খুঁড়ছো নিজেই নিজের কবর।

এই যে তোমার লুকিয়ে থাকা,
মুখ ফিরিয়ে এড়িয়ে চলা,
এটাই তোমার মৃত্যু ছোবল,
শেষের কথা এটাই বলা।







👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 









বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 29/10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 29/10/2020

Upokontha Sahitya Patrika-29/10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-29/10/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- রাত 6:30 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


বাসন্তী পূজাই কি আসল দুর্গাপূজা ?
           রাজা দেবরায়

কৃত্তিবাসের লেখা রামায়ণে শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন বলেই কি আমরা শরৎকালেই 'আসল' দুর্গাপূজা করে থাকি ? 'আসল' (দুর্গাপূজা) কথাটা ব্যবহৃত হয়েছে এই কারণে যে বসন্তকালেও দুর্গাপুজো করা হয় যেটা বাসন্তী পূজা নামেই বেশি পরিচিতো । বাসন্তী পূজাটা শরৎকালের পুজোর মতো এতোটা জাঁকজমকভাবে হয়না । বাসন্তী পূজা (দুর্গাপূজা) কিছু কিছু ক্লাব বা কিছু কিছু বাড়িতে করা হয়ে থাকে ।

কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো তাহলে কোন্ দুর্গাপূজাটা আসল ?

আমরা দেখতে পাই একমাত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ ছাড়া আর কোনো রামায়ণে, এমনকি মূল রামায়ণেও অর্থাৎ বাল্মীকি রামায়ণেও শ্রীরামচন্দ্র দুর্গাপুজো করেননি । সূর্য পূজা করেছিলেন বা অন্যান্য রামায়ণে অন্য কারোর পূজা করেছিলেন, কিন্তু দুর্গাপূজা করেননি ।

তাছাড়া আরেকটা বিষয় খুব ভাবায় যে আমরা দেখতে পাই শরৎকালের দুর্গাপুজোর বিসর্জনের দিনের পরে অর্থাৎ দশমীর পরে ঠিক চারদিনের মাথায় লক্ষ্মীদেবীর পুজো করা হয় । তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে এতো কম সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীদেবীর আবার আগমণের কারণ কী ? বসন্তকালের পূজার ক্ষেত্রে কিন্তু সেই প্রশ্ন জাগে না । অনেকটা লম্বা সময় প্রায় ছয় মাসের মতো সময় পরে লক্ষ্মীপুজো হয় ।

তাহলে কি বসন্তকালের পূজাটাই অর্থাৎ বাসন্তী পূজাই আসল দুর্গাপূজা ??






  ডাকঘর
        পিনাকী মুখার্জী

     কখনো ইতিহাসে পাতায় কালঘুমে !!
       কখনো বা নীরবতায় কালো রাত্রির ,
       মেঘের ও খামে ঠিকানায় আকাশের ,
       গ্রহণ , হাতের প্রতিটি রেখার নামে   !!
     আজো  খুশিরা খোঁজে ঠিকানা ,বন্ধ খামে !!
           তখনই  ভাবি তবে কিবা দরকার ,
          মৌন কষ্টের কেবলই পাহারাদার ,
           সকল খুশি সবই কেবল বেনামে !!

      রোজ দু'বেলা খেটে তাতেই কিবা জুটে ,
       তবু তাও হায়  দু'বেলা দুমুঠো নাই ,
       চোখ খুলে দেখি ওপরে আকাশ খোলা  !!
        যুঝি ভাগ্য সাথে হাসিমুখে খালিপেটে  ,
         লক্ষ্য  একটাই   -  অন্ন চাই  প্রাণ চাই  ,
         আজো  সুখের ঠিকানারা এ  পথভোলা  !!






শব্দমাত্র
        ভাগ্যশ্রী রায়

একটা শব্দ
সাঁতরে ওঠে
জলের বুকে
তোলপাড়
পড়ন্ত ছায়া
আলো মায়া
ছুঁয়ে দিলে
একাকার
হাত ভর্তি
আশ্রয়ে
খণ্ড দুই
অবসর
মৃত্যু পিছয়
পায়ে পায়ে
শব্দমাত্র
চুরমার।








সময় বয়ে চলেছে
          অনাদি মুখার্জি

টিক টিক করে সময় বয়ে চলেছে ,
কখন যে সময় একটু থমকে দাঁড়াবে !
সেই কি কোনোদিন ও থামবে ?
আমরা তো সবাই চলার পথে থমকে দাঁড়ায়,
সময় তোমার জন্য আমার বড়োই কষ্ট হয়  !
তুমি কেনো থামোনা একটু ক্ষণ ?
সময়ে তালে তাল মিলিয়ে আমাদের হয় সকাল বিকাল।,
সব কিছু কাজ হয়ে শেষে মিলে অবকাশ !
কিন্তু কোনো অবকাশ শুধু নেই যে তার "
সময় বয়ে যায় তার নিজের মতোন তাই !
সময়ে পিছে ছুটে ছুটে আমি যে  ক্লান্ত হয় ,
আমরা সবাই সময়ে তালে  প্রতিদিনের জীবনের পথ শুরু হয় !
আজ আমরা সবাই ছুটে চলি সময় তোমার পিছে পিছে ,
তবু কেন তুমি থমকে দাঁড়ায় না একটু সুখের মাঝে ?







      একদিন প্রতিদিন
                   হামিদুল ইসলাম
                     

সংসারের মালপত্তর গুছিয়ে নিই
গুছিয়ে রাখি সংসার
পিঠের বোঝা হাল্কা করি
মনের মাঝে মেঘ গাভীর মতো চরে বেড়ায়
মনে হয় আকাশে উড়ি ।

প্রণাম ঠুকি আমার মাকে
জলে ধুয়ে দিই তার পা
আমি বেঁচে আছি এখনো
তার বুকের দুধে 
হঠাৎ নির্মেঘ আকাশে উল্কা পতন  ।

আকাশ খুঁড়ি। শূণ‍্য হাত
তবু পরাজয়ের গ্লানিতে মাথা ঘোরে যেনো কুমোরের চাক
নৈরাজ্যের রাত
পেরিয়ে যায়
ইতিহাসের পাতা থেকে ছিঁড়ে আনি প্রেম প্রতিদিন  ।

মাথা ঠুকি কংক্রিটের দেয়ালে
কেউ রাখে না খোঁজ
আমার প্রেমিকা এখন বনস্পতি
শূণ‍্য হৃদয়ে ভিক্ষে করে আমার প্রেম
জলে জলে একাকার জীবন একদিন প্রতিদিন  ।





অন্যায়ের প্রতিবাদে চলো
          মোঃআলিউল হক

লেগেছে জাতের খেলা
সারা বেলা   স্বদেশেতে।

অমানুষ মারছে মানুষ
ভন্ড ফানুস    ভূ-ভারতে।

কোন দোষ অপরাধে
মার খায় নিম্ন জাতে? 
জানিনা উত্তরেতে
এ কোন জুলুম ওদের সাথে।

সাধু যোগী গেরুয়া ধারী
সেও মহা অত্যাচারী
এ কোন ছল চাতুরী
জাত বিচারী
সাধুতার ছলনাতে।

প্রতিবাদ করিনা তাই
প্রতিকার পাইনা সবাই
অপরাধ হার হামেশাই
সীমা ছাড়ায়
দেখছি সবাই ; সব দিকেতে।

এদেশে সবাই সমান
ছুঁড়ে ফেল জাত্যাভিমান
সামনে হও আগুয়ান
শান্তি বিধান 
করিব সবার হীতে।

ধর্মের দোহাই দিয়ে
আপন স্বার্থ নিয়ে
দ্বন্দ্ব বাঁধায় যারা   শত্রু তারা
চলো ত্বরা    ভিত্তি নড়িয়ে দিতে।





সে এক রাজকন্যা
     আব্দুল রাহাজ

একটা ছোট্ট সুন্দর দেশের একটা ছোট্ট সবুজ ঘেরা গ্রাম নামটি তার অতুলপুর সেই গ্রামে থাকতো এক রাজকন্যা তাদের পরিবার এখন আর নেই সবাই বহুকাল বছর আগে গ্রামে বন্যা হয় সেখানে তাদের পুরো পরিবার ভেসে যায় সেই রাজকন্যা তখন ছিল বাইরে ওদের পরিবার ছিল রাজাদের বংশধর তাই সবাইকে রাজকন্যা বলে ডাকত। এখন রাজকন্যা তাদের সেই অর্থ দিয়ে গ্রামের মানুষদের সাহায্য করে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বিনা পয়সায় পড়ায় খুব ভালো না প্রান্তিক মানুষগুলোর সাথে বেশ মিলেমিশে থাকে এই রাজকন্যা। সবাই মিলে একদিন রাজকুমার কে জিজ্ঞাসা করল শীতের দিনে বনভোজন করবে একটু রাজকন্যা বলল বাহ বাহ বেশ ভালো করা যায় গ্রামের সকলকে নিয়ে আমরা বনভোজন করব আগামীকাল চড়াই নদীর তীরে তাই ঠিক হলো। ওপাড়ার সিন্ধু কানু নেতাই হরেন সবাই দলে দলে এল বেশ আনন্দ হল সেদিন চড়াই নদীটির দেখলো এক নতুন পরিবেশ মেলবন্ধন আর দেখল তাদের পারস্পরিকতা এইভাবে ওরা সুন্দর ছোট্ট দেশে প্রকৃতির সবুজ মায়ের কোলে বেঁচে থাকে আজীবন। রাজকন্যা যেন ওদের বিপদে-আপদে প্রভুর মত পাশে হয়ে দাঁড়ায়। এইভাবে রাজকন্যা ওদের মাঝে থেকে বেঁচে থাকে চিরজীবন। তাই গ্রামের লোকেরা রাজকন্যাকে একটা গান বলেছেন আমাদের রাজকন্যা হচ্ছে আজ সারা আমাদের পাশে  থেকে আজীবন আছে আজীবন থাকবে আমাদের দরিদ্রতা রাজকন্যা ঘুচাবে।






হিমাচল
       বদরুদ্দোজা শেখু


হিমাচলে যাচ্ছি, রোমাঞ্চ পাচ্ছি সর্পিল সড়কে,
নীচে তাকাচ্ছি, গোঁত্তা খাচ্ছি ক'লজের ধড়কে ।
বিচিত্র ঝোপ ছোপ ছোপ ছোপ পুষ্প-পসরা
সাজিয়েছে, তায় বিহ্বল-প্রায় আঁকছি খসড়া,
পাহাড়গুলোকে কল্পনালোকে লাগছে অশ্ব
ছুঁবে অম্বর, উড়ছে ধূসর ধূমোল ভস্ম  
দূর বলয়ে, কোন্ লোকালয়ে যাচ্ছি এভাবে ?
হিমেল আমেজে যাচ্ছি ভিজে ভিজে পাহাড়ী প্রভাবে,
কোন্ রহস্য খুলবে দৃশ্য ভাবছি নীরবে  ,
সব ভাবনা আনন্দ-বেদনা আকাশে ঘুমোবে ।






কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা
        বিপ্লব গোস্বামী

দেবী লক্ষ্মী ধন-সম্পদ,সৌন্দর্য-সৌভাগ‍্যের ও ঐশ্বর্যের দেবী।ধন,সম্পদ ও সৌভাগ‍্য লাভের আশায় শরতের কোজাগরী পূর্ণিমাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর প্রতি বাড়িতে বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর পূজো করা হয়।
        শারদীয়া দুর্গাপূজার পরবর্তী প্রথম পূর্ণিমাই হচ্ছে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা দিন।কোজাগর বা কোজাগরী শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে "কে জেগে আছো?" লোক বিশ্বাস অনুযায়ী এইদিন ধন-সম্পত্তি ও সৌভাগ‍্যের দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক ছেড়ে ধরার চলে আসেন ভক্তের দুঃখ দূর করতে।দেবী তাঁর ভক্তদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে কে জেগে আছো বলে সম্ভাষণ করেন।দেবীর ভক্ত যে বা যাহার এই রাতে ভক্তিভরে তাঁর পূজো দিয়ে জেগে থাকে দেবী তার ঘরে প্রবেশ করেন এবং সৌভাগ‍্যের বর প্রদান করেন।
        কোজগরী লক্ষ্মীপূজার প্রশস্ত সময় প্রদোষকাল।অর্থাৎ সূর্যাস্ত থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত যে সময়।তিথি যদি প্রদোষ থেকে নিশিথ পর্যন্ত থাকে তবুও প্রদোষকালে পূজো করা বিধেয়।কিন্তু আগের দিন রাত্রি থেকে পরের দিন প্রদোষ পর্যন্ত তিথি থাকলে আগের দিনর প্রদোষে পূজো করা বিধেয়।
           ধন-সম্পত্তি ও সৌভাগ‍্যের আশায় কোজগরীর দিন হিন্দু বাঙালির প্রতি বাড়ি বাড়ি উপবাস থেকে ভক্তিভরে করা হয় লক্ষ্মী মায়ের পূজো।আগের দিন নিরামিষ খেয়ে ও পূজোর দিন উপোস করে শুদ্ধ ভাবে ভক্তিমনে করা হয় দেবী লক্ষ্মীর পূজো।এই দিন বাড়ির আঙ্গিনায় আঁকা হয় ধানের ছড়া,মুদ্রা আর মা লক্ষ্মী পায়ের ছাপের আলপনা।সারা রাত জ্বালানো হয় ঘৃতের প্রদীপ।ফুল,ফল,নৈবিদ‍্য আর ধূপ জ্বালিয়ে করা হয় মায়ের আরাধণা।উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয় চারদিক।
      শুধু কোজাগরীতে নয় পৃথিবীর প্রত‍্যেক বাঙালি হিন্দু বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবারে দেবী লক্ষ্মীর পূজো হয়ে থাকে।তাছাড়া ভাদ্র সংক্রান্তি,পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে লক্ষ্মী দেবীর পূজো করা হয়।কাল বা মাস ভেদে একটু পরিবর্তন হয় পূজোর উপচারে।
      ভক্তিমনে ও শুদ্ধভাবে দেবীর পূজো করলে লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট হন।দেবী লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হলে ভক্তের মনোবাসনা পূরণ করেন এবং অলক্ষ্মী নাশ করে ধন,সম্পত্তি,,সৌভাগ‍্য ও ঐশ্বর্য প্রদান করেন।







মানুষের মন
        নরেন্দ্র নাথ নস্কর

বড় বিচিত্র নর ও নারীর এই মন,
স্থির নয় কভূ, কত কি  ভাবে, দিন রাত সারা ক্ষণ।

কর্মে হোক , বা অবসরে  যদি রয়;
মনে  কিন্তু অনেক চিন্তা হয় ।

নদী যেমন কোন ক্ষণ স্থির নহে,
মনে তেমনি হরেক ভাবনা বহে।

সদা চঞ্চল এই মনকে বাঁধা,
সহজ নয় আসবে অনেক বাধা।

ঘুমের মাঝেও  স্থির  নয় তবু মন;
স্বপনেই তার প্রকাশ অনুক্ষন।

গভীর ধ্যানে মন কভূ হয় স্থির,
অনুশীলন লাগে,হতে হবে ধীর।

ঋষি মুনি রাই মনকে বাঁধতে জানে;
কঠোর তপস্যা ও দীর্ঘ দিনের ধ্যানে।

এই মন কভূ শুভ চিন্তা করে;
কদাচিৎ  মন  কুচিন্তাও করে।

নর ও নারীর প্রধান পরিচয়;
মন যেমন বহিঃপ্রকাশেই হয়।

এই মনকে যারা বশ করতে পারে;
রিপু বা ইন্দ্রিয় তাদের কাছে হারে।

জীবন পথে এগিয়ে গেছে যারা ?
মনো সংযোগে  অনেক উপরে তারা।

সাফল্যের পথে সাধনাই মূল কথা;
সত্য সাধনে  আসেন মনে দেবতা।

গবেষণাও স্থির মনেই হয় ;
একাগ্র চিত্তে আসে সত্যের জয়।

সুস্থ মন ভালো থাকতে চায়;
মনের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হয়।

সুস্থ চিন্তা মনে যেন থাকে;
ভালো মন আনন্দ দিয়ে ঢাকে।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

আসতে পারে  সে​

আজ
ঘরে একা
দরজাটা খোলাই রেখেছি
খিল নয় ভেজিয়ে রাখা
হয়তো  সে আসতেই পারে আজ
হতেই পারে পুরোনো সেই সব খুনসুটি।

দিনালোকে হয়না বলেই এখন আসবে গুটিগুটি
তুচ্ছ হবে অন‍্য সব কাজ
খোলা হবে আটহাঁড়ির ঢাকা
চাদর টানটান পেতেছি
দরজায় টোকা
বাজ।

(২)

চিঠি

চিঠি
আসেনা আর
বিজয়া দশমীর পর
উঠে গেছে ছোট্ট পোষ্টকার্ড
হোএ‍্যাপ ম‍্যাসেঞ্জারে সবাই বিজয়া সাথে
দুকলম লেখার ধৈর্য্য আজ আর দেখিনা।

নিকট দূর কোন সম্পর্কই কেউ মানিনা
দেখনদারিতে হুড়মুড়িয়ে পড়ি মুঠোফোনের ঘাড়ে
সবাই সবার চেয়ে স্মার্ট
আগলাচ্ছি  শুধু বালুচর
ভাসেনা  অপেক্ষার 
দিঠি ।






নিশীথ সূর্যের দেশ
               চিত্তরঞ্জন গিরি

দক্ষিণের বাতাস প্রতিবিম্ব আঁকে
তাল কোটায় যত হা-হুতাশ
তুমি জলাশয় হতে পারলে কই
সারমেয়রা পথ আগলায়
তাই প্রাচীন পাণ্ডুলিপি
             আমায় একলারাখে
                                    সর্বদাই
ক্ষয়ে ক্ষয়ে কঙ্কাল অগ্নিবীণা   
            ভাঙ্গে বাঁধ,
                         ছায়ার আবেশ
বিপ্লব ,তুমি কথা কও !
গোধূলির বুক চিরে
             ভারতবর্ষ ,তুমি আঁক
                নিশীথ সূর্যের দেশ !









      এক মাটির সন্তান
               নির্মল সরকার

একই মাটির একই আকাশ
জল-বায়ু একই বাতাস ।
একই সূর্যের আলোয় ভরা পৃথিবী
তবে মাটিকে কেন করছো ভাগাভাগি ।
যদিও প্রকৃতির ভিন্নরূপ !
একই দেহের গঠনে মানুষ গড়া ।
মানুষে মানুষে কেন হানাহানি -
ভেদাভেদ-বিচ্ছেদ খুনাখুনী ।
মা-যে ,মা-ই- হয়, সবার জননী -
কেউ বলে Mother- আম্মা- মাম্মি- মম, তাও জানি ।
শত শত লক্ষ বছরের জন্ম এই শান্তির পৃথিবী ।
তবুও কেন, যুদ্ধ- বোমা -  বন্দুকের গুলিতে গরিবের প্রাণহানি ।
ক্ষমতার শাসনে কখনো দেশ গুলি -
মুজুত খাবার সাগরে ডুবায় ।
দীন- দুঃখী -অসহায় মরে ক্ষুধার জ্বালায় ।
মানুষ হয়েছে টাকার গোলাম,
কেউ থাকে খোলা আকাশের নিচে কেউ অট্টালিকায় ।
            








আমার ভালো লাগে
          চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

নীল আকাশের নিচে গোরুর পাল,রাখালের বাঁশি আজও আমার ভালো লাগে,
মাঝির কন্ঠে ভাটিয়ালী গান,করিম চাচার মাছ ধরা,এই সব মনে আনন্দ জাগে৷

জাহানারা,সুলতানা জুলি,কবি বান্ধবী আমার,
সঞ্চিতা,ক্যামেলিয়া,
শুভজিৎ আরো অনেক কবির সাথে আছে মিল৷
নন্দিতা ভালো লাগে কবিতা তোমার,
সবাই যে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাও,মিলেমিশে থাকতে বলো,
মাথার উপরে নীল আকাশে উড়ে যায় কত পাখি ও চিল !
জীবনের পথ পাশাপাশি বন্ধুর মতো যাই চলো৷








ফ্রান্স
উমর ফারুক

পশ্চিমারা দুর সীমানা থেকে
সম্প্রীতিতে অটুট ছিল কাল
আজকে এসে ধরলো রাজার হাল
ধর্ম তুলে দিচ্ছে গলা গাল
কেমন রাজা কি বা তাহার চাল!?
ধর্ম সবাই ভালো চোখে দেখে
কে কোনটা মানবে সেটা কার তাতে কি
কোন নরাধম দিচ্ছে ঢেলে অগ্নিতে ঘি
যিশুর বাণী দিচ্ছ ঢেকে কোন ক্যাথলিক 
থাকবে কি আর সম্প্রীতি?
ধর্ম কেবল তোমার আমার অনুভূতি
দেশের বুকে ছড়িয়ে আছে নানান প্রীতি 
মানুষ মাঝে ভক্তি মায়া ছড়িয়ে গেছে
কোন নরাধম বলেছে নবীর ছবির আছে
নবীর উম্মত সইবে কি আর এই অপমান?
এই ধর্মে প্রতিমূর্তির নেই অবদান ।
যিশু যদি থাকত বেঁচে করত কি তা
এই কি সময় বিদ্মেষ বীজ গজিয়ে ওঠা
ফ্রান্স তুমি ভাই সতী মায়ের কোল
ধরবে না তাই এমন অসুর দল
কুঞ্জকানন থাকায় তোমার  কাজ
তাড়িয়ে দেওয়া শকুন শেয়াল বাজ ।





👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 









বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27 & 28 / 10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 27 & 28 / 10/2020


*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-27 ও 28 /10/2020, মঙ্গলবার ও বুধবার
               সময় :- রাত 7 টা. 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒


আজ ভগিনী নিবেদিতার জন্মদিন তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি কবিতা।

প্রিয়তমা মায়ের আদরের খুকী
          রঞ্জনা রায়

মায়ের প্রাণের সরস্বতী আদরের ছোট্ট খুকী
মায়ের সেবায় সদা  প্রনত কন্যা নিবেদিতা
পৃথিবীর মহত্তমা নারী তিনি জননী সারদা
তমসায় শুদ্ধ জ্যোতির্ময়ী, তিনি মেরিমাতা।

বিবেকানন্দের মানস তনয়া  মার্গারেট
ভারতের আত্মভূমিতে খুঁজে পায়
এক অনির্বচনীয় প্রদোষের সঘন মধুরিমা
সোনার আলোয় ভরা ,খেলায় ভরা আশ্রয়
মাতাদেবী তিনি, প্রজ্ঞা ও মাধুর্যের মিলনে
ঈশ্বরের অপূর্বতম সৃষ্টি ,এক নিরব স্তবগান।

মা আর মেয়ে, মেয়ে আর মা
প্রায় তেরোটি বছরের অটুট বন্ধন
ছিড়ে যায় বিধাতার নিষ্ঠুর অংকে
সন্ধ্যা তারার আলোয় চাঁদের প্রার্থনার সুরে
বিশ্ব প্রেমের আধারস্বরূপা মা জেগে থাকেন
মেয়ের অবিনশ্বর চির শাশ্বত প্রজ্ঞায় ।
ভালোবাসা ভরা মায়ের শান্তির আঁচল ছায়ায়
ঘুমায় প্রিয়তমা মায়ের চিরকালের বোকাখুকী।




হামিদুল ইসলাম এর দুটি কবিতা

                   ১) ছায়া
             
একটা ভয় আমাকে তাড়া করে
প্রতিদিন
আমি ভয়ে পালাই
কিন্তু পালাবো কোথায়
যেখানেই যাই সেখানেই ভয় আমার পিছু নেয় ।

ছায়া হয়ে আসে সমস্ত ভয়
বোঝা যায় না ছায়ার মধ‍্যে কী লুকিয়ে আছে
আমার ছায়া তো আমার মতো
তাকে ভয় কেনো  ?
তবু ভয়ে পেছনে খিড়কির দরজা দিয়ে ছুটে পালাই  ।

মূর্খ আমি
তাই ভয়ে পালাই
আদতে ভয় আমার জীবনের প্রতিরূপ
তাকে জীবনে রেখে দিতে চাই
ঘুরুক ফিরুক তবু সে থাকুক  ।

ভয়কে তুচ্ছ করি
ছায়ার টুঁটি টিপে ধরি
ছায়া তবু পালায় না এ জীবন ছেড়ে
এক অদ্ভুত প্রাণ ছায়ার
ভুলে যাই ঘটনাগুলো যেনো স্বপ্ন বলে মনে হয়  ।

         ২) আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ
                     

আমাকে কথা দাও
একটিবার কথা দাও যা আমাদের আকাশের মতো
উদার  উদাসীন
ক্লান্ত শহর আজ ঘুমিয়েছে অনেক দিন পর
তাকে ডেকো না
না না না  ।

ছন্দহারা জীবন আমি চাই না
তাই আমাকে একটিবার কথা দাও
আমি পেরিয়ে যেতে চাই আকাশ নদী বন্দর
তোমাকে পরাবো বলে
পারিজাত ফুল নিয়ে আসি
পাহাড় থেকে  ।

নীরোর সাথে দেখা হয়েছিলো
গভীর রাত
নিস্তব্ধ পৃথিবী
ও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলো
ভালো থেকো
ভালোবাসা নিয়ো  ।

আমার চোখের সামনে ভয়ংকর সমুদ্রের গর্জন
আজ সব উলোট পালোট হয়ে যাচ্ছে
তোমার জন‍্যে চাপ নিই
জলে দাঁড়াই
তোমার আমার ভেজা শরীর
আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ   ।





       হারজিত     
          পিনাকী মুখার্জী
    
                 হার  কাচ  ঠুনকো
               হাত  থেকে  পড়া  !!
               জিত  গড়া  দধীচির
                  দৃঢ়  শিরদাঁড়া  !!

         
             হার মানে  লখাইয়ের
                 লোহার  বাসর  !!
              জিত  আনে  বেহুলার
                 জোর  মন জোর  !!

            
               হার  দেখে  হতাশার
                    অথৈ  সাগর  !!
              জিত মানে সেতু বাঁধা
                   সাগর  উপর  !!

           
              হার  মানে  না  লড়েই
                 হেরে  মাঠ ছাড়া  !!
              জিত  মানে পড়ে গিয়ে
                 ধুলো ঝেড়ে খাড়া  !!





হাইকু কবিতা
         শংকর হালদার

০১।
শেষে বিদায়
বাঁধ ভাঙে হৃদয়ে
আজ দশমী ।
০২।
ফেলে আসার
স্মৃতিগুলো মন্থন
আঁখি তারায় ।
০৩।
মাটির বুকে
মৃন্ময়ী রূপে দেখি
জগৎ মাঝে ।
০৪।
বিষাদ সুর
গায়ে মাখি চৌপর
দিবস গুনে ।
০৫।
শুভ অশুভ
সবকিছুর মাঝে
স্বপ্ন রোপণ ।




প্রবন্ধ
পূজা ও উৎসব
   অগ্নিমিত্র

  পূজা ও উৎসব অনেক সময়েই সমার্থক, কিন্তু আবার অনেক সময়ে তা নয় । পূজা মনের ভক্তি এবং ইষ্টদেবতার প্রতি শ্রদ্ধা দিয়ে মূলতঃ  নিষ্পন্ন হয় । উৎসবে আবার জাঁকজমক ও হৈহুল্লোড় বেশি হয়ে থাকে। আবার অনেক সময়েই পূজাও উৎসবের রূপ নেয়! দুর্গাপূজা যেমন পূজা, আবার বাঙালির প্রাণের উৎসবও বটে। বা গ্রামের দিকে নবান্ন উৎসব , টুসু, ভাদু ইত্যাদি ।
  অনেক সময়ে পূজা বিনা আড়ম্বরে, নিভৃতে হয়ে থাকে। যেমন নিত্য পূজা, স্থাপিত দেবতার পূজা, গ্রামে ঘেঁটুপুজো, ইতুপূজা ইত্যাদি । তা তখন কিন্তু তেমন ভাবে উৎসবের চেহারা নেয় না ।
আবার কারো বাড়িতে জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী বা বিয়ের অনুষ্ঠান হলে সেটা উৎসব, তবে পূজা নয়। তাই সব সময়েই পূজা মানে উৎসব নয়; আবার উৎসব মানেই পূজা নয় ।






 
বিদ্যালয়ে পড়াই
      সুস্মিতা দে

আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন মানসিকতা লেখা সুন্দরবনের একটি সুন্দরী গাছ
কোন টা শাল কোনটা চন্দন কোনটা
সেগুন কাঠের ভাস্কর্য 
রপরসে গন্ধভরা

কোনটি সুন্দরী কোনটা
মহুয়া জমা মধুভরা মৌমাছির
গুন গুন শব্দ ।আছে সমুদ্র গঙ্গার নব
জন্ম আবার আসবে গঙ্গোত্রী হিমবাহ
থেকে গঙ্গা নামছে কত সরু হয়ে
আবার চূর্ন বিচূর্ণ পাথর বালি নিয়ে
এসে সাগরের বুকে নিজেকে
মিলেমিশে বদ্বীপ বানিয়ে দেয়
জীবনচক্রের  চক্ষু খুলবে।

     একটি ভালো বই একশো
           টি বইয়ের সমান
           সমাপ্ত ভূগোল বই।
       আব্দুল কালাম।

দিদিমুনি  কি?  আনন্দ বেঞ্চিতে উঠে 
বলে  আমার একটি প্রশ্ন আছে ?
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের নাম শুনেছেন ?
আমার কাকুকে  তাড়া করছিলো ?
সত্যি নৌকা জোড়ে জোড়ে অনেক  দূর এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য মনে মনে বলে কতো হরি ন দেখেছে। হরিন জোড়ে  দৌড়াতে পারে ?
ক্লাস পুরো শান্ত হয়ে গেলো জয়ের গল্প শুনতে ।

     একটি ছাত্র একটি গোটা ক্লাস কে
      মনসংযোগের সাথে পড়িয়ে দিল?
               এপিজে আব্দুল কালাম ।

      একটি ভালো বন্ধু একটি
      গোটা  লাইব্রেরির সমান নাম আনন্দ !
        সমাপ্ত
একটি বন্ধু আনন্দ।






মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
ফেরার পালা

কাটলো
পুজো এবার
দেখছি ভালোয় ভালোয়
এবার কাজে ফেরার পালা
শ্রমিক যেন  ফেরে কলে  কারখানায়
স্কুল খুলে ছাত্রছাত্রীর  শুরু হোক.  লেখাপড়া ।

থমকে গেছে বছরভর জীবনের সব বোঝাপড়া
ঠিকের মাসি কাজে  ফিরুক পাড়ায়
খুলে যাক আদালতের তালা
মানুষ ফিরুক আলোয়
উদ‍্যম সবার
জাগলো।

(২)

নারীশক্তি

নারীশক্তির
আরাধনায় কাটলো
যখন চারটে দিন
নারীকে এবার করো সম্মান
ফিরিয়ে দাও তার অর্জিত অধিকার
তবেই পাবে জেনো মায়ের অপার আশীর্বাদ ।

নারীশক্তির অবহেলাতেই সমাজ সংসার হয় বরবাদ তার লাঞ্ছনাতেই  জেনো সমাজে অনাচার
নারীর সম্মানেই মায়ের মান
ঘুচবে জন্ম ঋণ
  আশীষ  থাকলো
মাতৃভক্তির ।





        ক্ষত
        অঙ্কুর মাইতি

শেষ মুহূর্তেই বেশি মনে আসে প্রথম রাত।
চোখে চোখে ভাষাপাঠ,আঙ্গুলে বাক‍্যের ঢেউ।
তারপর আরেক অধ‍্যায়।

হাওয়ার দমক হঠাৎই আসে।
প্রদীপ নেভার কোনো পূর্বাভাস নেই।
ঠোঁটের দূরত্ব বাড়ে।
ঝাপসা হয় চেনা বর্ণমালা।যার
শেষ অধ‍্যায়ে কথা নেই।
আছে স্রেফ একটা ক্ষত;যা
আজীবন ভুগিয়ে যাবে।

          

বিচিত্র সমাজ
         বিপ্লব গোস্বামী

ধনের লক্ষ্মী তুষ্ট করতে
পূজার আয়োজন ;
আসল লক্ষ্মী পূজা দিতে
নেইতো কোন জন।
গৃহের সতী সাবিত্রী লক্ষ্মী
সয় নির্যাতন ;
রাস্তার লক্ষ্মী একা পেলে
করতে চায় ধর্ষণ।
বিয়ের লক্ষ্মী কালো হলে
চায় মোটা পণ ;
গর্ভে যদি লক্ষ্মী আসে
ভ্রূণে করে নিধন।
আর্ত লক্ষ্মীর বস্ত্র দিতে
কষ্ট পায় মন ;
ধন-ঐশ্বর্য,যশ-শ্রী পেতে
মাটির লক্ষ্মীর পূজন।
ধন ঐশ্বর্য যশ পেতে
লক্ষ্মী আরাধণা ;
আসল লক্ষ্মীর সম্মান দিতে
শাস্ত্রে তাদের মানা।







পল্লীর অন্তর
         সাফরিদ সেখ

সূর্য পশ্চিমে গড়ে পড়ে।আলো নিভায়।
মাঠেরা গ্রামে ঢোকে।গ্রামে আলো জ্বলে।
মন্দিরে ঘন্টা বাজে।মসজিদে আজান।
শান্তির পার্থনা শুরু করে লোকজনে।

এখনি হয়তো অন্ধকারের স্রোত
ভাসিয়ে দেবে পল্লীগ্রামের বনানিকে।
আঁধারের পিঠে পিঠ রেখে ঘুমাই।
কালো জীবন নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখা।

এক গুচ্ছ আশা বুকে জড়িয়ে মা পাখি
ভাবে শুধু ছানাদের ভূত ভবিষ্যৎ।
অন্য এক সকালের প্রতিমা নিয়ে
আনন্দ আহ্লাদে রাতে নিশ্চিতে ঘুমাই।

আর ওই যে অসহায় বাবা বালিশে মুখ গুঁজে
ছেলের বেকারত্ব নিয়ে কত দুঃস্বপ্ন দেখে।
সান্তনা। একদিন  দারিদ্র যাবে ঘুঁচে।
মলিন বেশ রঙিন হবে।স্বপ্ন হবে সত্য।

সহস্র চিন্তার ভিড়ে অন্ন চিন্তা বড়ো।
লেখাপড়া ,শিল্পকলা ভাবার সময় কই?
দিনের ক্লান্তি নিশীথে নিরাময়।
রাতের স্বপ্ন দিনের আলোয় পুড়ে মরে।





সে কি জানে
       সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

যে লোকটি
নোংরা খুঁটে খুঁটে বেড়ায় কোনমতে
গ্রুপ চালাচ্ছে হিম্মতে
নিজেকে সবজান্তা হরিদাস ভাবে
লিখে চলে স্বভাবে
একা থাকতে চায় রাজার সাজে
অন্যকে হটিয়ে ধরা মাঝে
জেনেছে কি সে কাউকে অপমান করলে
কোনও কিছু কি চলে???

সে কি জানে--
অপমান কারে বলে?!?!






নারী
যুথিকা দোলই

মানুষ কেন বলে নারীর নিজস্ব নাই কিছু‌
আমি তো দেখি জগৎ চলছে নারীদের পিছু পিছু।       পিতার ঘরে লক্ষী আমি স্বামীর ঘরে অন্নপূর্ণা
ছেলের কাছে জননী হয়ে সংসার করছি সম্পূর্ণ।
আমার মতো আপন করতে আর কি কেউ পারে‌?
তাই তো পিতার ঘর ছাড়ি পরের ঘরের তরে।
গোত্র থেকে গোত্রান্তর যদিও আমার হই                       তবুও যেন জননী রূপে সকল দুঃখ সই।
ভারত মাতা সেও নারী ,নারী জগদ্ধাত্রী
নারী হল এ জগৎ সংসারের সবার জম্মদাত্রী।
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ তাই পুরুষকে বড়ো করে         জেনে রেখো সেই পুরুষকেই নারী গর্ভে ধারণ করে।
মহাকাল আমার পদতলে শায়িত চিরকাল              আমি ছাড়া এই জগৎ সংসার বৃথা বইবে হাল।




       বিসর্জন
শ্রীকান্ত মালাকার

পিনকন ভাই ঘুমিয়ে গেছে
নিথর দেহ নিয়ে।
সুব্রত তুই হারিয়ে গেলি
এ কেমন স্মৃতি দিয়ে।

অরিন্দমটাও বেঁচে নেই
কেরে নিয়েছে জল।
যমদূত সোমনাথ কে নিয়ে গেল
করে নিষ্ঠুর ছল।

প্রীতম দা চলে গেছে
বেলডাঙাকে করে আঁধার।
দুপারের বিসর্জনের বাজনাতে তোরা বিসর্জিত,
ব্যর্থ হলো শতচেষ্টা তোদের বাঁচার।।




সবরে সাফল্য
       মোঃ আলিউল হক

হাতে ছিল কালি কলম
ছিল অক্ষর  জ্ঞান
এই দুয়েরি সমন্বয়ে
সামনে আগুয়ান।

হঠাৎ এলো জীবন জোয়ার
চারি পানে ঘোর আঁধার     নিশীথ অবস্থান।

সবর ছিল চির সাথী
দূর হবেই ঘোর রাতি         মিলবে সুকল্যাণ।

সত্যি মেঘ সরে গেলো
নয়া প্রভা ধরা দিলো      বিপদ অবসান।

শিক্ষা দানে বিদ্যা ভবন
নিত্য করি গমনাগমন      পেয়েছি সম্মান।

দুঃখ ব্যথা ভেদ করে
নয়া সকাল খোদার বরে     লভি বর্তমান।

নতুন আশে বাঁচি এখন
হারানো সে স্বপ্ন দেখন      হলো ফলবান।






ও পাড়ার রায় বাবু
           আব্দুল রাহাজ

ও পাড়ার রায় বাবু
ছিলেন রাগী মানুষ
একসময় ছিলেন মস্ত বাড়ির মস্ত বড় পন্ডিত
এক ডাকে চিনতো সবাই ওপাড়ার রায় বাবু কে।
ছেলেমেয়েগুলো পড়তে যেত ভয় ভয়ে বাড়ি ফিরতো সব আনন্দে আনন্দে।
রায় বাবু রাগী রাগী হলেও সবার বিপদে আপদে ছোটে সবাইকে নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসে সে।





নবীশ
       বদরুদ্দোজা শেখু

মন-মরা হ'য়ে থাকি , বাঁধা রুটিনের
দিন যায় ক্লাশ ক'রে নোট লিখে বক্তব্য বানিয়ে
দলগত আলোচনার সভায় , বিরক্তি জাগায় প্রায় সব
বক্তাদের অত্যধিক শিশু বিষয়ক মগজ ধোলাই ,
সুবোধ ছাত্রের মতো চুপচাপ শুনি ,
বক্তা-পরম্পরা পুস্তক-তত্ত্বের সাথে প্রায়োগিক
বাস্তবের বিরাট ফারাক কান ঝালাপালা করে,
বিশেষতঃ ওঁরা যে আদর্শ  পরিবেশের অভিজ্ঞান বর্ণনা করেন
হাভাতে হাঘরে এই  দেশটার গ্রামগঞ্জে তার কণা কানাকড়ি
মেলাই দুষ্কর , তবু সেই শিশুবিদ ফ্রেডরিক
হার্বার্ট ভল্টেয়ার মন্টেশরী রুশো
প্রমুখ মহাত্মাগণ ভরসা যোগান , তাই কষ্টেসৃষ্টে
নবীশি মহড়া নিই দ্রুততালে নিয়ম-নিষ্ঠায় ,
অবসরে খবরের পাতায় বুলাই চোখ , বিজ্ঞাপক দূরদর্শন  ক্বচিৎ দেখি দল বেঁধে
সাপ্তাহিক সিরিয়াল দীর্ঘ রামায়ণ । মন প'ড়ে
থাকে দূর অখ্যাত গ্রামের এক বসত বাড়িতে
, প্রতীক্ষায় থাকি রোজ বাড়ির চিঠির ;
অনেকের আসে । ঘনঘন । আমার আসেনা ।
তবু প্রত্যাশায় থাকি । চিঠি দিই নিজে ।
দিল্লীর বিষয় জানাই । রাজমা রোঁচে না মোটে ,
খাওয়া-দাওয়া বন্দোবস্ত এলাহি বহর বটে তবু ।
অত্যধিক গরমে বিব্রত আছি , মরমে আহত ----
উগ্র প্রাদেশিকতার বোধ
বন্ধুরা বাড়ায় প্রতি পদে , মিলজুল অনুষ্ঠানে
অগ্রাধিকার প্রাধান্য নিয়ে মতান্তর হয়,
সম্প্রীতির মাহাত্ম্য ব্যাহত হয় , স্বাধীন কাশ্মীর খালিস্তান
গোর্খাল্যান্ড সূক্ষ্ম ওত পেতে থাকে
সমর্থক সতীর্থ বন্ধুর মনে ,ঐক্যে চিড় ধরে ---
দূরত্ত্ব বজায় রেখে নিজ-বর্গে ঘুরে অনেকেই
, অনেকেই অন্তরাল সন্দেহ-প্রবণ ঝানু
রাজনীতিকের মতো ইতিউতি মেলামেশা করে  । এর চেয়ে
ওই দু'চার দিনের কিংবা
হপ্তা খানেকের জন্য নবীশ আসছে যারা,
চ'লে যাচ্ছে ক'দিন বাদেই, তাদের সান্নিধ্য
পরিচয় অনেকটা নিরাপদ  হাসিখুশী
সহজ সুলভ মনে হয় ; হয়তো তারাও এই বোধ থেকে
মুক্ত নয় , তবু তারা এখানের
পরিবেশ বিষাক্ত করে না, এই অভিধায়
তারাই প্রশংসার্হ , আমরা ভিজে বেড়াল ।








লিমেরিক
       দেবব্রত পাল

(১)

বিয়ে করতে যাবে শুভ, কন্যে বর দেখেছে।
টাকা চাই না, পণ চাই না, শুধু রক্ত চেয়েছে।
দুজনের রক্ত পরীক্ষা হবে।
তাতেই মিল খোঁজা যাবে।
এতে মারণ রোগে মুক্ত জুটির স্বপ্ন দেখেছে।

(২)

স্বপ্ন দেখা খারাপ তো নয়, বরং স্বপ্ন দেখা ভালো।
সংস্কারে না পা দিলে তবে, জীবনে আসে আলো।
মুক্ত জীবন, মুক্তমন।
এয়ো সাজে নেই প্রয়োজন।
প্রাণে প্রাণ, মনে মন আর শুভেচ্ছায় মন ভরালো।

(৩)
শুভর বিয়েতে ঘোষনা ছিলো, উপহার চলবে না।
ফুল আর শুভেচ্ছা ছাড়া দেওয়ার কিছু থাকল না।
থাকল না বড়াই করার।
ধনী গরিবের বাছ-বিচার।
বেকার শঙ্কুর হাতে হাত মেলাতে সংকোচ থাকল না।






প্রহর
       ফিরোজ হক্

রাত্রি ঘনিয়ে আসে
চারিদিকে নেমে পড়ে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক,
নিস্তব্ধতার মাঝে আরেকটু নিস্তব্ধতা
ঘড়ির কাটার খটখট শব্দ
তোমার শরীরের স্পর্শ
ও মৃদু রঙের নীল আভা;
রাত্রি বরাবর টিকটিকি সমর্থন করে চলে
আমাদের মুক্ত ভালোবাসার।
আর কিছুক্ষণে
আমার বাদামি রঙের অপেক্ষার প্রহর
ঘনিয়ে আসবে...

আর আমি তোমার কানে কানে বলবো
জেগে ওঠো প্রিয়
একরাশ ভালোবাসায়, ভালোলাগায়...





  ফিরে আসুক
           নির্মল সরকার

কাছে কিংবা দূরে
আপনজন না হলেও       প্রিয় স্বজন হবে ।
চিরকাল যেন থাকে - আমার হৃদয় মাঝারে ।
ক্ষণিকের জন্য হলেও যাদের সাক্ষাৎ হলে
প্রাণ ভরে যায় আনন্দে ।
বটো বৃক্ষের ছায়ার মতো
থাকি যেন তাদের পাশে ।
সদা সর্বদা সুখে অথবা দুঃখে,
হাসিখুশি থাকি যেন সবার মাঝে ।
জীর্ণ - ঝড়া , যাক সব দূরে  ,
সংকীর্ণতা যেন না আসে মনে ।
ফিরে আসুক মনোবল শক্তি
উদীয়মান সূর্যের মতো
অগ্নিশিখায় ঝাপ দিবো
তবুও সংকুচিত না হোক হৃদয়ে ।
 


মানুষের জয়গান ভালো  লাগে
চিত্তরঞ্জন  দেবভূতি

সারা বিশ্বের দেশে দেশে কত গঠনমূলক কাজ হয়,
জাতি ধর্ম বর্ণ ভাষার মানুষ  মিলেমিশে,
যেন গেয়ে চলে প্রবাহমান জীবনের জয়৷
আমি মানুষদের জয়গান ভালোবাসি কবি,
অশান্তির পাশাপাশি দেশে দেশে আছে শান্তির কত সুন্দর ছবি৷

দুর্গাপূজা,কালীপূজা,
ঈদ,মহরম,সবেবরাত,
মেলা,উৎসবে মিলেমিশে তাই থাকি,
পরস্পরকে ভালোবেসে যে আনন্দ পাই,
এই হৃদয়ে সযত্নে তাকেই ধরে রাখি৷

যেমন কৃষাণ কৃষাণী জানে কত ধানে কত হয় চাল,
আমরা যেমন আশায় বাঁচি,এই কালো রাত কেটে যাবে,কালকেই দেখা দিবে সুন্দর সকাল৷

মানুষদের জয়গান তাই খুব ভালো লাগে,
যতো মেলামেশা করি এই পাহাড় থেকে সমতলে,
ভালো মানুষদের প্রতি আরও শ্রদ্ধা জাগে৷







👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)