উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 29/10/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-29/10/2020, বৃহস্পতিবার
সময় :- রাত 6:30 টা.
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
বাসন্তী পূজাই কি আসল দুর্গাপূজা ?
রাজা দেবরায়
কৃত্তিবাসের লেখা রামায়ণে শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন বলেই কি আমরা শরৎকালেই 'আসল' দুর্গাপূজা করে থাকি ? 'আসল' (দুর্গাপূজা) কথাটা ব্যবহৃত হয়েছে এই কারণে যে বসন্তকালেও দুর্গাপুজো করা হয় যেটা বাসন্তী পূজা নামেই বেশি পরিচিতো । বাসন্তী পূজাটা শরৎকালের পুজোর মতো এতোটা জাঁকজমকভাবে হয়না । বাসন্তী পূজা (দুর্গাপূজা) কিছু কিছু ক্লাব বা কিছু কিছু বাড়িতে করা হয়ে থাকে ।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো তাহলে কোন্ দুর্গাপূজাটা আসল ?
আমরা দেখতে পাই একমাত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ ছাড়া আর কোনো রামায়ণে, এমনকি মূল রামায়ণেও অর্থাৎ বাল্মীকি রামায়ণেও শ্রীরামচন্দ্র দুর্গাপুজো করেননি । সূর্য পূজা করেছিলেন বা অন্যান্য রামায়ণে অন্য কারোর পূজা করেছিলেন, কিন্তু দুর্গাপূজা করেননি ।
তাছাড়া আরেকটা বিষয় খুব ভাবায় যে আমরা দেখতে পাই শরৎকালের দুর্গাপুজোর বিসর্জনের দিনের পরে অর্থাৎ দশমীর পরে ঠিক চারদিনের মাথায় লক্ষ্মীদেবীর পুজো করা হয় । তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে এতো কম সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীদেবীর আবার আগমণের কারণ কী ? বসন্তকালের পূজার ক্ষেত্রে কিন্তু সেই প্রশ্ন জাগে না । অনেকটা লম্বা সময় প্রায় ছয় মাসের মতো সময় পরে লক্ষ্মীপুজো হয় ।
তাহলে কি বসন্তকালের পূজাটাই অর্থাৎ বাসন্তী পূজাই আসল দুর্গাপূজা ??
ডাকঘর
পিনাকী মুখার্জী
কখনো ইতিহাসে পাতায় কালঘুমে !!
কখনো বা নীরবতায় কালো রাত্রির ,
মেঘের ও খামে ঠিকানায় আকাশের ,
গ্রহণ , হাতের প্রতিটি রেখার নামে !!
আজো খুশিরা খোঁজে ঠিকানা ,বন্ধ খামে !!
তখনই ভাবি তবে কিবা দরকার ,
মৌন কষ্টের কেবলই পাহারাদার ,
সকল খুশি সবই কেবল বেনামে !!
রোজ দু'বেলা খেটে তাতেই কিবা জুটে ,
তবু তাও হায় দু'বেলা দুমুঠো নাই ,
চোখ খুলে দেখি ওপরে আকাশ খোলা !!
যুঝি ভাগ্য সাথে হাসিমুখে খালিপেটে ,
লক্ষ্য একটাই - অন্ন চাই প্রাণ চাই ,
আজো সুখের ঠিকানারা এ পথভোলা !!
শব্দমাত্র
ভাগ্যশ্রী রায়
একটা শব্দ
সাঁতরে ওঠে
জলের বুকে
তোলপাড়
পড়ন্ত ছায়া
আলো মায়া
ছুঁয়ে দিলে
একাকার
হাত ভর্তি
আশ্রয়ে
খণ্ড দুই
অবসর
মৃত্যু পিছয়
পায়ে পায়ে
শব্দমাত্র
চুরমার।
সময় বয়ে চলেছে
অনাদি মুখার্জি
টিক টিক করে সময় বয়ে চলেছে ,
কখন যে সময় একটু থমকে দাঁড়াবে !
সেই কি কোনোদিন ও থামবে ?
আমরা তো সবাই চলার পথে থমকে দাঁড়ায়,
সময় তোমার জন্য আমার বড়োই কষ্ট হয় !
তুমি কেনো থামোনা একটু ক্ষণ ?
সময়ে তালে তাল মিলিয়ে আমাদের হয় সকাল বিকাল।,
সব কিছু কাজ হয়ে শেষে মিলে অবকাশ !
কিন্তু কোনো অবকাশ শুধু নেই যে তার "
সময় বয়ে যায় তার নিজের মতোন তাই !
সময়ে পিছে ছুটে ছুটে আমি যে ক্লান্ত হয় ,
আমরা সবাই সময়ে তালে প্রতিদিনের জীবনের পথ শুরু হয় !
আজ আমরা সবাই ছুটে চলি সময় তোমার পিছে পিছে ,
তবু কেন তুমি থমকে দাঁড়ায় না একটু সুখের মাঝে ?
একদিন প্রতিদিন
হামিদুল ইসলাম
সংসারের মালপত্তর গুছিয়ে নিই
গুছিয়ে রাখি সংসার
পিঠের বোঝা হাল্কা করি
মনের মাঝে মেঘ গাভীর মতো চরে বেড়ায়
মনে হয় আকাশে উড়ি ।
প্রণাম ঠুকি আমার মাকে
জলে ধুয়ে দিই তার পা
আমি বেঁচে আছি এখনো
তার বুকের দুধে
হঠাৎ নির্মেঘ আকাশে উল্কা পতন ।
আকাশ খুঁড়ি। শূণ্য হাত
তবু পরাজয়ের গ্লানিতে মাথা ঘোরে যেনো কুমোরের চাক
নৈরাজ্যের রাত
পেরিয়ে যায়
ইতিহাসের পাতা থেকে ছিঁড়ে আনি প্রেম প্রতিদিন ।
মাথা ঠুকি কংক্রিটের দেয়ালে
কেউ রাখে না খোঁজ
আমার প্রেমিকা এখন বনস্পতি
শূণ্য হৃদয়ে ভিক্ষে করে আমার প্রেম
জলে জলে একাকার জীবন একদিন প্রতিদিন ।
অন্যায়ের প্রতিবাদে চলো
মোঃআলিউল হক
লেগেছে জাতের খেলা
সারা বেলা স্বদেশেতে।
অমানুষ মারছে মানুষ
ভন্ড ফানুস ভূ-ভারতে।
কোন দোষ অপরাধে
মার খায় নিম্ন জাতে?
জানিনা উত্তরেতে
এ কোন জুলুম ওদের সাথে।
সাধু যোগী গেরুয়া ধারী
সেও মহা অত্যাচারী
এ কোন ছল চাতুরী
জাত বিচারী
সাধুতার ছলনাতে।
প্রতিবাদ করিনা তাই
প্রতিকার পাইনা সবাই
অপরাধ হার হামেশাই
সীমা ছাড়ায়
দেখছি সবাই ; সব দিকেতে।
এদেশে সবাই সমান
ছুঁড়ে ফেল জাত্যাভিমান
সামনে হও আগুয়ান
শান্তি বিধান
করিব সবার হীতে।
ধর্মের দোহাই দিয়ে
আপন স্বার্থ নিয়ে
দ্বন্দ্ব বাঁধায় যারা শত্রু তারা
চলো ত্বরা ভিত্তি নড়িয়ে দিতে।
সে এক রাজকন্যা
আব্দুল রাহাজ
একটা ছোট্ট সুন্দর দেশের একটা ছোট্ট সবুজ ঘেরা গ্রাম নামটি তার অতুলপুর সেই গ্রামে থাকতো এক রাজকন্যা তাদের পরিবার এখন আর নেই সবাই বহুকাল বছর আগে গ্রামে বন্যা হয় সেখানে তাদের পুরো পরিবার ভেসে যায় সেই রাজকন্যা তখন ছিল বাইরে ওদের পরিবার ছিল রাজাদের বংশধর তাই সবাইকে রাজকন্যা বলে ডাকত। এখন রাজকন্যা তাদের সেই অর্থ দিয়ে গ্রামের মানুষদের সাহায্য করে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বিনা পয়সায় পড়ায় খুব ভালো না প্রান্তিক মানুষগুলোর সাথে বেশ মিলেমিশে থাকে এই রাজকন্যা। সবাই মিলে একদিন রাজকুমার কে জিজ্ঞাসা করল শীতের দিনে বনভোজন করবে একটু রাজকন্যা বলল বাহ বাহ বেশ ভালো করা যায় গ্রামের সকলকে নিয়ে আমরা বনভোজন করব আগামীকাল চড়াই নদীর তীরে তাই ঠিক হলো। ওপাড়ার সিন্ধু কানু নেতাই হরেন সবাই দলে দলে এল বেশ আনন্দ হল সেদিন চড়াই নদীটির দেখলো এক নতুন পরিবেশ মেলবন্ধন আর দেখল তাদের পারস্পরিকতা এইভাবে ওরা সুন্দর ছোট্ট দেশে প্রকৃতির সবুজ মায়ের কোলে বেঁচে থাকে আজীবন। রাজকন্যা যেন ওদের বিপদে-আপদে প্রভুর মত পাশে হয়ে দাঁড়ায়। এইভাবে রাজকন্যা ওদের মাঝে থেকে বেঁচে থাকে চিরজীবন। তাই গ্রামের লোকেরা রাজকন্যাকে একটা গান বলেছেন আমাদের রাজকন্যা হচ্ছে আজ সারা আমাদের পাশে থেকে আজীবন আছে আজীবন থাকবে আমাদের দরিদ্রতা রাজকন্যা ঘুচাবে।
হিমাচল
বদরুদ্দোজা শেখু
হিমাচলে যাচ্ছি, রোমাঞ্চ পাচ্ছি সর্পিল সড়কে,
নীচে তাকাচ্ছি, গোঁত্তা খাচ্ছি ক'লজের ধড়কে ।
বিচিত্র ঝোপ ছোপ ছোপ ছোপ পুষ্প-পসরা
সাজিয়েছে, তায় বিহ্বল-প্রায় আঁকছি খসড়া,
পাহাড়গুলোকে কল্পনালোকে লাগছে অশ্ব
ছুঁবে অম্বর, উড়ছে ধূসর ধূমোল ভস্ম
দূর বলয়ে, কোন্ লোকালয়ে যাচ্ছি এভাবে ?
হিমেল আমেজে যাচ্ছি ভিজে ভিজে পাহাড়ী প্রভাবে,
কোন্ রহস্য খুলবে দৃশ্য ভাবছি নীরবে ,
সব ভাবনা আনন্দ-বেদনা আকাশে ঘুমোবে ।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা
বিপ্লব গোস্বামী
দেবী লক্ষ্মী ধন-সম্পদ,সৌন্দর্য-সৌভাগ্যের ও ঐশ্বর্যের দেবী।ধন,সম্পদ ও সৌভাগ্য লাভের আশায় শরতের কোজাগরী পূর্ণিমাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর প্রতি বাড়িতে বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর পূজো করা হয়।
শারদীয়া দুর্গাপূজার পরবর্তী প্রথম পূর্ণিমাই হচ্ছে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা দিন।কোজাগর বা কোজাগরী শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে "কে জেগে আছো?" লোক বিশ্বাস অনুযায়ী এইদিন ধন-সম্পত্তি ও সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক ছেড়ে ধরার চলে আসেন ভক্তের দুঃখ দূর করতে।দেবী তাঁর ভক্তদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে কে জেগে আছো বলে সম্ভাষণ করেন।দেবীর ভক্ত যে বা যাহার এই রাতে ভক্তিভরে তাঁর পূজো দিয়ে জেগে থাকে দেবী তার ঘরে প্রবেশ করেন এবং সৌভাগ্যের বর প্রদান করেন।
কোজগরী লক্ষ্মীপূজার প্রশস্ত সময় প্রদোষকাল।অর্থাৎ সূর্যাস্ত থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত যে সময়।তিথি যদি প্রদোষ থেকে নিশিথ পর্যন্ত থাকে তবুও প্রদোষকালে পূজো করা বিধেয়।কিন্তু আগের দিন রাত্রি থেকে পরের দিন প্রদোষ পর্যন্ত তিথি থাকলে আগের দিনর প্রদোষে পূজো করা বিধেয়।
ধন-সম্পত্তি ও সৌভাগ্যের আশায় কোজগরীর দিন হিন্দু বাঙালির প্রতি বাড়ি বাড়ি উপবাস থেকে ভক্তিভরে করা হয় লক্ষ্মী মায়ের পূজো।আগের দিন নিরামিষ খেয়ে ও পূজোর দিন উপোস করে শুদ্ধ ভাবে ভক্তিমনে করা হয় দেবী লক্ষ্মীর পূজো।এই দিন বাড়ির আঙ্গিনায় আঁকা হয় ধানের ছড়া,মুদ্রা আর মা লক্ষ্মী পায়ের ছাপের আলপনা।সারা রাত জ্বালানো হয় ঘৃতের প্রদীপ।ফুল,ফল,নৈবিদ্য আর ধূপ জ্বালিয়ে করা হয় মায়ের আরাধণা।উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয় চারদিক।
শুধু কোজাগরীতে নয় পৃথিবীর প্রত্যেক বাঙালি হিন্দু বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবারে দেবী লক্ষ্মীর পূজো হয়ে থাকে।তাছাড়া ভাদ্র সংক্রান্তি,পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে লক্ষ্মী দেবীর পূজো করা হয়।কাল বা মাস ভেদে একটু পরিবর্তন হয় পূজোর উপচারে।
ভক্তিমনে ও শুদ্ধভাবে দেবীর পূজো করলে লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট হন।দেবী লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হলে ভক্তের মনোবাসনা পূরণ করেন এবং অলক্ষ্মী নাশ করে ধন,সম্পত্তি,,সৌভাগ্য ও ঐশ্বর্য প্রদান করেন।
মানুষের মন
নরেন্দ্র নাথ নস্কর
বড় বিচিত্র নর ও নারীর এই মন,
স্থির নয় কভূ, কত কি ভাবে, দিন রাত সারা ক্ষণ।
কর্মে হোক , বা অবসরে যদি রয়;
মনে কিন্তু অনেক চিন্তা হয় ।
নদী যেমন কোন ক্ষণ স্থির নহে,
মনে তেমনি হরেক ভাবনা বহে।
সদা চঞ্চল এই মনকে বাঁধা,
সহজ নয় আসবে অনেক বাধা।
ঘুমের মাঝেও স্থির নয় তবু মন;
স্বপনেই তার প্রকাশ অনুক্ষন।
গভীর ধ্যানে মন কভূ হয় স্থির,
অনুশীলন লাগে,হতে হবে ধীর।
ঋষি মুনি রাই মনকে বাঁধতে জানে;
কঠোর তপস্যা ও দীর্ঘ দিনের ধ্যানে।
এই মন কভূ শুভ চিন্তা করে;
কদাচিৎ মন কুচিন্তাও করে।
নর ও নারীর প্রধান পরিচয়;
মন যেমন বহিঃপ্রকাশেই হয়।
এই মনকে যারা বশ করতে পারে;
রিপু বা ইন্দ্রিয় তাদের কাছে হারে।
জীবন পথে এগিয়ে গেছে যারা ?
মনো সংযোগে অনেক উপরে তারা।
সাফল্যের পথে সাধনাই মূল কথা;
সত্য সাধনে আসেন মনে দেবতা।
গবেষণাও স্থির মনেই হয় ;
একাগ্র চিত্তে আসে সত্যের জয়।
সুস্থ মন ভালো থাকতে চায়;
মনের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হয়।
সুস্থ চিন্তা মনে যেন থাকে;
ভালো মন আনন্দ দিয়ে ঢাকে।
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
আসতে পারে সে
আজ
ঘরে একা
দরজাটা খোলাই রেখেছি
খিল নয় ভেজিয়ে রাখা
হয়তো সে আসতেই পারে আজ
হতেই পারে পুরোনো সেই সব খুনসুটি।
দিনালোকে হয়না বলেই এখন আসবে গুটিগুটি
তুচ্ছ হবে অন্য সব কাজ
খোলা হবে আটহাঁড়ির ঢাকা
চাদর টানটান পেতেছি
দরজায় টোকা
বাজ।
(২)
চিঠি
চিঠি
আসেনা আর
বিজয়া দশমীর পর
উঠে গেছে ছোট্ট পোষ্টকার্ড
হোএ্যাপ ম্যাসেঞ্জারে সবাই বিজয়া সাথে
দুকলম লেখার ধৈর্য্য আজ আর দেখিনা।
নিকট দূর কোন সম্পর্কই কেউ মানিনা
দেখনদারিতে হুড়মুড়িয়ে পড়ি মুঠোফোনের ঘাড়ে
সবাই সবার চেয়ে স্মার্ট
আগলাচ্ছি শুধু বালুচর
ভাসেনা অপেক্ষার
দিঠি ।
নিশীথ সূর্যের দেশ
চিত্তরঞ্জন গিরি
দক্ষিণের বাতাস প্রতিবিম্ব আঁকে
তাল কোটায় যত হা-হুতাশ
তুমি জলাশয় হতে পারলে কই
সারমেয়রা পথ আগলায়
তাই প্রাচীন পাণ্ডুলিপি
আমায় একলারাখে
সর্বদাই
ক্ষয়ে ক্ষয়ে কঙ্কাল অগ্নিবীণা
ভাঙ্গে বাঁধ,
ছায়ার আবেশ
বিপ্লব ,তুমি কথা কও !
গোধূলির বুক চিরে
ভারতবর্ষ ,তুমি আঁক
নিশীথ সূর্যের দেশ !
এক মাটির সন্তান
নির্মল সরকার
একই মাটির একই আকাশ
জল-বায়ু একই বাতাস ।
একই সূর্যের আলোয় ভরা পৃথিবী
তবে মাটিকে কেন করছো ভাগাভাগি ।
যদিও প্রকৃতির ভিন্নরূপ !
একই দেহের গঠনে মানুষ গড়া ।
মানুষে মানুষে কেন হানাহানি -
ভেদাভেদ-বিচ্ছেদ খুনাখুনী ।
মা-যে ,মা-ই- হয়, সবার জননী -
কেউ বলে Mother- আম্মা- মাম্মি- মম, তাও জানি ।
শত শত লক্ষ বছরের জন্ম এই শান্তির পৃথিবী ।
তবুও কেন, যুদ্ধ- বোমা - বন্দুকের গুলিতে গরিবের প্রাণহানি ।
ক্ষমতার শাসনে কখনো দেশ গুলি -
মুজুত খাবার সাগরে ডুবায় ।
দীন- দুঃখী -অসহায় মরে ক্ষুধার জ্বালায় ।
মানুষ হয়েছে টাকার গোলাম,
কেউ থাকে খোলা আকাশের নিচে কেউ অট্টালিকায় ।
আমার ভালো লাগে
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
নীল আকাশের নিচে গোরুর পাল,রাখালের বাঁশি আজও আমার ভালো লাগে,
মাঝির কন্ঠে ভাটিয়ালী গান,করিম চাচার মাছ ধরা,এই সব মনে আনন্দ জাগে৷
জাহানারা,সুলতানা জুলি,কবি বান্ধবী আমার,
সঞ্চিতা,ক্যামেলিয়া,
শুভজিৎ আরো অনেক কবির সাথে আছে মিল৷
নন্দিতা ভালো লাগে কবিতা তোমার,
সবাই যে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাও,মিলেমিশে থাকতে বলো,
মাথার উপরে নীল আকাশে উড়ে যায় কত পাখি ও চিল !
জীবনের পথ পাশাপাশি বন্ধুর মতো যাই চলো৷
ফ্রান্স
উমর ফারুক
পশ্চিমারা দুর সীমানা থেকে
সম্প্রীতিতে অটুট ছিল কাল
আজকে এসে ধরলো রাজার হাল
ধর্ম তুলে দিচ্ছে গলা গাল
কেমন রাজা কি বা তাহার চাল!?
ধর্ম সবাই ভালো চোখে দেখে
কে কোনটা মানবে সেটা কার তাতে কি
কোন নরাধম দিচ্ছে ঢেলে অগ্নিতে ঘি
যিশুর বাণী দিচ্ছ ঢেকে কোন ক্যাথলিক
থাকবে কি আর সম্প্রীতি?
ধর্ম কেবল তোমার আমার অনুভূতি
দেশের বুকে ছড়িয়ে আছে নানান প্রীতি
মানুষ মাঝে ভক্তি মায়া ছড়িয়ে গেছে
কোন নরাধম বলেছে নবীর ছবির আছে
নবীর উম্মত সইবে কি আর এই অপমান?
এই ধর্মে প্রতিমূর্তির নেই অবদান ।
যিশু যদি থাকত বেঁচে করত কি তা
এই কি সময় বিদ্মেষ বীজ গজিয়ে ওঠা
ফ্রান্স তুমি ভাই সতী মায়ের কোল
ধরবে না তাই এমন অসুর দল
কুঞ্জকানন থাকায় তোমার কাজ
তাড়িয়ে দেওয়া শকুন শেয়াল বাজ ।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে
কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)
খুবই সুন্দর । বৈচিত্র্যময় সুন্দর আয়োজন
উত্তরমুছুনআমি আজ নিবেদিতা সম্পর্কে আমি লিখেছিলাম ।আমি বাগবাজারের নিবেদিতা স্কুলে পড়তাম ।আজ তার এই মাসে তার জন্মদিন মৃত্যু দিন আমি খুশি ছিলাম ওনাকে নিয়ে লিখতে ।কিন্তু সবচেয়ে বড় ভুল আমি আজ 30 10 2020 লিখেছি ।আজ উনত্রিশ তারিখ ।ভুল ।
উত্তরমুছুনI am applosing as I wrote 30 th Actober instead of 29 ..sorry .Please consider me .mistake is mistake but mistake is the key of sucess too ..mistake if we do that's great too because I can get chance to recorrect kindest regard s Susmita Dey
As your opinion you can see my writings ..I do honor your decision..I am really happy with your decision..I am learner ..your advice is the best help to me ..at your own best kindest regards to respected Sir ..and Madam ..Susmita Dey
উত্তরমুছুন