বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 22/10/2020

 উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 22/10/2020



*********************************

আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে  বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

100% ইনকাম ও  Real payment 

**********************************

"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
                 (ওয়েব ম্যাগাজিন)     

প্রকাশ কাল:-22/10/2020, বৃহস্পতিবার
               সময় :- সন্ধ্যা 6 টা 


সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ

সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ

যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
                  ১) ইমরান খাঁন
                  ২) শেখ মণিরুল ইসলাম


সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577

✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒    








🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥🔥


চুরির ইস্তাহার
      মহীতোষ গায়েন

চুুুরি হয়ে যাচ্ছে মন,বন,উপবন
উপত‍্যকা পাহারাহীন,
চুরি হয়ে যাচ্ছে রক্ত মাংস
শরীর অনন্ত উত্তাপহীন।

চুরি হচ্ছে ভালোবাসা,প্রেম
চুরির দেবতা হাসে,
চোরেরা দিব‍্যি আছে
বার বার ফিরে আসে।

সব সুখ,সব আশা চুরি হচ্ছে
মানুষ তাকায় শুদ্ধশীল,
আকাশ ,ফুল,পাখি,গাছ
তবুও উদ্ভাস অনাবিল।

বাটপার ব‍্যাপারিরা সব কবিতা,গান
চড়া দামে বিক্রি করে,
ক্রেতারা আনন্দে কাটায়
সুখের অসুখে মরে।

আদালত বসে,বিচার শুরু হবে
আসে গোয়েন্দা,পুলিশ,সাক্ষী
তলে তলে এরাও বিক্রি হয়
টের পায়না সাধু কাকপক্ষী।





মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)

পোষ্টান

পোষ্টান
আনন্দে পোষ্টান
আপনার পুজোর মেনু 
সারাদিনের  সাজগোজ হৈচৈ খাওয়াদাওয়া
ফেসবুকে করুন নাহয় লাইভ প্রোগ্রাম
আমরা বুঝবো আপনি পুজোয় আনন্দে মশগুল।

বাজারি হাতছানিতে বাইরে বেরিয়ে করবেননা ভুল
  নিমতলা বা কেওড়াতলায় ওঠাবেননা নাম
এবার উৎসবে অন‍্যরকম পাওয়া
মনেতে বাজুক বেণু
আনন্দে কাটান
কাটান ।

(২)

  একটু অন্যরকম

যে
ছেলেটি রোজ
শুকনো মুখে  ঘোরে
গায়েতে যার ছেঁড়া জামা
পুজোর মজা নেই তাদের ঘরে
তারা শুধু খাবার খুঁজে খুজেই মরে।

আমরা যারা দুবেলা বাঁচি খেয়ে পরে
তাদের জন্য কিছু দেখাই করে
দিন একটা নতুন জামা
খুশিতে পাক ভরে
খাবারের খোঁজ
সে।





কনফারেন্সে বাঙালি
    অগ্নিমিত্র

  এ যাবৎ অনেক কনফারেন্সে  গেছি । অনেক বাঙালির কীর্তিকলাপ দেইখ্যা স্তম্ভিত হইয়া গেসি।
  এরা অনুষ্ঠানে শুরুতে থাকে, তারপর বেড়াতে বারাইয়া যায় । কেউ ঘোরে, কেউ শপিং করে ! জয়পুর বা গোয়া বা হায়দ্রাবাদের মতো জায়গা হইলে আর ত কথাই নাই । কিইন্যা কিইন্যা পাগল হইয়া  যাইবো।
  এখন কিছু বদল দেখত্যাসি, তাও কনফারেন্সে মদ্য পাওয়াই যায় । বাঙালি টাকা উশুল করনের লাইগ্যা দিনরাত মদিরা উদরসাৎ করে। কইরা সন্ধ্যা নাগাদ তার চলন বলনেরও খ্যামতা লোপ পায় । মেঝেতেই শুইয়া ঘুমাইয়া পড়ে।
  সারাদিন বাইরে ঘুরলেও খাওনের সময়ে বাঙালি ঠিক কনফারেন্সে  হাজির হয়। চিকেন বা মটন হলে সেখানেই দাঁড়াইয়া বেবাক খাইতে থাকে। থালা খালি হইলে আবার ভইরা লয়।
  এই হইল গিয়া বাঙালিদের কনফারেন্স বৃত্তান্ত । তাও একথা সইত্য যে বাঙালি এনজয় কইরা লয় । জিও বাঙালি !!..





দুর্গা
সত‍্যব্রত ধর

শরৎকালের অপেক্ষায় সারাটা বছর কাটার পর,
মাটির প্রতিমায় দুর্গাকে খুঁজছেন...?
মা দুর্গা তো সমাজের সর্বত্রই রয়েছে!

যে মেয়েটা সব ইচ্ছে, স্বপ্ন, পড়াশোনা জলাঞ্জলি দিয়ে দু-মুঠো ভাতের লোভে,
রোজ সকালে পরের বাড়িতে এঁটো মাজে...
সেই তো দুর্গা!

যে মেয়েটা পরিবারের হাল ধরতে, বাবা-মার ওষুধের টাকা জোগাড় করতে
সেজেগুজে রোজ রাতে রাস্তায় দাঁড়ায়...
সেই তো দুর্গা!

যে মেয়েটাকে গতবছর পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে কিছু অসুররূপী নেশাতুর মানুষ
আয়েশ করে ভাগ করে খেলো...
সেই তো দ দুর্গা!

যে মেয়েটাকে বিয়ের পরেই পণের জন্য নানাভাবে অত‍্যাচারিত হয়ে
শেষে আগুনে পুড়ে মরতে হলো...
সেই তো দুর্গা!

যে মেয়েটাকে বখাটে ছেলেটার প্রেমের আবেদন নাকচ করায় বিভৎস
অ্যাসিড অ্যটাকে মুখ পোড়াতে হয়েছিলো...
সেই তো দুর্গা!

যে মেয়েটা সংসার সামলে স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ, সামরিক বিভাগ ইত্যাদিতে
রাত জেগে ডিউটি করে...
সেই তো দুর্গা!

এমন হাজারো দুর্গা ছড়িয়ে রয়েছে আমার-আপনার বাড়িতে,
পাড়ায়, গ্রাম-শহরে, রাজ‍্যে, দেশে...
তারাই তো আসল দুর্গা!






অনন্ত পিয়াসী
       সাফরিদ সেখ

আমি প্রথম চাকরিতে যোগ দিয়েছি সবে।
পলিশ অফিসারের চাকরি সেটা।
আমাদের যেতে হবে রেড করতে পাশের গ্রামে।
আপত্তি বা আগ্রহ কিছুই নেই মোর।

ব্রেক করে গাড়ি দাঁড়ালো মোড়ের একটু দূরে।
আপনি এখানে দাঁড়ান আমরা  রেড এ যাচ্ছি।
দুটি চোখ আটকে যায় জানলার শিকে।
ফর্সা মুখের থেকে আলো ঘুরে আছে গাড়ির কাঁচে।
চোখ কেবল মুখের মধ্যে গড়াগড়ি করে।
কখনো ওষ্ঠের অগ্রভাগে।আবার নরম চিবুকে।
টিকালো নাক।ফর্সা মুখে লাগছে ভালো।
টানা টানা সেই চোখ শান্ত সমুদ্রকে ডাকে।
নিয়ে যায় অতীতের সেই ভালো লাগার কাছে।

এর পর কত বার গেছি সেই গ্রামে ।
কিন্তু সেই দিনের দৃশ ভুলিতে পারি না।
আজ খুঁজি সেই আঁখি।সেই নাসা।
বার বার চাই ডুবে যেতে তার রূপের সায়রে।

১০ বছর হলো চাকরির ।বেতন নিলাম ১২০ মাসের।
হয়তো এক মাসের বেতন দিতাম তারে।
জানি সে আজ অন্যের বউ।বা মা।
আমার কাছে সে কেবল শ্রাবনী হোক।
প্রতি রাতে বৃষ্টি হয়ে নামুক আমার চোখে।
বৃষ্টিরছাট আমার ভিজিয়ে দিক বার বার।
বেঁচে থাক হাজার বছর।অনন্ত কাল।
আমি অনন্ত কালের পিয়সী হবো।




শারদ
উমর ফারুক

শারদ এলো শরৎ কালে
জাগিস রে অধম!
মর্গে কারোর জীবন কাটে
ক্ষুধাটা নয় কম।
কাশের ফুল বকুল চাপা
শারদ শিশির ঝরে
পূজ্য কেহ ভক্তি ভরে
সত্যি কেহ মরে।
নকল মানুষ হাজার অযুত
আসল মানুষ নাই
অন্ন মেলে না তাদের মুখে
যাদের ক্ষুধা পায়।
ঝিমোই আকাশ মুখটি তুলে
শারদ ভোরে ডাক
কালো বেড়াল উঠলো মেতে
উল্টো দিকে বাঁক।
ইতিহাসে উল্টো পাতায় লেখা থাক।
শারদ কালে খুব সকালে
ডাকছে রে দাঁড়কাক  !






শৈশবের দূর্গোৎসব
      বিপ্লব গোস্বামী

মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া
শৈশবের দূর্গোৎসব,
বিকেল হলে পাড়াসুদ্ধা
পূজোয় যেতাম সব।
হেঁটে হেঁটে দেখতাম পূজো
ছড়তাম নাতো গাড়ী,
রাত বাড়লে ক্লান্ত দেহে
ফিরে আসতাম বাড়ী।
পূজোর কদিন অঞ্জলি নিতে
করতাম নাতো ভুল,
শিশির ভেজা প্রভাত বেলা
তুলতাম শিউলি ফুল।
ধুনুচি নাচ করতাম আমরা
ঢাকের তালে তালে,
বান্ধবী সব নৃত‍্য করতো
কোমর দোলে দোলে।
আজ সেসব হারিয়ে গেছে
পাইনি খুঁজে আর,
ভীষণ পেতে ইচ্ছে করে
সেদিন আরেক বার।






আমাদের হোস্টেল
     আব্দুল রাহাজ

আমাদের হোস্টেল  বিবেকানন্দ হোস্টেল
নামটি দেওয়া বর্ধমান থেকে আগত তন্ময় দার
দেওয়াতে।
সারাদিন হৈ-হুল্লোড় কলেজ থেকে আসা তারপর নানা গল্প নানা আড্ডায় কেটে যাওয়া সময় টা
পড়াশোনা জোর তিন ঘন্টা সারাদিনে
বাকি সময়টুকু ভলিবল আড্ডাতে কেটে যায় দিনগুলো।
রবিবার আসলে পরে
পরিষ্কার হয় আমাদের বিবেকানন্দ হোস্টেল।
আশিসের বিকৃতি গান সৌভিকের রবীন্দ্র সংগীত সবই যেন হোস্টেল এক আনন্দময় পরিবেশ করে তোলে।
খাওয়ার সময় চলে অদ্ভুত বিষয় নিয়ে গল্প কারণ অকারণে সবাই হো হো করে হেসে ওঠে সেকি এক আনন্দ। ক্যারাম খেলা থেকে শুরু করে   করে ভলিবল সবেতেই যেন বিবেকানন্দ হোস্টেল সেরা।
জন্মদিন আসলে পরে হোস্টেল হয়ে ওঠে উৎসবময়ী পরিবেশে
সেই সঙ্গে চলে নাচ-গান খাওয়া-দাওয়া
সেএকআলাদা পরিবেশ নিয়ে আমাদের বিবেকানন্দ হোস্টেলের দিনগুলো কাটে।






বিশ' এর পুজো
        সুশান্ত মজুমদার

এবার নয় হেঁটে,
দেখো পূজা নেটে।
মাস্কে মুখ ঢাকো,
দূরত্ব বজায় রাখো।
নিয়ম নীতি মেনো,
নইলে বিপদ জেনো।
হোক  খুশি অল্প,
জমা থাক গল্প ।
পাক মন যাতনা ,
জীবন নয় ফেলনা ।
নিয়ে প্রাণে ঝুঁকি,
আউটিং থাক বাকি।
জানে বাঁচো যদি,
সুখ পাবে হৃদি।
আবেগ করি পরিহার,
কর হিসাব বরাবর ।
গড্ডলিকা প্রবাহ দিয়ে,
নিজেরে দিওনা ভাসিয়ে।
অন‍্যের জীবন রাখো,
নিজে সুস্থ থাকো!






মায়াবিনী
      জুয়েল রূহানী

স্বপ্ন ডানায় ভর করে আয়
পাতালপুরী হতে,
স্বপ্ন রূপের স্বর্গ-ছাঁয়ায়-
দু'জন রব মেতে।

হৃদ যমুনায় ঢেউ তুলে আয়-
অতল সাগর হতে,
ঢেউয়ে তারে তাল-বেতালে-
দু'জন রব মেতে।

স্বর্গ রানীর রূপ উপমায়-
স্বর্গীয় হুর রূপে,
স্বর্গ রথে ভর করে আয়-
সন্নিকটে চূপে!





নন্দিনী ও নন্দিনী
       অলোক রায়

ভালোবাসা সে কি মিথ্যাচার,
তব প্রেমে আবারও অজান্তেই মগ্ন হলেকরবে কী বিচার।
অতীত সরণি ভুলিনি আমি,
জোর করেছো ভুলতে শুধু তুমি।
ছাইপাশ মেখে অবশেষে,
ডুব দিলে আবেগে নিজের সর্বনাশে।
তখন বুঝিনি বেশি ভালবাসে যে,
তাকেই মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে হয় অবশেষে।
তোমায় বলা প্রতিটি শব্দের গায়ে লিখেছি কতবার,
শুধু তোমাকেই ভালোবাসি প্লিজ বোঝো একবার।
আমি সরালাম নিজেকে কথিত ত্যাগে,
ভাবতে তো পারতে একবার মিথ্যা আমাকে মিথ্যা আবেগে।
এ যে স্বপ্ন নয়,
রূঢ় বাস্তবে সরল ভালোবাসা দায়। সম্পর্কের বাঁধনে বন্দি হলে তুমি,
আর আমি হলাম অসহায়।
মানসকল্পে তোমার মুখাবয়ব
যেন অশ্রুধারার স্বরূপ,
ভালোবেসেও দূরে সরালে কি সুন্দর অপরূপ।
ভাবনা গুলো আজ বন্দী মনের স্বপ্নীল ক্যানভাসে,
তাই বুঝি আবেগের মূর্ছনায় বাস্তব হাসে।







                     " আপনপর "
            হামিদুল ইসলাম
                     

সুখের কথায় সুখ ভরে ওঠে
মাঠের মাঝে করি দরবার
সত‍্য ত্রেতা দাপরে যা প্রয়োজন ছিলো না
কলিতে এসে ঠেকেছে প্রয়োজন সবার ।

একবিংশ শতাব্দী বিভৎস
অত‍্যাচারের মাঠ
কারা এলো কারা গেলো
খবর রাখে না শ্মশানের আগুনে পোড়া কাঠ ।

আর কতোদিন বাকি
মন্দ বিশ্ব বাজার
বাড়ির খবর রাখে না মানুষ
মানুষ এখন নিজেই হয়ে যায় পাচার  ।

সত‍্যের সাথে এসো
চিরদিন করি সত‍্যের সাথে ঘর
মানুষ প্রতিদিন ধ্রবতারা হয়ে উঠুক
একাকার হয়ে যাক আপনপর ।





নবীশ
    বদরুদ্দোজা শেখু

মন-মরা হ'য়ে থাকি , বাঁধা রুটিনের
দিন যায় ক্লাশ ক'রে নোট লিখে বক্তব্য বানিয়ে
দলগত আলোচনার সভায় , বিরক্তি জাগায় প্রায় সব
বক্তাদের অত্যধিক শিশু বিষয়ক মগজ ধোলাই ,
সুবোধ ছাত্রের মতো চুপচাপ শুনি ,
বক্তা-পরম্পরা পুস্তক-তত্ত্বের সাথে প্রায়োগিক
বাস্তবের বিরাট ফারাক কান ঝালাপালা করে,
বিশেষতঃ ওঁরা যে আদর্শ  পরিবেশের অভিজ্ঞান বর্ণনা করেন
হাভাতে হাঘরে এই  দেশটার গ্রামগঞ্জে তার কণা কানাকড়ি
মেলাই দুষ্কর , তবু সেই শিশুবিদ ফ্রেডরিক
হার্বার্ট ভল্টেয়ার মন্টেশরী রুশো
প্রমুখ মহাত্মাগণ ভরসা যোগান , তাই কষ্টেসৃষ্টে
নবীশি মহড়া নিই দ্রুততালে নিয়ম-নিষ্ঠায় ,
অবসরে খবরের পাতায় বুলাই চোখ , বিজ্ঞাপক দূরদর্শন  ক্বচিৎ দেখি দল বেঁধে
সাপ্তাহিক সিরিয়াল দীর্ঘ রামায়ণ । মন প'ড়ে
থাকে দূর অখ্যাত গ্রামের এক বসত বাড়িতে
, প্রতীক্ষায় থাকি রোজ বাড়ির চিঠির ;
অনেকের আসে । ঘনঘন । আমার আসেনা ।
তবু প্রত্যাশায় থাকি । চিঠি দিই নিজে ।
এখানের বিষয় জানাই । রাজমা রোঁচে না মোটে ,
খাওয়া-দাওয়া বন্দোবস্ত এলাহি বহর বটে তবু ।
অত্যধিক গরমে বিব্রত আছি , মরমে আহত ----
উগ্র প্রাদেশিকতার বোধ
বন্ধুরা বাড়ায় প্রতি পদে , মিলজুল অনুষ্ঠানে
অগ্রাধিকার প্রাধান্য নিয়ে মতান্তর হয়,
সম্প্রীতির মাহাত্ম্য ব্যাহত হয় , স্বাধীন কাশ্মীর খালিস্তান
গোর্খাল্যান্ড সূক্ষ্ম ওত পেতে থাকে
সমর্থক সতীর্থ বন্ধুর মনে ,ঐক্যে চিড় ধরে ---
দূরত্ত্ব বজায় রেখে নিজ-বর্গে ঘুরে অনেকেই
, অনেকেই অন্তরাল সন্দেহ-প্রবণ ঝানু
রাজনীতিকের মতো ইতিউতি মেলামেশা করে  । এর চেয়ে
ওই দু'চার দিনের কিংবা
হপ্তা খানেকের জন্য নবীশ আসছে যারা,
চ'লে যাচ্ছে ক'দিন বাদেই, তাদের সান্নিধ্য
পরিচয় অনেকটা নিরাপদ  হাসিখুশী
সহজ সুলভ মনে হয় ; হয়তো তারাও এই বোধ থেকে
মুক্ত নয় , তবু তারা এখানের
পরিবেশ বিষাক্ত করে না, এই অভিধায়
তারাই প্রশংসার্হ , আমরা ভিজে বেড়াল ।






দশভুজা পুরুষ 

        গৌতম ভৌমিক


নারী যদি হয় দশভুজা 

তবে পুরুষ কেন নয়!

বিশ্ব সংসারে দশভুজা পুরুষ ও হয়

আদি থেকে শুরু করে 

পুরুষ সংহার কর্তা যদি হয় 

পুরুষের পৌরুষে তবে সর্ব জীবের বাস হয়। 

সংসারে নারীর সাথে পুরুষের দায়িত্ব কম নয়

কোন অজুহাত ছাড়া পুরুষ ও বারোমাস খাটে 

সত্য একথা বলিবার কেহ নয়! 

পুরুষ যদি হয় অর্ধনারীশ্বর 

তবে দশভুজা কেন নয়!


 








ভালোবাসার গল্প
      সুরাইয়া আয়াত

কথায় বলে বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে শরীর ও মন উভয়েরই বার্ধক্য নেমে আসে , আমার ক্ষেত্রে তা কতোটা গভীরভাবে ছাপ ফেলেছে তা ঠিক স্মৃতি গোচর হয়না ৷

একান্তের জীবন বেশ আছি, তবে পুরনো স্মৃতিগুলো বড্ড বেশি সাড়া দিয়ে যায় সবসময় ৷

চেষ্টা করি সকলের মাঝে থেকেও সমস্ত দুঃখকে ভুলে যাওয়ার , তবে দিনশেষে আমি বড্ড একা ৷

একা মানুষ আমি, সঙ্গী বলতে বৃদ্ধা মা ৷ অনেকবারই বলেছেন বিয়ে করতে তবে সে কথা দ্বিতীয়বার ভেবে দেখিনি ৷ কথাগুলো ভাবতেই দীর্ঘশ্বাসটা আপনাআপনিই বেরিয়ে আসে ৷ সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না , অবশিষ্টাংশ হিসেবে থেকে যায় পুরোনো স্মৃতিগুলো যা হয়তো চাইলেও কখনো মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয় ৷

নিজের প্রিয়তমাকে পেলে আজও হয়তো অফিসের যাত্রার প্রারম্ভে ভালবাসার পরশ একে দিতাম তার কপালে , দিন শেষে বাড়ি ফিরলেই কপালে জমে থাকা বিন্দুবিন্দু ঘাম গুলোও হয়তো সে তার শাড়ির আঁচলটা দিয়ে মুছে দিত ৷

কথাগুলো যখনই মনে আসে বারবার গম্ভীরভাবে কম্পিত হয় আমার হৄদয় আর বারবার জানান দেয় প্রিয়তমার অনুপস্থিতি ৷

তার বিয়ের পর আর নিজের অগোছালো জীবনটাকে দ্বিতীয়বার গুছিয়ে নেওয়ার বৃথা চেষ্টা করিনি ৷

অফিসের অল্পবয়সী ছেলেটাও মাঝে মাঝে শোনায় তার ব্যর্থ ভালোবাসার কাহিনী , উপলব্ধি করতে পারি তার হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা কষ্টটা, সকলের সামনে ফুটে ওঠা হাসির মাঝে তা দৃশ্যমান না হলেও দিনশেষে সকলের অনুপস্থিতিতে হয়তো কষ্টগুলো বড্ড বেশি আঘাত করে ৷

মাঝে মাঝে ভাবি যে তাকে এ ব্যাথার সুরহা দেবো, কিন্তু কথাগুলো গলা অবদি এসে আটকে যায় বলতে পারিনা ৷ আর এত বছরে নিজের মনটাকেই যখন শান্তনা দিতে পারিনি তো এখন সেই কমবয়সী যুবকটিকে আমি কি করে বোঝাই !

একদিন একটু বেশিই আবেগআপ্লুত হয়ে বলে ফেলেছিলাম আমার জীবনের অসমাপ্ত আর অপূর্ণতায় ভরা ভালোবাসার কাহিনী ৷

সমবয়সী ছিলাম আমরা , বয়সের পার্থক্যও যে খুব একটা বেশি তাও নয় , অনুভূতিগুলো প্রকাশ হতে শুরু করে ধীরে ধীরে , ভালোলাগাগুলো ভালোবাসাতে পরিণত হয় ক্রমান্বয়ে ৷ যৌবন কালের প্রেমগুলো যে একটু বেশি আবেগমিশ্রিত হয় সেটা বোঝার ক্ষমতা হয়তো তখন ছিল না ৷

হাজারো ভালোবাসাগুলো যে কেবল প্রকাশের ব্যর্থতার কারণে সমাপ্তি ঘটে তা নিজের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছি ৷

নিজের হাতে সাজিয়ে ছিলাম প্রিয়তমাকে তার বিয়েতে ৷ চোখের জল গুলোও যেন শুকিয়ে গিয়েছিল সেদিন ৷
নিজের জীবনের সাথে তাকে জুড়তে আমার চোখের ভালোবাসায় তাকে যেমনটা সাজাতাম ঠিক তেমনটাই সাজিয়েছিলাম তবে নিজের বধু বেশে নয় অপরের বধু রূপে ৷

ভালোবাসার তুলনায় সেদিন বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল সামাজিক দায়বদ্ধতা ৷

সে ছিল আমার প্রতিবেশী , সামাজিক বাধ্যবাধকতার কারণে পিছিয়ে এসেছিলাম উভয়েই , না হলে হয়তো শীতের কুয়াশার দিনে ভালোবাসার চাদরে মুড়ে নিতাম তাকে ৷শীতের দিনেও একমুঠো রোদটাও তার জন্য এনে দিতাম ৷

ব্যর্থ আমি ! ব্যর্থ আমার ভালোবাসার !

             
                 ___________💔__________

[বিঃদ্র : বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে লেখা ৷
[ লেখনীতে : সুরাইয়া আয়াত ]







এমাজদ্দিন সেখ এর দুটি কবিতা


আকাশে অসংখ্য তারা মিট মিট করছে l
আপন তালে  নিজগুণে ব্যস্ত ভুবন l
  কোটি তারার মাঝে চাঁদ কিন্তু একটাই !
অ-নে-ক চাঁদ দেখেছি আমি ;  রূপও নানান ---
তবু বন্ধু , তুই আমার ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার  চাঁদ !!
জানি , তোর অনেক দোষ ;  তবুও তোর তুলনা শুধুই তুই ll


বামে , নাকি ডানে ?
উজানে ,না ভাটির টানে ?
কোন খানে , কোথা জীবন দিশা?
অতীতে  আছে প্রাণের টান ;...
ভবিষ্যৎ দেয় লোলুপ  হাতছানি  !
হে প্রেরণাময়ী , এদ্বিধায়  দাও সত্য দিশা !
আজীবন যেন রই সত্য দৃপ্ত শিখা ; ...
যতক্ষণ প্রাণ আছে সঙ্গ দাও হে সখা !





সমস্যা কি?
     সুস্মিতা দে

**If there is a will there is a way ***

আপনি কোথায় ছিলেন ?
এই তো এখানে ,আজ পাখিদের ডাক্তার বাবু  আসবেন কথা দিয়েছেন রক্ত ঝরছে না? এই একটি  খাঁচা তাতে কতো পাখি সবাই মাথায় একে অপরকে ঠোক্কর দিচ্ছে ।রক্ত ঝড়াই স্বাভাবিক ।
অকূল দরিয়ায় বুঝি কূল মিলেছে ? ডাক্তার বাবু  এসেছেন।জীবনের তরী টি কে সাজিয়ে নেবেন বলেছেন?আমাকে কূল থেকে নিয়ে যায় কতো কূলে, সমাধান সমস্যা বোঝে না।
সীমানা ,তেপান্তরের মাঝে বা কখনো মহাশূন্যে কখনো বা চাঁদে আমাকে যেতে হলে সাহসী হতে হবে।কূলের সমস্যা ও সমাধান করতে গেলে কূল বানাতে হবে।

আমি সাহসী হয়েছি যে কাজ করতে পারে না আমি সেই কাজ আমি  সবার আগে করি।আজ আমি সবার আগে ঠাকুমার ঘরে যতো ঠাকুর ছিলো সব বার করে নিয়ে রান্না ঘরে রেখে দিয়েছি।

আমি জানি ঠাম্মার কষ্ট        হবে আমি করবো কি?
ঠাকুমা ছুটে চলেন। অকূল দরিয়ায় বুঝি কূল নাহি রে ।
বুঝেছি । আমার  সব পাখি রা খাঁচা তে থেকে অনেক কষ্ট করবে পূজার উপহার আমাকে বড়ো খাঁচা দাও কিনে ।

কথা শুনবে না ? মা ঠাকুমা মিলে অষ্টমীর অঞ্জলি দেবো বলে জামা এনেছেন? কবে মানুষ কূল চিনবে অকূল দরিয়ায় বুঝি কূল নাহি   রে ।আমি থাকতে আমার ময়না  টিয়া বদ্রী পাখির কতো বাচ্ছা হয়েছে ? বুঝতে পারছি না এইবার কি করি? বলেই  মুন্নি সোজা খাঁচা  থেকে কিচিমিচি সব বদ্রী পাখি কে কূল দিয়েছেন।

কূলের নাম ঠাকুর ঘর ঠাকুমা তার মতো তার স্বরে চিৎকার করে আমার ঠাকুরের ঘরটি  ছিলো তোর পাখির কলঘর হলো । বুঝি!  ঠাকুমা মা সকলে মিলে একসাথে মায়ের ঘরে শুতে গেছে  আস্তে  আস্তে মায়া পড়ে পাখির বাচ্ছাদের উপর।

কূলের ঠিকানা আনন্দের মুক্ত মনের ঘর। ঠাকুমা সুস্থ হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে গান কন্ঠ ভরা ঠাকুরের ঘরে গান গায় তীর বেঁধা পাখি আর গাইবে না গান । আমি বাঁচাবো  আরো কটা বছর। গান শুনতে  ইচ্ছে জাগে ।






👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা  
     "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"

লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে



কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই  যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇

১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প 
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
        Poem, Short story, Story, Essay 


• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান 
• 9593043577 এই নং তে 
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন  "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"  

পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন) 



৩টি মন্তব্য:

  1. মহাষষ্ঠীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা । খুব সুন্দর হয়েছে ।
    আয়োজন কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

    উত্তরমুছুন
  2. বেশ ভালো লাগলো আজকের সংকলিত কবিতা গুলি। নতুন মুখ কজন এ-র লেখা পড়লাম। সকলের লেখায় সাহিত্য গুণ কম বেশি মেলে।

    উত্তরমুছুন