উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 24/10/2020
উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 24/10/2020 |
*********************************
আপনার ব্লগ ওয়েব সাইটতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ইনকাম করতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
100% ইনকাম ও Real payment
"উপকণ্ঠ সাহিত্য পত্রিকা"
(ওয়েব ম্যাগাজিন)
প্রকাশ কাল:-24/10/2020, শনিবার
সময় :- সন্ধ্যা 6 টা
সভাপতি:- অরুণ কুমার ঘড়াই
সহঃ সভাপতি:- সেক আব্দুল মজিদ
সম্পাদক এবং
প্রকাশক:- সেক আসাদ আহমেদ
যুগ্ম সহঃ সম্পাদক :-
১) ইমরান খাঁন
২) শেখ মণিরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় দপ্তর ::-
গ্রাম:- গাংপুরা ডাকঘর:- সাগরেশ্বর
থানা:- রামনগর জেলা:- পূর্ব মেদিনীপুর
সূচক-৭২১৪৪৬ পশ্চিমবঙ্গ ভারত
মুঠোফোন:- 9593043577
✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒✒
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
বন্দীদশা
বছরভর
বন্দী থেকে
বুঝছি কেমন বন্দীদশা
অন্ধকার জীবনে বাড়ে হতাশা
মৃত্যু প্রতি মূহুর্তে করে আলিঙ্গন
ছায়ার মত সরে যায় জীবনের রথ।
তবু মানুষ খুঁজে নেয় অন্ধকারের পথ
পাপের পথেই জমা করে কালাধন
অসাধ্য সাধনের পুঁজি প্রতিহিংসা
অহংকার,লোভ, রিরংসা
বরাদ্দ রেখে
কুঠিঘর।
(২)
মা যখন কোয়ারেন্টাইনে
মা
রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে
প্যান্ডেলে ঢুকছেনা কেউ
রাস্তায় দেখি তবু জনস্রোত
মাঝে মাঝে উথলে পড়ছে ঢেউ
আনন্দকে বাঁধ দিতে আর পারছেনা আইন।
সব সাধনেই জীবনটাকে দেয় মানুষ ফাইন
অতিমারীর কথা মনে রাখেনি কেউ
পুজোতো নয় সেলের চোত
থাকুক পুলিশ ফেউ
আনন্দ মাতনে
পা।
বিপন্ন বিজ্ঞান
উমর ফারুক
মানুষকে চেতনার জন্য উদবুদ্ধ করে
যে বিজ্ঞান আমাকে সেই বিজ্ঞান দাও।
যেন অন্ধকার নিজের থেকে সরে যায়..!
এখনো কত কুসংস্কারের ভ্রুণ
দানা বেঁধে আছে ---
তবুও উত্থাপিত হয় রোজ বিজ্ঞানের তত্ত্ব।
আলো ছাড়া নিঃশব্দ সরীসৃপের মতো।
আজ বিজ্ঞান কেউ বুঝতে পারল না।
দিবাগত রাতে নিত্যনতুন সংস্কৃতির
রঙিন চাদর উপকূলের ছায় রঙা সন্ধ্যায়।
বিপন্ন হল প্রকৃতি কৃত্তিমতার চাপে।
প্রাকৃতির বলয়ে এখনো বিঘ্নিত হয়
সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ!!
বিচ্ছিন্ন হয়ে কারা যেন পুড়ে খাক হয়ে গেলো।
তারা বিজ্ঞানকে ছুঁড়ে ফেলা একটি গোষ্ঠি।
এক উদ্ভট আয়োজনে বিজ্ঞানের
কুফল নাকি অনুভব করে!?
সিন্ধুর বুক চিরে অলস সূর্য ওঠে —
সেও বিষন্ন বিজ্ঞানের ছাপ নিয়ে উদিত হয়।
বস্তুত পৃথিবীর চারিধারে বিজ্ঞানের কতৃত্ব।
তাই প্রকৃতির দেহে এক গভীরতর
ক্ষতচিহ্ন । সেরে ওঠা হয়নি তার।
এক শতাব্দী আগের মতোয়
বদলে গিয়েছে তার গঠনশৈলী।
আবিস্কারের নেশা যখন প্রগতির
দিকে রওনা দেয় তখন বিজ্ঞানবাদের এই রণনীতির ভয়াবহ রূপ গোপনে প্রকাশ হয়।
দলছুট এক মেয়ে
শঙ্কর ভট্টাচার্য
খুঁটিনাটি বিষয় গুলো এখনও ঋদ্ধি র ভুল হয় । আর প্রতিদিন রাতে ই মেয়ে র কাছ থেকে অনুযোগ শুনতে হয় ।খুব সকালে রান্নার ভদ্রমহিলা আসেন আর রকেট গতিতে হাত চালিয়ে সকাল ন'টার মধ্যে রান্না শেষ।মেয়ের ব্যাগ,টিফিন,ড্রেস এ সব ঋদ্ধি নিজের হাতেই গুছিয়ে দেয়।ওখানে কেউ হাত দিক এটা ঋদ্ধি পছন্দ করেনা।সকালে রান্নার মাসি এসে রান্না শুরু করে আর ঋদ্ধি টুকটূক করে মেয়ে র সবকিছু তৈরী করে তবে মেয়ে র ঘুম ভাঙায়।
পৌলমী মানে মৈমীর মা অর্থাত ঋদ্ধি র স্ত্রী আজ থেকে সাত আট বছর আগে এখানকার এক নামকরা প্রমোটারের সাথে বিবাহ সুত্রে আবদ্ধ হয়ে বাড়ী থেকে চলে গেছে।তখন মৈমীর বয়স সাত কি আট।যদিও এক্ষেত্র মা এর অধিকারই বেশী তার নাবালিকা মেয়ের ক্ষেত্রে ।তবু এখানে ঋদ্ধি এবং পৌলমী এদের যৌথ আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক অনুমতি দেন নাবালিকাকে বাবার সঙ্গে থাকবার।
তা,রপর থেকে ঋদ্ধি র কাছে জীবনের মানেটাই পাল্টে যায় ।সারা দুনিয়া একদিকে আর মৈমী আর এক দিকে।সারা দিনের হাসি দুঃখ সব ভাগ করে নেয় ওরা দুজন।
বাবার সাথে ওর সম্পর্ক এতটাই সহজ এবং সাবলীল যে মৈমী প্রথম যেদিন ঋতুমতি হল সেদিন বাথরুম থেকে বেরিয়ে ভয় পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাছে সব কিছু বলে আর ঋদ্ধি ও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মেয়ে কেপাশে বসিয়ে আদর করে সহজ সরল ভাষায় "ইউরো জেনিটাল' সিস্টেম মেয়ে কে বুঝিয়ে দেয়।সব শোনার পর মেয়ে বলে "দেন ইট ইস ভেরি কমন ফর অল ফিমেল?"।
সাধারণত বাড়ী থেকে স্কুল বাসেই মৈমী যাতায়াত করে।সাড়ে দশটায় স্কূল শুরু,ওকে পৌনে দশটায় বাস তুলে নেয় একেবারে বাড়ির সামনে থেকে।আর ফের পাঁচটার সময় নামিয়ে দেয় ।ঋদ্ধি মেয়ে র সবকিছু রেডি করে সাড়ে নটার মধ্যে বেরিয়ে পড়ে।ওর ডুপ্লিকেট চাবিও থাকে সঙ্গে ।পৌনে দশটায় মৈমী চাবি দিয়ে বাড়ী থেকে বেরোয়।পৌলমী দ্বিতীয় বার বিয়ে করে চলে যাবার পর এটাই ওদের দৈনন্দিন রুটিন।
পাঁচটায় বাড়ী ফিরে মৈমী অপেক্ষা করে বাবার জন্য ।ঋদ্ধি যে ভাবেই হোক ছ'টার মধ্যে ফিরে আসে।তারপর শুরূ হয় বাপ,মেয়ে র আড্ডা ।এরই ফাঁকে চা খাওয়া, টিফিন খাওয়া তারপর মৈমী ব্যস্ত হয়ে যায় নিজের পড়াশুনা তে আর ঋদ্ধি নিজের অফিসের কাজে।
পঁচিশে জানুয়ারি ওদের স্কুলের বাৎসরিক sports.মৈমী দুটো ইভেন্ট এ নাম দিয়েছে।ওর বায়না সেদিন বাবাকে ওর স্কুলে পৌছে দিতে হবে।আর ফেরবার সময় ও টোটো করে নিজেই চলে আসবে ।অগত্যা ঋদ্ধি কে মেয়ে র কথা মেনে নিতে হয়।
বাস পেতে দেরী হবার দরুণ ওদের স্কুল পৌছতেও দেরী হয়ে গেল।মর্নিং এবং ডে দুটো স্কুলেরই একসাথে sports ফলে গার্জেন দের ভীড় ভালই হয়েছে।ঋদ্ধি আর মৈমী একসাথে হন্তদন্ত হয়ে স্কুলে ঢুকছে ঠিক এই সময় গেটে এক ভদ্রমহিলা ঋদ্ধি কে নাম ধরে ডাকে।ঋদ্ধি থেমে যায় ।
পাল্টা প্রশ্ন করে ঋদ্ধি ' কেমন আছ?"
মহিলার সংক্ষিপ্ত উত্তর "ফাইন"।
ঋদ্ধি বলে "তোমার ছেলেও কি এখানে পড়ে?"
মহিলা বলেন "হ্যাঁ ,নার্সারি, মর্নিং ।তবে সামনেরবার ওকে ডিপি এসে ভর্তি করব এখানে পড়ে কোন কেরিয়ার হবেনা।"
ঋদ্ধি একটু ঘাড় নাড়ে।
এবার মহিলা মৈমীকে উদ্দেশ্য করে বলে "হ্যালো বেবি হাউ আর ইউ?"
সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে মৈমী বাবার হাত ধরে টানে "বাবা,চল দেরী হয়ে যাচ্ছে যে।"
ঋদ্ধি মৃদূ হেসে মহিলাকে বলে "চলি"।
মহিলা একটু বাঁকা হেসে বলে " স্বভাব টা একদম বাপের মত হয়েছে।"
রাতে ডাইনিং টেবিলে আজকের sports এর পোস্টমর্টেম করছিল বাপ ও মেয়ে ।মৈমী দুটো ইভেন্টেই সেকেন্ড হয়েছে।খাওয়া যখন প্রায় শেষ
তখন হঠাৎ ই ঋদ্ধি বলে "তুমি সকালে ঐ ভদ্রমহিলা র সাথে ঐ রকম ব্যবহার করলে কেন?"
মুহূর্তে মুখের ভাব পাল্টে যায় মৈমীর ।চোস্ত ইংরেজি তে বলে "সি ডিসারভস সাচ বিহেভিয়ার ।"ঋদ্ধি পাল্টা ধমক দেয় " উনি একছন সম্ভ্রান্ত মহিলা ।তূমি জান উনি কে"?
মুখটা আরও কঠিন হয় মৈমী র " আমি জানি উনি কোন কলেজের সম্মানীয় অধ্যাপিকা নয়,
দায়িত্বশীল ডাক্তার নন,এমনকি সমাজের কোন দায় ভার ওনার নেই।আর কিছু বলবে?
ঋদ্ধি ভ্য় পায় "না"
আবার মৈমী বলে "আনফরচুনেটলি সি ওয়াস মাই মাদার।ইয়োর ওয়াইফ।"
ঋদ্ধি বলে "অনেক রাত হোল এবার শুতে যাও।"
গঙ্গা
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
আমার কোন অভিযোগ নেই, আমার কোনো দুঃখ নেই।
হে ভারতবাসীগণ, আপনাদের মধুর কন্ঠের আলাপনে কোনো ক্ষোভ নেই আমার।
হে ভগীরথ, ক্ষমা করবেন।
আপনাকে হাজারো কোটি প্রণাম
আপনার কৃপাতেই আমি আজও বহতা
স্বপ্নের সীমারেখা নেই। কল্পনার অপরূপ গাঁথানি।
শিবের জটাজুট হতে নির্গতা আমি
হিমালয় -কন্যা ভাগীরথী
পতিতোদ্ধারিনী দেবী গঙ্গা
শান্তনু পত্নী কুরুকূলশ্রেষ্ঠ ভীষ্ম জননী আমি
আমাকে মানবকূল দেবী জ্ঞানে পূজা করে
আমার জলে স্নান ক'রে শুচিতা লাভ করে
রঙীন কল্পনায় ব্যাকুলতাকে ধৌত করে
ভিজে যাওয়া কান্না কে মোচন ক'রে
শান্তি লাভ করে
আমার পবিত্র জলেই দেব- দেবীর আরাধনা
জন্ম মৃত্যু বিবাহ সবখানেই
আমার উজ্জ্বল বিজয় ঘোষিত।
কিন্তু আজ!
আমার এ দশা কেন? কেন
আমি দূষিত? কেন শহরের নোংরা আবর্জনা
আমাকে গিলে খায়? ছিনিয়ে নিতে চায়
আমার পূণ্যতাকে! আমি রূপমু্গ্ধা কুমারী
গঙ্গা নই-- আমি জননী। আমি
কৈলাস থেকে আগত সমগ্র ভারতের গর্ব।
আমাকে তোমরা অবহেলা করছো। জাননা
আমার তেজ, আমার শক্তি আমার আকর্ষণ
আমি এক নিমেষে ছিন্ন করতে পারি
তোমাদের গৌরব, তোমাদের প্রমত্ত উল্লাস।
আমাকে সন্তানহীনা করেছে শান্তনু
আমি সেই ক্রোধে সবকিছু ছারখার করতে পারি, কিন্তু
সেটা আমার আকাঙ্খিত নয়।
আমার প্রার্থনা নেই কোনো। মোহ ত্যাগ করে
আমাকে জঞ্জাল মুক্ত করো
আমি প্রতি কার চাইছি না, অভিশাপ ও
দেব না। আমি কাঁদছি না।
চারপাশে উদ্দাম ক্রীড়া আমি দেখেও
দেখছি না।
আমি শুনতে চাইনা আমার
সন্তানের অক্ষম বিলাপ।
সেতু বন্ধন করে আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধেছো তোমরা
তাতেও কোনও ক্ষোভ নেই আমার।
আমার বিপুল জলরাশি কে স্বচ্ছ থাকতে দাও
আমি তোমাদের জননী। আমার
চোখের জলে তোমরা ভস্ম হয়ে যাবে।
শেষ হয়ে যাবে সমগ্র সৃষ্টি।
তাই, করুণা চাই না। সন্তানের কাছে শুধু
শ্রদ্ধা- ভক্তির এক আকাশ বৃষ্টি চাই।
নির্দয় নয়, দয়া নয়, করুণা নয়
শত শত সন্তানের একনিষ্ঠ ভালোবাসা চাই।
আমি তৃষ্ণা, আমি জাহ্নবী, আমি পূণ্যতোয়া
ভগীরথ আনয়নী গঙ্গা
ধরিত্রীর বুকে বহতা এক রত্নগর্ডা নারী---- মা জননী।।
কে তুমি ওখানে
মিলন পুরকাইত
কে তুমি ওখানে অনন্তকাল,
মোনালিসা হয়ে থাকো।
একটু একটু মুচকি হাসো,
বসবোনা বলে একটু বসো।
সেরা রং দিয়ে নিজের ছবিটি,
আমার মনেতে আঁকো।
কে তুমি ওখানে অনন্তকাল,
মোনালিসা হয়ে থাকো।
হৃদয় তোমার জমা হয়ে আছে,
লক্ষ কোটি কবিতা।
লাজুক চাহনি চেখে দেখি আমি,
পুরো ক্যানভাসে আমি আর আমি।
কী প্রাণান্তকর চেষ্টা তোমার,
কী অপূর্ব আমার ছবিটা।
হৃদয় তোমায় জমা হয়ে আছে,
লক্ষ কোটি কবিতা।
কে তুমি ওখানে অনন্তকাল,
কবিতা শুধু ডাকো।
তুমিই আমার শ্রেষ্ঠ কবি,
হৃদয় তোমার শ্রেষ্ঠ ছবি।
নিষ্প্রাণ তুমি প্রাণ সঞ্চরি,
কবিতা মাঝে থাকো।
কে তুমি কবি অনন্তকাল,
ইশারায় শুধু ডাকো।
দুঃসাহসে নিভৃতে আমি,
ডুবে যাই মহাকাব্যে।
খুলে ফেলি আমি কবিতার ডালি,
নিবিষ্ট মনে পাঠ করে চলি।
পাতা ঠল্টাই আর চমকাই,
আমি ছুটে চালি গন্তব্যে।
দুঃসাহসে নিভৃতে আমি,
ডুবে যাই মহাকাব্য।।
অনু কবিতা
আসরাফ আলী সেখ
জীবন হলো সেরা শিক্ষক,
পরীক্ষা অভিজ্ঞতা,
নিরবতা হলো মূল্যায়ন,
এগিয়ে চলা হলো
নতুন সূর্যের জন্য হাঁটা ।
মনের দেওয়াল
অলোক রায়
কিছু ভুল তো ভুলই হয়,
কেউ আবার আবেগের তাড়নায় ভুলটাকেই নীরবে সয়।
আজও আছে গেঁথে সেই দিনটি আমার হৃদয়ে,
একটি কবিতা লিখতে বলেছিলে তোমায় নিয়ে।
তুমি এলে তাই নিজেকে ফিরে পাই...
শুরুটা হয়েছিল এমনই কিছু লাইন দিয়ে।
অবশেষে কী লাভ হলো লিখে,
তুমি যে মিথ্যের দোহাই দিয়ে
অবেলায় সরালে নিজেকে।
মনের দেওয়াল জুড়ে একদিন
যার ছিল আনাগোনা,
হঠাৎ কখন আঁধার ঘনিয়ে রাত্রী নেমে শুরু হল যাতনা।
পুরোনো সেই গন্ধটা আর রইলো না জানাশোনা।
তুমি আর মনের দেওয়াল যেন
আজ বিরহের খেলাঘর,
অচেনা কোন নতুন মানুষ আজ করে সেখানে চরাচর।
অকথ্য তীর্যক কথার বাণেও
আজ তুমি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছো।
কোন একটা সময় ছিল যখন
তুমিও এমন করে কষ্ট দিয়েছো।
শুধু বলো! তুমি কি অগ্রিম জানতে,
এভাবেই কি সম্পর্কের পথ শেষ হবে কোন প্রান্তে।
মনের দেওয়াল জুড়ে আজ অন্যের লিখনে,
সেজেছো হয়তো তুমি তোমার প্রাক্তনের অজান্তে।
Crossing The Cage
ShayamSundar Mondal
After crossing road after road
wanting to touch you,
I see I did not cross a single road.
But having crossed myself
I've stood coming here. And
I see only blue after blue all around.
There is not a single road anywhere
still left to cross.
হুঁশ
হামিদুল ইসলাম
বদ্ধ জলাশয়ে পড়ে থাকি
দিনরাত
খোঁজ রাখে না কেউ
মৃত্যু খোঁজে প্রাণ
জীবনের জন্যে জীবন কাঁদে সারাক্ষণ ।
পথের ধারে মৃত্যু মিছিল
একটানা কান্নার রোল
দিন বড়ো বিচ্ছিরি
পাল্টে যায় ইতিহাস
পাল্টায় না মন ।
কতোদিন দেখা নেই
ঘরের মানুষ
ফাঁকা ফাঁকা ঘর
নির্জন হাওয়া বয়ে চলে
ধেয়ে আসে যেনো এক আসুরিক শক্তি অসময় ।
আমরা খাঁচায় বন্দি বাঘ
না খেয়ে পড়ে আছি দীর্ঘদিন অরণ্যের নেই কোনো হুঁশ ।
কেমনে বাঁচে বহুরূপী
পিনাকী মুখার্জী
রোজ বিনিদ্র রাতে
পলাশ রাঙা চোখে ,
ভোরের আলোর আশে
সে যে গায়ে রং মাখে !!
বাড়িতে চাপেনি রান্না
বুক ভরা শুধু কান্না !!
বাইরে রাজা ঠাকুর সাজা ,
ভেতরে তিনিই দেখেন মজা !!
বাইরে যত হাসিমুখে
ভিতরে তত ক্ষয় !!
ভালো আছি বোঝানোই
ওর নিখুঁত অভিনয় !!
সাথী
আব্দুল রাহাজ
স্কুলে পড়া চলাকালীন কত যে হয়েছিল সাথী স্কুল বিদায় নিতেই সব যেন এলোমেলো হয়ে গেল।
ও সাথী তোমরা কোথায় আজ ওই গোলদিঘির পারে কি আর খেলতে যাওয়া হবে না তোমরা কি আর আসবে না ও সাথী গো একসাথে আর মাচানতলায় আড্ডা দেওয়া কি হবে না
সাথী সাথী তোরাই তো আমার ছেলে বেলার খেলার সাথী।
তবে আজ তোরা কোথায় আমরা কি আর একসাথে হতে পারব না।
তোরাই তো ছিলি আমার এক বন্ধনীর অটুট সাথী।
কাঠবিড়ালি
জুয়েল রূহানী
কাঠবিড়ালি গাছের ডালে
করে ছুটাছুটি,
ঘুরে ঘুরে পায় যদি বা-
আম-পেয়ারা দু'টি?
পলক ফেরার অাগেই ছুটে,
এ ডালে ও ডালে,
কোথায় আছে ফলের বাহার
খুঁজে দু'চোখ মেলে।
কাঠবিড়ালি বেজায় খুশী
পাকা ফলের গন্ধে,
গাছের ডালে ছুটে বেড়ায়
দিন কেটে যায় ছন্দে।
লিমেরিক
দেবব্রত পাল
(১)
ছোট্টু একমনে দেখে মোবাইলে অ্যানিমেশান।
বাঁটুল দি গ্রেড কিংবা ছোটাভীমের অ্যাকশান।
কি সাহস! কি শক্তি!
দেখে, আর বাড়ে ভক্তি।
বাড়ে সে সব গল্প, বইয়ে পড়বার অ্যাম্বিশান।
(২)
ঠাকুরদাদা লাঠি ঠুকে এলো ছোট্টুর বাড়ি
সারাটা দিন চলল, গল্প শোনার হূড়োহূড়ি।
দস্যিদানব, কিংবা পক্ষীরাজ।
বাড়ালো গল্প ভাবার মেজাজ।
সেই মেজাজে ছোট্টুর দখলে রূপকথার রকমারি।
(৩)
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি কথা, বইয়ে পেয়েছে তারে।
কমিকস্ দিয়ে শুরু করে আজ, কল্পবিজ্ঞান সে পড়ে।
আরও চাই, আরও চাই।
সবকিছু তার জানা চাই।
বাছাই করা কাহিনি পড়ে, ছোট্টু আজ মানস ভ্রমণ করে।
মহা শক্তি সমাগত
মোঃআলিউল হক
দুয়ারে দূগ্গা মা দুর্গতি নাশিনী
দশ ভূজা তুমি জগজ্জননী।
দুলিছে দুনিয়া করোনা প্রতাপে
মরিছে মানুষ ঘোর অভিশাপে।
তুচ্ছ "কোভিদ", তুমি মহা ভয়-
তোমারি তেজে হোক বসুধার জয়।
অর্ধ সন গত নাহি প্রতিকার
ঘুচাও এ শাপ,করো উদ্ধার।
কোটি কড়ি দিয়া পূজিতা ধরায়
বিপদ মুক্ত করো খাস কৃপায়।
পরম ভক্তি বন্দে নত করি শির,
দেখাও প্রমাণ তব মহা শক্তির।
শরৎ বর্ণন
এমাজদ্দিন সেখ
শীষ হয়েছে , এখনও পূর্ণ পুষ্ট হয় নি l
এখনও গাঢ় সবুজ , সোনালী হাসি হাসেনি ;....
সেই শীষের দানায় দানায় ;...
বিন্দু বিন্দু শিশির ,--- হরিৎ হিরে !
গোধূলী'র লালচে মায়াবী আভায় ;...
দিগন্ত রাঙায় ,আহা সে রূপে আপন হারায় !
কাশ বনের শুভ্রতা ধুয়ে দেয় হৃদ মলিনতা l
টলমলে শাপলা পুকুর ঝোপে মাছরাঙার ওঁৎপাতা ;...
ঢাকের তালে চিত্ত নাচে , ধুনোর গন্ধে মাতৃ স্নেহ ভাসে ;...
ধোঁয়া ঘোরে বিচিত্র্য রূপ ও ছন্দে নিদ্ আসে ---
আহা ঊষা বেলা স্বপ্ন ভেলা আরও মায়া !!
ফর্সা আকাশ কুয়াশা এখনও ধেয়ে আসেনি l
শীতের স্থবিরতা রূপের ডালি মুড়ে দেয়নি ;...
আবির দিগন্তের মিঠেল আলো শিশির স্নাত বাগান ;
ঘাস ডগায় , ধানের শীষে হিরে জ্বল জ্বল ---
তারই নিচে শিউলি- টগর - জুঁই মেলা !
দুঃখিনী নদীটির লাবণ্যে কল কল বয়ে চলা ---
কিশোর কিশোরীর বাহারী পোশাক বিচিত্র কেশ নকশা আঁকা ---
নজর কাড়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত চাকচিক্য দেখা !
গৃহস্থের ট্যাক খালি বাড়ে ঋণের বোঝা ;---
কৃষক তখনও হাসেনি , তার রাণী আশিস ঢালেনি ;---
অপরূপ রূপেও চাষী উদাসীন ; ---
শঙ্কা ও আশে দিন গুনে আলে বসে ; ---
তখনও হরিৎ ক্ষেত সোনালী হাসি হাসেনি ;---
তার ভুবন রূপের আলোয় ভাসেনি ----
বাঁচা!
সাফরিদ সেখ
বেঁচে থেকে মৃত্যুর সাথে ঘুমানোর
কিছুই কি মানে আছে?দরকার আছে?
বাঁচলে প্রাণ নিয়ে বাঁচ।মন নিয়ে।
মৃতদেহ হয়ে বেঁচে কি লাভ জীবীতের।
সব কিছু মেনে নেয়া যায় না।হায় সমাজ!
তুমি কি এমন ঠুলি পড়েছো নয়নে?
সব কিছু রঙ্গিন দেখো ।আনকা নয়।
তুমিই জাতির ভূত ও ভবিষ্যৎ।আশা।
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে যদি শুনতে পাও
আমাকে বাঁচাও।আমি বাঁচবো। বাঁচাবো
অন্তত তুমি নির্ভীক চিত্তে বলো
ভয় নেই।আছি ...আসছি..
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
লেখা আহ্বান
আমাদের পরবর্তী বিশেষ সংখ্যা
"উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা-2020"
লেখা পাঠান :- 21 oct 2020 থেকে 11 Nov 2020 এর মধ্যে
কালীপূজা সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নেই যে ধরনের লেখা পাঠাবেন 👇👇👇👇
১) হাইকু, অনুকবিতা, লিমেরিক, কবিতা
২) অনু গল্প, ছোটোগল্প, গল্প
৩) প্রবন্ধ, জীবনী, স্মৃতি কথা, চিঠি, ভ্রমন কাহিনী
৪) ইংরেজি:-
Poem, Short story, Story, Essay
• নিদির্ষ্ট কোনো শব্দসীমা নেই
• whatsaap তে টাইপ করে পাঠান
• 9593043577 এই নং তে
• লেখার উপর অবশ্যই উল্লেখ করবেন "উপকণ্ঠ কালীপূজা সংখ্যা- 2020"
পত্রিকা প্রকাশ করা হবে- 14 Nov 2020 , বিকাল 3টা (কালীপূজার দিন)
খুব সুন্দর হয়েছে । বৈচিত্র্যময় । শুভ মহাষ্টমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা
উত্তরমুছুনঅসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
মুছুনআপনাদের উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক পত্রিকা উত্তরোত্তর বৈচিত্রে ভরছে ও মান ও উন্নত হচ্ছে।
উত্তরমুছুনশুভ শারদীয়ার শুভেচ্ছা নেবেন লেখক ও পাঠক সবাই।
অতিমারীর প্রকোপ রুকতে সবাই বাইরে বেরোলে যথা সম্ভব শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখবেন,মুখ ও নাক ঢেকে মাস্ক পড়বেন ও সাবান জলে ফেনা করে হাত ধুয়ে নেবেন বা স্যানিটাইজর এ হাত ঘষে নেবেন।
নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো থাকতে সাহায্য করুন।
নমস্কারান্তে
ডা: নরেন্দ্র নাথ নস্কর
🙏
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
মুছুন