উপকণ্ঠ কোজাগরী সংখ্যা-30/10/2020
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-30/10/2020, শুক্রবার
সময় :- রাত 6:30 টা.
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
কোজাগরী
সুশান্ত মজুমদার
কোজাগরী লক্ষী পূজা বিশ্ব জোড়া নাম;
অর্চিত হন দেবী সকল ঘরে ঘরে,
শারদের পূর্ণিমাতে মহা ধূমধাম;
ধন ঐশ্বর্য বৈভবে যদি ঘর ভরে!
চারিভিতে খড়িমাটি আলপনা আঁকে,
ভক্তি যোগে পূজা হয় নানা উপচারে;
নতুন বসন পরে মাতৃ মূর্তি রাখে।
ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ করিবারে।
নিজ লক্ষী চুপিসারে দিয়ে বিসর্জন;
নকল লক্ষীকে নিয়ে টানাটানি করে!
পাপান্ধ দুনিয়ায় পাপেতে মজে মন,
আসল লক্ষীর আত্মা ঘোরে চরাচরে।
নাহি জানে দোষ কিবা ছিল তার হায়,
ভ্রুণ হতে যমরাজ কেন নিয়ে যায় ?
কোজাগরী
পিনাকী মুখার্জী
মন্থন ক্ষণে যার জন্ম
সমুদ্রে কভু বা হৃদয়ে ,
অমৃতে যবে বিষ মিশে
তারে চায় দিতে বিষিয়ে !!
শতরূপা সে কখনো রাস্তায়
দ্বারে , কখনো বা রান্নাঘরে !!
কখনো মেয়ে রূপে বেড়ে
ওঠা , বাবার বড় আদরে !!
লালসা অযত্নে যার কভু
অকাল মৃত্যু , ঘৃণা অনাদরে !!
সেই তোমারই আরাধনা , মা
এসো ঘর আলো করে !!
জ্যোৎস্নার অমল আলোয় আজ
কেটে যাক জমা আঁধারি !!
তোমার আলোর জ্যোৎস্না ছোঁয়ায়
যেন ওঠে জেগে বিভাবরী !!
ফিরছে ঢাকী
আভা সরকার মন্ডল
গ্রাম ছাড়িয়ে মেঠো পথে ভাসান শেষে ফিরছে ঢাকী
যেতে যেতে বলছে হেঁকে তাকে যেন মনেই রাখি ।।
আকাশ আবার নীল হবে আর কাশের ফুলটি ঢলো ঢলো
ফিরবে নিজেই একা যখন করবে শিশির টলোমলো।।
ঢাক বাজাতে আসবে আবার দুর্গা মায়ের আশীষ পেলে
দুয়ার সে তো খোলাই পাবে আবার বছর ঘুরে এলে।।
হেমন্ত-শীত, বসন্ত আর গ্ৰীষ্ম কাটবে আশার দোলায়
বর্ষা কেটে গেলেই আকাশ ভরবে সাদা মেঘের ভেলায় ।।
শিউলি ফুলের আমন্ত্রণ আর পদ্মপাতার হাঁকে-ডাকে
ঢাকটি কাঁধে নৃত্য ঢাকীর ফিরতি পথের বাঁকে বাঁকে।।
তুমি আমার লক্ষী মাতা
অনাদি মুখার্জি
লক্ষী পূজোতে গড়ি আমি লক্ষীর প্রতিমা ,
চালের দোকানে আর বাড়িতে হয় সেই পূজা !
ধূপ ধূনো দিয়ে শঙ্ক বাজিয়ে ঘর আলো করি ,
এই দিনে মা সবাই তোমাকে ভক্তি করে !
খিচুড়ি আর নারকেল নাড়ু হয় তোমার প্রসাদ ,
তাই আমি মা তোমাকে ভক্তি দিয়ে করি প্রনাম !
মাগো তোমায় একটি কথা বলি আমি ,
তোমার মতোন সমাজের নারীরা পায় যেনো সন্মান !
তুমি হলে মাটির তৈরী লক্ষী মা যে আমার ,
রক্ত মাংসের গড়া নারী তো তোমার মতোন মা ,
তারা তো কারোও কন্যা আবার মাতা ,
তাদের কে সুরক্ষিত রেখো আমার লক্ষী মাতা ,
আজকে জানাই মা তোমায় আমার এই কামনা !
বিভাগ-
হাইকু কবিতা
শংকর হালদার
০১।
চাঁদনি রাতে
অপলক দৃষ্টিতে
তোমায় দেখি ।
০২।
ওরা কাঁদায়
নিষ্ঠুর মানবতা
সমাজ হাসে ।
০৩।
অনন্ত প্রেম
ধরা দেয় গভীরে
নিঃস্বার্থভাবে ।
০৪।
ধূ ...ধূ ...প্রান্তর ...
বিস্তর ব্যবধান
নির্জনে বসে ।
০৫।
অঝোরে বৃষ্টি
প্লাবিত দু'কুল যে ...
ধোঁয়াশা দেখি ।
০৬ ।
অশুভ নাশে
শক্তিদায়িনী রূপে ...
বছর পরে ...
০৭।
অশুভ নাশে
অশুভ নাশিনী মা
চঞ্চলা হও ।
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
হেমন্তের রাত
শিশিরে
শিশিরে ভেজা
এই হেমন্তের রাত
চরাচর ভেসে যায় জোছনায়
ধানের শীষে শিশির জমে দুধ
ধানের ঘ্রাণে মাতাল আজ হেমন্তের আলপথ ।
এ পথেই আসবে ঘরে লক্ষীর রথ
চাষীর ঘরে জমবে শ্রমের সুদ
উঠোন ভেসে যাবে আলপনায়
জমবে নবান্নের মৌতাত
উড়বে ধ্বজা
ভান্ডারে।
(২)
ভালোবাসা
ভালোবাসা
দিয়ে জেনো
সব জয় হয়
হিংসা নয়, ক্রোধ নয়
ভালোবাসাতেই সংসারে সব জয় হয়
ভালোবাসাহীন সংসার তাসের ঘর জেনো নিশ্চয়।
ভালোবাসার অভাবেই দেখো সম্পর্ক হয় ক্ষয়
ভালোলাগা ভালোথাকা সব মিছে জয়
যদি তুমি চাও জয়
বন্ধ কোরো প্রলয়
শুধু মেনো
ভালবাসা।
দেবীর আসন
সুস্মিতা দে
মনে লাগে কষ্ট পুরনো স্মৃতি তে হৃদয় ভারাক্রান্ত ।
বর্তমান বলে বর্তমান সংসার আগামী কাল অতীত হবে ।
বাস্তবের রূপ সংসার জীবন আমার আপন খুশি আনন্দে আমাকে ভাসানের আনন্দ টুকু নিতে দাও ।
দেখো চেয়ে তুষার নেই , কচি সবুজ ঘাস অবহেলিত ফুলের নানান রঙে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ রূপে।
নবীন ঘাসে লুটোপুটি অঙ্গে আমার দোলা লাগে। মনের মধ্যে কথা চলে জীবনের জীবিকা কঠিন সহজ দুই নিয়ে মিলিয়ে চলে ।
ঐ দেখা যায় পশ্চিমে রবি শশী দোলে । সূর্য ডুববে লাল হবে আকাশে অস্ত রাগের ছটা পুলকিত হর্ষের জোছনা ভরা রাত মা লক্ষী পূজা আজ ঘরে ঘরে । আমার ঘরের আঁধার আলো মনের দ্বার উন্মুক্ত করে মন দিয়ে ডাকলে মা পুজো নেবেন ,আনন্দে পুলকিত হবে হৃদয় , মায়ের গায়ে পূজার গন্ধ আসে বাতাসে ভেসে ভেসে, সবার ঘরে।
দুঃখ দূদর্শা ভরা সংকটে ভরা এই বছর সকলের ঘরে আলো দাও মা, সবাই মিলেমিশে ভাগ করে আনন্দে দুই বেলা দু মুঠো ভাত যেনো ভাত খেতে পায়।
প্রনাম কোজাগরী লক্ষ্মী আজ।
মায়ের চিঠি
সাফরিদ সেখ
তুই জানিস না রে বাবা আমার মন ব্যথা।
এই বাড়িতে প্রথম যেদিন আসি
ভাবিনি কোনো দিন ছেড়ে
যাবো।
আজ কেনো বলিস যাবার কথা।
যৌবন কালে হারিয়েছি যৌবন ধন।
আমি দুখের স্মৃতি বয়ে চলছি আজও
চোখের জলে কাটলো কত দিন।
আর কিছু দিন কাটলে আমি যাব নিজের দেশ।
আজ ঘুমোতে যাবার আগে একবার
মনে মনে তোর বাপের দেখা পায়।
এই ঘর এই দরজা তোর বাবার চিহ্ন।
এই সব হারিয়ে আমি কেমন এ বাঁচি।
আজও গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে
দেখি তোর বাপ যেন দরজায় দিচ্ছে টোকা।
নয়তো ডাকছে বারে বারে নাম ধরে।
নয়তো আসছে খোলা দরজায় না জানিয়ে ।
এই সব স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আর কিছু দিন
বেঁচে থাকলেই এ জনম শেষ।
ইতি তোদের
অভাগা মা
💥💥 সত্য সাধনা 💥💥
এমাজদ্দিন সেখ
প্রাচীন হলেই সত্য হবে ;---
পিতামহ বললো বলেই বেদবাক্য ;---
নয় সে নয় সত্যসাধক ;
সে সব শুধু মিথ্যার বেসাতি l
চিরন্তন শাশ্বত নয় ,নয় অপৌরুষেয় কিছু ;---
এ শুধুই স্বার্থান্বেষী , সত্যভীরুদের হুজ্জুতি l
দেশ ,কাল ,যুক্তিপাথারে প্রগতির পথে ---
মিথ্যার ,সত্যের জন্ম আছে মৃত্যু আছে ll …
বাস্তবে সত্যের কোনো শাশ্বত সংজ্ঞা হয় না l দেশ ,কাল ও পাত্রের Relation দিয়েই সত্যের যাঁচাই হয় l স্থান - কাল - পাত্রের পারস্পরিক সম্পর্কের সত্য জ্ঞানই সত্যের স্বরূপ l কোনও একটি পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যটিরও পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী l সংগ্রামময় জীবনাবর্তে নানান ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে মানুষ যে অভিজ্ঞাতা অর্জন করে ; -- যা সমাজ প্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা নেয় ,যুক্তি বিজ্ঞানেতার র দ্বারা বিবেচিত সত্যকে ; তার পরিবর্তন কে যুক্তি পূর্বক মেনে নেওয়াই সত্যকে জানা l জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতির সাথে সাথে সমাজ তথা সভ্যতা পরিবর্তিত ও বিকশিত হচ্ছে ও আরও হবে l তাই , স্থান কালের প্রেক্ষিতে সত্য হবে অপিক্ষিক ,, কিন্তু অব্শ্যই অবশ্যই Concrete সত্য l
এখন প্রশ্ন , সত্য জানার ক্ষেত্রে কী কোনো একজন ব্যক্তি --- তিনি যত বড়ো মানুষই হোন না কেন , তাঁর ব্যক্তিগত মনীষা বা ধী- শক্তির উপর নির্ভর করবো ; নাকি পরীক্ষা - নিরীক্ষা , ইতিহাস , ও যুক্তি বিজ্ঞান কে হাতিয়ার করে চলবো ? উত্তর , অবশ্যই আমাদের পরীক্ষা - নিরীক্ষা ও বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করাটাই যুক্তি যুক্ত l আবার বিজ্ঞানের অগ্রগতিও থেমে নেই l দূরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে তার জয়যাত্রা ! পরীক্ষা - নিরীক্ষা'র বৈজ্ঞানিক যন্ত্র সামগ্রীর উন্নতির সাথে সাথে সত্যের আরও উন্নত রূপ আমরা দেখতে পাবো l এমন কি অতীতের সত্য ধারণার সাথে অনেক ক্ষেত্রে বিরোধ হওয়া ও অস্বাভাবিক কিছু নয় l
তখন সংস্কার মুক্ত মনে প্রমাণিত সত্যরূপকে গ্রহণ করাই সত্যকে জানা l বস্তু জগতের ন্যায় আমাদের সমাজ জীবনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য l কারন সমাজও প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে l নিত্য নতুন সমস্যা দেখা দিচ্ছে --- জীবনকে কেন্দ্র করে ; নীতি -নৈতিকতা ; অর্থনৈতিক - রাজনৈতিক পরিস্থিতি ; মানসিক টানাপোড়েন ; জীবন সংগ্রাম -- সর্ব ক্ষেত্রে --- তার সমাধানও হচ্ছে নব নব রূপে l তাই , পরিস্থিতি পাল্টালে সত্যের রূপও বদলে যায় l কিন্তু আমাদের মনন , চিন্তন ,সংস্কার পরে আছে মধ্য যুগের অন্ধকারে l অত্যাধুনিক প্রকৌশলটা বৈজ্ঞানিক চিন্তন পিছনে ফেলে !
এমনিতেই নানান অন্ধ বিশ্বাস , কুসংস্কার , পুরোনো ধ্যান ধারণা গতানুগতিক ভাবে আমাদের সংস্কারের সাথে মিশে আছে l তার উপর এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষ তাকে Perpetuate করতে চাইছে l ফলে , সত্যানুসন্ধানী মনটাও যেমন গড়ে ওঠে না ; তেমনি আমাদের মধ্যে অন্ধতা , গোঁড়ামি বদ্ধমূল হচ্ছে ; এমন কী অনেক ক্ষেত্রে হিংস্ররূপে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে ! এই পরিস্থিতিতে আমাদের কুসংস্কারের ঠুলি ছুঁড়ে ফেলে সত্যানুসন্ধানী মন নিয়ে বিজ্ঞান ও যুক্তি বিচারের সাহায্যে সাহসের সাথে সত্যকে গ্রহণ করতে হবে ও জীবনে প্রয়োগ করতে হবে l এর চর্চা করতে হবে বস্তু জগতের সাথে সাথে আমাদের আচার , আচরণ ,নীতি -নৈতিকতা , আদর্শ , মূল্যবোধ তথা জীবনের সর্ব দিক ব্যক্ত করে l এতে সভ্যতার উন্নতির নিরিখে বিশ্বাস , লোকাচার , শাস্ত্রের সাথে বিরোধ আসতেও পারে ( আসবেই ) ; কিন্তু যুক্তির ভিত্তিতে তাকেও জয় করতে হবে l এক্ষেত্রে সঠিক বিচার পদ্ধতি অবলম্বন করাটা সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ l অর্থাৎ , Correct process of thinking and correct process of movement and act on all aspect of life দরকার l এর জন্য যাঁরা শিক্ষার আলো পেয়েছেন সেই ছাত্র যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে l কিন্তু আক্ষেপের সাথে স্বীকার করতেই হয় ,সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী শিক্ষিতের সংখ্যাধিক্য দেখলেও জ্ঞান ও প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর মানুষ গন্জ্ঞে গ্রামে moicroscopic moinority ! মেষ বৃত্তির গড্ডালিকা স্রোতে প্রাণ ভেসে যায় l তাই কবি নজরুলের আহ্বানের প্রতিধ্বনি করি , ---
" সত্যকে হয় হত্যা করে অত্যাচারের খাঁড়ায়
কে আছো ভাই সত্য সাধক বুক চিতে আজ দাঁড়ায় "
শিশুর প্রিয় প্রণাম নিও
রমলা মুখার্জী
শিশুর মনে কোমল স্হানে ঢেউ তুলে কে যায়?
'আবোলতাবোল' বাজিয়ে মাদল, তিনি সুকুমার রায়।
বই 'খাই খাই' তুলনা তো নাই অজানা কোন মন্তরে
রসেতে গড়া মজায় মোড়া, হাসে শিশুর অন্তরে।
কল্প গল্প নয় তো অল্প, 'হ-য-ব-র-ল',
'পাগলা দাশু', 'বহুরূপী' মনকে নাড়ালো।
মজার নাটক কথার চটক 'অবাক জলপান',
'ঝালাপালা', 'ভাবুক সভা' আরও কত অবদান !
তাঁর ননসেন্স, মন ডে ক্লাবে কত গুনীজন আসতেন-
সুনীতি কুমার, কবি-গীতিকার অতুল প্রসাদ সেন।
শিশু-দোসর উপেন্দ্রকিশোর সুকুমারের পিতা-
মুদ্রনে, চিত্রনে পুত্রে দিলেন নতুন বার্তা।
বৃত্তি নিয়ে শিল্প দুয়ে শিখতে গেলেন বিলাত -
থেকে ভিনদেশে লেখেন সন্দেশে, পাঠককুল মাত।
আঁকতেন কবি মজার সব ছবি, অপূর্ব সেই কীর্তি!
কৌতুকে নেচে শিশু গেল বেঁচে বই ভরা শুধু ফূর্তি।
বুঝে শিশুমন প্রবন্ধ, ভ্রমণ, বিজ্ঞানও ছিল সাথী-
মাত্র ছত্রিশে কালাজ্বর এসে নেভালো জীবন বাতি।
অল্প সময়ে রসেতে জমিয়ে জল্পনা জয়-নদী-
সুকুমার রায় স্বমহিমায় বহিছেন নিরবধি।
মরীচিকা
অশোক কুমার রায়
হেমন্তের শিশির যদি হতে !
আমি হতেম বনফুল বা ঘাস --
চুপটি করে সন্ধ্যা থেকে ঊষা .
মিলন সুখে কাটাই সারা মাস ।
তা না হয়ে হলে মরীচিকা !
ছুঁতে গেলেই উধাও দেহ- মন-
পরে থাকে দূরের পথে ছায়া.।
কথায় কথায় ভাবনাই আপন জন !
অন্য দেশান্তরের মানুষ
আব্দুল রাহাজ
তখন হালকা হালকা শীত পড়েছে নবীন গোবিন্দের গ্রামে পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে চিলকা নদীর পাড়ে গ্রামের মানুষ পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য বিকাল বেলায় ভিড় করছে চিলকা নদীর পাড়ে এটাই ছিল এই গ্রামের সবচেয়ে অপরূপ দৃশ্য। সেদিন নবীন গোবিন্দ রা গল্প করছে এক মনে নদী পাড়ে বসে সেই সময় ওদের সামনে একদল সাদা চামড়ার মানুষ এলো ওরা দেখেই বললো কে আপনারা ওরা তখন ইংলিশে কথা বললো গোবিন্দ কলেজে পড়ে তাই সে বুঝতে পারলো এনারা অন্য দেশান্তর থেকে এসেছেন আমাদের গ্রামে অন্য দেশের মানুষের মধ্যে একজন বাংলা বলতে পারতেন তিনি বললেন এখানে কি প্রকৃতির সুন্দর নবীন গোবিন্দরা বলল হ্যাঁ খুব সুন্দর অন্য দেশান্তরের মানুষের নাম কি ছিল জেমস লং ও জেমস প্যাটিনসন জেমস লং বললেন গোবিন্দ কে একটু থাকার জায়গা কোথায় পায় বলুন তো নবীন আর গোবিন্দ দুজন মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ এখন নবীন বললো চলুন চলুন আমাদের বাড়ি জেমস লং বললেন খুব খুব ধন্যবাদ তোমাকে নবীনদের বড়বাড়ি উপরের তলায় থাকতে দিলো জেমস প্যাটিনসন বললেন বিউটিফুল নেচার গোবিন্দ বললেন হ্যাঁ খুব সুন্দর। এর পর ওদের সাথে খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেল
গ্রামের মানুষ ওদের দেখতে আসতে শুরু শুরু করল এইভাবে প্রতিবছর ওদের গ্রামে অন্য দেশান্তরের মানুষেরা এসে ওদের গ্রামের প্রকৃত শোভাকে দেখতে আসতো। এইভাবে নবীন গোবিন্দ রা তাদের গ্রামকে এই পরিবেশটাকে অতীব সুন্দর করে তুলে অন্য দেশান্তরের মানুষদের সাথে পরিচয় করতেন আহব্বান করতেন আস্তে আস্তে গ্রামটি যেন অনেক পরিবর্তন হয়ে গেল। নবীন গোবিন্দরা গ্রাম কে অন্য দেশান্তরের মানুষদের প্রচেষ্টায় বিশ্বের প্রান্তে আজীবন উজ্জ্বল হয়ে রইল ।
পাথর
হামিদুল ইসলাম
তোমার হৃদয় পাথর
ছুঁতে চায় মন
তোমার বারণ প্রতিটি মুহূর্তে ।
স্পর্শের অনুভবে প্রতিদিন যতোই
কাছাকাছি যাই
নাব্যতা হারিয়ে ফেলে তোমার নদী।
তোমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আজ
অস্পৃশ্যতার গন্ধ
পায়ের তলার মাটি ধীরে ধীরে আলগা হয়ে যায় ।
আমি অসহায় আজো
ফিরে আসি
আর ছোঁবো না তোমার হৃদয় পাথর ।
পাথর ভাঙতে চাই
পারি নে
পাথর বড়ো শক্ত হৃদয় ।
জানি পাথরের মাঝে প্রেম আছে
আছে ভালোবাসা
সে ভালোবাসা তোমাকে চায় প্রতি নিয়ত ।
পারে না পারে না
তুমি পাথর
তুমি পাথরের থেকেও পাথর ।
চির প্রতিবাদী
মোঃআলিউল হক
আমার নবীর নামে যাহারা ব্যাঙ্গ চিত্র আঁকে
কি জানি তাহারা মানুষ নাকি গো ভাগাড়ে থাকে!
ইঁদুর ছুঁচো শৃগাল কি এরাই গায়ে গন্ধ মাখা
পরের খেয়ে নিজের পেশী বাড়িয়েও পেট ফাঁকা।
ক্ষুধার জ্বালায় পাগলা কুকুর শত বার ঘেউ করে
চেনা অচেনা ক'জনারে পথে পেয়ে কামড়ে ধরে
আপনি রোগের শিকার হয়ে ;রোগ না সারিয়ে হায়
নেকড়ের মতো অপর জনে কেন কামড়াতে চায়।
কোন জ্বালা চুলকানি?
তোমার বাপের মুরাদ নিয়ে যে করে কানাকানি
তার সাথে তুমি পারোনা ব'লে অন্যকে হয়রানি?
ফল হবেনা ভালো
আপনি কান মলো
ভুল হয়েছে ব্যাঙ্গ করা স্বীকার করে বলো।
তোমার কি যায় আসে?
মুসলিমেরা তাদের নবীরে যদি বেশি ভালবাসে!
জেনে রাখ বেইমান
তোরা কান পাতিয়া শুন
নবীরে কিছু বল্লে সহেনা ; মুমিনের জাগে খুন।
অন্যায় করিতে কহেনা ইসলাম
কেউ যদি আগে করে
শান্তির লাগি হুসাইনি দল
তলোয়ার তখনি ধরে।
খোদার কোরান ; নবি মুহাম্মদ সবি মানব হীতে
জীবনে সরল পথ দেখাতে এসেছে পৃথিবীতে।
জগতের শান্তি রচিয়াছিল আগেকার ইসলাম
জগতে আজও শান্তি গড়িতে চায়,আছে প্রমাণ।
স্বার্থ কামী ভ্রষ্ট দেশ সইতে নাহি পারে
ইসলামের ঘুন পোকা হয়ে অলক্ষ্যে ক্ষতি করে।
দু'চোখ খুলে দেখো
বিশ্বে বিষাদ ছড়ায় কারা সঠিক নজর রাখো।
কালো ধলো আর দেশ দখলে অশান্তি করে কারা
অস্ত্র বানায় বেঁচে বেড়ায় ; চলে দুনিয়াতে পাহারা।
অজ্ঞরা সব জেনে রেখো মুসলিমের নেই ভয়
খোদার সাথে সব মুমিনের আছে গোপন পরিচয়।
খোদার কোরান নবির অপমান সইবেনা মুসলিম
দুনিয়ার বুকে এক জন মুমিন রয়েছেন যতদিন।
বলবানের সমাধির পাশে
বদরুদ্দোজা শেখু
আশেপাশে কতো হাঁটলাম ঠিক কীসের নেশায়
ইতস্ততঃ ধ্বংসস্তূপ আর পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়ি
দেখার উৎসাহ নিয়ে পুরাতাত্ত্বিক গবেষণায়
একান্ত নিবিষ্ট কোনো পুরুষের মতো পায়চারী
ক'রে ক'রে, সংক্ষিপ্ত সময়ে যতদূর যত বেশী
দেখা যায়, ঘোরা যায় একটানা ঘোরার মেজাজে
ক্রমশঃ প্রসারমাণ অনুসন্ধিৎসার আবেশী
তাগিদে , ঠিক বলতে পারবো না , সকলি অকাজে ।
চারিপাশে অচেনার মাঝে কিছু চেনা গন্ধ পাই
জানি না এ মুখস্থ বিদ্যার কিছু ফলশ্রুতি কিনা
ছাত্রজীবনের সব বিদ্যাই যদিও অনাবাদী
প'ড়ে আছে , উঠে আসে ইতিহাস মনের পর্দায় ,
উৎকীর্ণ ফলক দেখি , সব কিছু পড়তে পারি না ----
সম্মুখে শ্রীহীন ভাঙাচুরা বলবানের সমাধি ।।
অনুগল্প-
লাল শাড়ি
গৌতম ভৌমিক
আমি স্মৃতি,
কিছু দিন আগে শাড়ি দিয়ে আমার দুটি আলমারি পূর্ন হলো। প্রতিদিন আমি শাড়ি গুলোকে দেখি।
ফিট করা আয়না দিয়ে দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
লাল,খয়েরি,গোলাপী,সবুজ রঙের শাড়ি গুলো।
ছোট খাটো একটা কাপড়ের দোকান বলা যেতে পারে। সবাই আমাকে বলে এত কাপড় কিনি কেন!
আলমারিতে আমার বেশির ভাগ শাড়ি লাল।
আমার যে লাল রঙ খুব প্রিয়।
লাল শাড়িটার সাথে কপালে একটু কুমকুম আর সিঁথিতে বাড়িয়ে সিঁদুর আর হাতে শাঁখার সহ লাল চুড়ি ওর যে খুব পছন্দ।
সে তো সব সময় বলে শাঁখা সিঁদুর নাকি মেয়েদের অলংকার। আমি ও তাই মনে করি।
আমাকে সবাই বলে এত গুলো লাল শাড়ি তুই পরে যেতে পারবি! তখন আমার খুব রাগ হয়!
পারবো না কেন?
এই তো এক বছর হলো আমাদের বিয়ে হলো...
আমি মা হবো.....
আমার সন্তান হবে....
আমরা সবাই কত জায়গায় ঘুরতে যাবো.....
শেষ হবে না কেন!
আমার তো আরো লাগবে।
আমার পায়ে আলতা দিয়ে লালাশাড়ি পরে সব সময় লক্ষ্মীর মতো সেজে থাকতে খুব ভালো লাগে,
সে ও খুব পছন্দ করে।
জানো ও আমাকে খুব ভালোবাসে। দিনে কত বার ফোন করে অফিস থেকে তোমরা জানো!
কাজ করার ফাকে ফাকে লুকিয়ে ফোন করে,
ফোন করেই বলে আজ কী রকম সাজলে।
তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে!
হঠাৎ ওর ফোন কল....
এই শোনো,
আজ তাড়াতাড়ি বাড়ি এসে পরবো
বস কে বলে রেখেছি।
আমরা দুজনে আজ ঘুরতে যাবো,
তোমার পছন্দের চাট আর ফুচকা খাবো।
আচ্ছা ঠিক আছে
তুমি রেডি থেকো কিন্তু
আর গত পূজোতে যে লাল শাড়িটা দিয়েছিলাম ঐটাই পরবে। তোমাকে খুব মানায়। দেখতে খুবই মিষ্টি লাগে। আচ্ছা হলো,
ঠিক আছে আমি রেডি হয়ে থাকবো।
ছয়টা বাজে এখনো দেখি আসছেনা
ফোনটা ও লাগছেনা।
এক ঘন্টা হয়ে গেল আমি সেজে বসে আছি।
আর ভালো লাগছে না। আজ আসুক বাড়িতে।
ওর একদিন কী আমার এক দিন!
হঠাৎ একটা অজানা কল......
স্মৃতি দেবী বলছেন...
হে...
অতনু বাবু আপনার কী হয়?
কেন!
আমার স্বামী।
আমি সিটি হসপিটাল থেকে বলছি। আপনার স্বামীর এক্সিডেন্ট হয়েছে। মৃত অবস্থায় হসপিটালে পরে আছে। এসে নিয়ে যান।
স্মৃতির চিৎকার
না.........................
অতনুর নিথর দেহ পরে রয়েছে মেঝের উপর।
অতনুর বুকের উপর স্মৃতির বুকফাটা আর্তনাদ
কই গেলে তুমি কই গেলে.............
বলো........
তুমি কই তুমি কই...............
তুমি এই ভাবে ছেড়ে যেতে পারো না আমায়!
উঠো কথা বলো!
উঠো বলছি...... উঠো......
না.......
তুমি শুধু আমার
আমাকে এভাবে ছেড়ে যেতে পারো না!
না এ হতে পারে না.......!
কয়েক মাস অতিক্রান্ত...
স্মৃতি আজও আলমারিতে শাড়ি গুলোর দিকে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে!
চোখ দুটো ঝলসানো!
মেঝের উপর বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা!
থেমে গেল সুর
অনিন্দ্য পাল
পাখিটা গান করে। কেন?
ও কি বুলবুলি? কোকিল? অথবা ...
পাখিটা গান করে
এই পৃথিবীকে শোনাতে চায় সুর
যারা শুনতে চায়,
যারা শুনতে পারে
পাখিটা গায় তাদের সবার জন্য
পাখিটা সত্যিই "গান" করে...
সেদিনও পাখিটা গান করছিলো
সেদিনও তার গলায় ছিল আনন্দ আর সুর
বসেছিল একটা তারের উপর
কিন্তু ভুল ছিল কোথাও, কার?
যারই হোক ওটা শুধু তার ছিল না
তবে?
পাখিটা বসেছিল সেদিন
একটা আগুনের মত ধারালো কাঁটাতারের শরীরে ...
তারপর ---
পাখিটার সুর গেল বদলে
যেমনটা হয় হৃদয় চিরে গেলে অথবা
প্রিয় শব্দগুলো হারিয়ে গেলে
আরও বাতাস, আরও বাতাস যদি ঋণ নেয়
চেনা পৃথিবীর থেকে
তবে কি জুড়াবে আগুন?
তবে কি তার লাল হয়ে ওঠা পালকের রঙ
আবার হলুদ হবে ভালোবাসার মত?
অথবা বিক্ষত সেই আঘাত-গুহা থেকে ঝরবে
আরও, আরও উষ্ণ তাজা রক্ত!
এখন আর কোন সুর নেই
কোন আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে না বাতাস-শরীরে
এখন থেমে গেছে তার জাদু সঙ্গীত
এখন আর সুরের প্যাকেটে নেই কোন
কোমল আশীর্বাদ...
এখন কোন শোক নেই, নেই কোন চমক সংবাদ
আবার নতুন পাখি আসবে এই কাঁটাতারের দেশে
আবার নতুন সুর ছড়িয়ে যাবে একই বাতাসে
কিন্তু যে গানটা থেমে গেল
যে গানের মৃতশরীর এখনও ভেসে আছে
কোথাও কোন গভীর হৃদয়ে
সেই গান আর শোনা যাবে না এই মৃত্যুর দেশে
আর কোন পাখি গাইবে কি মুক্তির গান?
তবে, পৃথিবী দিতে জানে শুকনো রক্তের সম্মান।
সর্বশক্তিমানের কাছে আনার প্রার্থণা
চিত্তরঞ্জন দেবভূতি
ওগো সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান,
আমি আরও বিনয়ী হতে চাই,
যেন গাইতে পারি আরো
ভালো মানুষেদের আর
তোমার জয়গান৷
সবার শরীরের রক্ত লাল !
বিশ্বের দেশে দেশে,
যাঁরা বিভেদ ছড়ায় মানুষে মানুষে,
তাঁদের মনের ভুল ভাঙ্গিয়ে দিও অবশেষে৷
আমি ধন্য এই জন্য সব জাতি ধর্মের মানুষের
ভালোবাসা এই জীবনে
পেলাম,
সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান
তোমাকে আমার সেলাম৷
শেষের কথা
অঙ্কুর মাইতি
ওরা যখন হাঁটছিল পথ
তখন তুমি এসি ঘরে।
তুমি যখন সারছো ডিনার;
মরছে ওরা অনাহারে।
যে শিশুটা তুলতে মা'কে
টানছিল তার মায়ের চাদর,
আজও সে বোঝেই যে
আর পাবেনা মায়ের আদর।
এখন তুমি ড্রয়িংরুমে
দেখছো বসে এসব খবর।
কিন্তু জেনো ঠিক অজান্তে
খুঁড়ছো নিজেই নিজের কবর।
এই যে তোমার লুকিয়ে থাকা,
মুখ ফিরিয়ে এড়িয়ে চলা,
এটাই তোমার মৃত্যু ছোবল,
শেষের কথা এটাই বলা।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে
কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার প্রীতি ও শুভেচ্ছা ।
উত্তরমুছুনমায়ের কৃপায় সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।
খুবই সুন্দর বৈচিত্র্যময় আয়োজন ।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার প্রীতি শুভেচ্ছা ভালো বাসা সকলের প্রতি । আমি পত্রিকাতে লিখছি এবং সত্য কথা আজকের দিন দেবীর আসন কবিতা বার করেছেন। আমাকে লেখার আশার আলো দেখায় আমাকে খুশি আনন্দ দেয় । প্রনাম জানাই নিজেকে আমি পারি । আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা আপনাদের আমার শ্রদ্ধেয় ন্ধু দাদ দিদির জন্য
উত্তরমুছুনআমি দেবীর আসন কবিতা লিখেছি আমার নাম এসেছে আমি অত্যন্ত খুশির সাথে জানাচ্ছি আপনারা আমার কবিতা ত্রিশ তারিখে লিখছি আমি নিজেকে ধন্য লাগছে আমি পারি সাহিত্য পত্রিকার উপকন্ঠ মাননীয় পরিচালক মন্ডলীর প্রতি প্রীতি শুভেচ্ছা আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম জানাই
উত্তরমুছুনআমার সন্মান পত্রের আশা করছি । আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম নেবেন আমার মতো একজন সাধারণ মেয়ের লেখাতে আমার নাম দেখে আমি খুশি
মুছুন