উপকণ্ঠ প্রাত্যহিক ওয়েব ম্যাগাজিন- 12/10/2020
Upokontha sahitya patrika Web Megazine- 12/10/2020
গোলাপ
বিপ্লব গোস্বামী
একটা বজ্র কীট গোলাপটাকে
কেটে টুকরো টুকরো করে দিলো।
তুব গোলাপ হারায়নি গৌরব
টুকরো পাপড়িতে পুষ্পের সৌরভ।
সেতো গোলাপ,ফুলের রাণী
ছন্দ মাখা পদ্য,নবিশের বাণী।
রাত জাগা পাখি
অনাদি মুখার্জি
আমি রাত জাগা পাখি এক,
ইচছে ডানা আছে আমার
দেখি আমি আকাশ জুড়ে রাতের তারা !
তাকে ছুঁয়ে কেটে যায় ভরে উঠে মনের ভাবনা !
কখনও জলের বারি ঝরনা হয়ে নামে ,
যাত্রা করে তার গভীরে প্রেমের মালা হয়ে !
হঠাৎ করে হারায় সেই পারি না ঠিক থাকতে,
খুঁজে বেড়ায় তখন তাকে তার ছায়া ধরতে !
তোমার পরশ নিয়ে আমি থাকি জেগে ,
মনের গভীরে তোমার ছবি এঁকে !
মিনতি গোস্বামীর দুটি কবিতা
(১)
কাজ
যে
কাজে হয়
সকলের মনে সুখ
সেই কাজে পাতবো বুক
সুখের খোঁজ করতে করতে এখন
মানুষের সুখের ঘরে দেখি পড়েছে তালাচাবি।
আপ্তবাক্য জানি সুখ দিলে সুখ পাবি
অন্যের সুখ কাড়া কর্মসূচি যখন
তখন দুঃখিত কিছু মুখ
বাড়ায় মনের অসুখ
বাড়ায় ভয়
সে।
(২)
ফেসবুক
ফেসবুক
চক্করে পড়েই
গেছে রাতের ঘুম
চোখের কোলে পড়ছে কালি
রাতদুপুরে বুকের ভেতর চলে ধুকপুক
ডাক্তারবাবু বলেন রেগে এসব ফেসবুকের ব্যামো।
টেষ্ট করলে জানবে নিতেই হবে কেমো।
চোরের মতন মন ছুকছুক
মেধার গুড়ে পড়বে বালি!
বাতিল রাতের ধুম ?
জুকুবাবুর হবেই
দুখ ।
লোকশিক্ষা
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
কে কাকে শিক্ষা দেবে? মা,বাবা ঈশ্বর বা দেবী কেউ কি এরকম কোনো ফরমান পাঠিয়েছেন কারোর কাছে?
তা যদি নাহয় তাহলে কে লোকশিক্ষা দেবে? সে নিজেই নিজের কাছে ঠিক আছে তো!?
অহংবোধ নেই তো!? প্রত্যাশা তাকে কুরেকুরে খায়না তো?
শ্রী রূপ ও শ্রী সনাতন বিখ্যাত পন্ডিত হয়েও অপরের কাছে জ্ঞানতঃ পরাজয় স্বীকার করেছিলেন।
কিন্তু তাঁদের শিষ্য শ্রী জীব গুরুদের জ্ঞান কে শিরোধার্য করে কোনও এক আস্ফালন কারীকে যুক্তি দিয়ে পরাজিত করে গুরুদের সাহচর্যে গেলে শ্রী রূপ তাঁকে তাড়িয়ে দেন-- অহংকার জন্মেছে এই অছিলায়।
পরে শ্রী সনাতন শ্রী রূপের এহেন ব্যবহারের জন্য শিষ্য শ্রী জীবের কাছে গিয়ে আবার তাকে বরণ করে বোঝাতে চাইলেন-- শ্রী জীবের শিক্ষা র অহংকার যেমন প্রকাশিত তেমনি শ্রী রূপের ক্রোধ ও সমান দোষে দুষ্ট।
অতএব লোকশিক্ষা দেবার আগে নিজের কাছে নিজেকে নতজানু হয়ে বসতে হবে, নিজেকে চেনার, জানার চেষ্টা করতে হবে।
প্রত্যাশা সমান অপরাধ ভেবে জ্ঞান ভান্ডার কে সমৃদ্ধ করতে হবে।
ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ লোকশিক্ষা দেবার জন্য কিছু করেননি, নিজের আচার আচরণ দিয়ে মানুষের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন।
স্বয়ং স্বামীজী যাঁর পদতলে ভুলুণ্ঠিত।
সে হেন মানুষ হতে হবে।
তবেই দেওয়া যাবে লোকশিক্ষা, নচেৎ ভস্মে ঘি ঢালা হবে এবং নিজের আত্মার অধোগতি হবে।
অতএব হে মানবকূল সদা সাবধান।
আমিই সেই সে
মম
মর্তকে তুই
বানিয়েছিস নরক।
গন্দা করেছিস তুই
সকল সৎ সড়ক।
আর্তনাদ করে
আজ ধরা-মাতৃ-ভূঁই।
হ্যাঁ, আমিই সেই সে প্রাণ
যে করবে সকল প্রাণের ত্রাণ।
আমার আত্মার চেষ্টা আপ্রাণ।
তা আজ আমার মনকে করেছে পাষাণ।
আমার কর্ম ছিল না আসান।
জীবনের অমূল্য সময়
দিয়েছিলাম বিসর্জন।
করেছিলাম অন্তরের সকল আশা বর্জন।
হয়েছিলাম আপন পণে নির্ভয়।
এ ভাবেই আমি করেছি আজ অর্জন
আমার প্রতিজ্ঞা রক্ষার শক্তি।
আদর্শ, বিবেক, মনুষ্যত্বের ভক্তি
আমায় এগিয়ে নিয়ে যায়
অনন্তের দিকে আপনিই, নিজে।
হৃদয় স্পন্দন আজ গায়
সেই সে বৈদিক মন্ত্র
যা ধ্বংস করেছিল রক্ত বীজে।
মস্তিষ্ক আজ ধারণ করেছে আমার
চির আত্ম বিশ্বাসের শ্রী কালী যন্ত্র।
অশেষ আশিসে ধন্য আমার দেহ তন্ত্র।
আমার তৃতীয় আঁখির দৃষ্টি
নয় কভুই থামার...
এ-ই করছে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি।
সোনার বাংলা
আব্দুল রাহাজ
জাগছে বাংলা ফুটছে বাংলা
ওই প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যের মায়া কোলে।
তার মনোরম দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ছে এই সবুজে ভরা পৃথিবীতে।
এই সবুজে রাঙানো পৃথিবীর মাঝখানে বাংলা হয়ে উঠেছে সূর্যের উজ্জ্বল রাশির মত উজ্জ্বল পিণ্ড রুপে।
এইভাবে আমাদের বাংলার পরিবেশ বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে সোনার বাংলা রূপে
যা সবার কাছে এক মহা মূল্যবান সম্পদ হিসেবে মনেপ্রাণে গেঁথে আছে আমার সোনার বাংলা।
অবদান
হামিদুল ইসলাম
হাতের কড়ি পাল্টাই
হাত ফসকে পড়ে যায় জীবন
ভূমিপুত্ররা কেঁদে আকুল
পৃথিবী এখন অনাথ
মুষ্টিযোদ্ধারা পলাতক ।।
এতোদিনের সখ্যতা
ভেঙে ভেঙে হয়ে যায় চুরমার
বৈশাখী আকাশ
ঠা ঠা রোদ
ভুলে যাই ভালোবাসা আর বিশ্বাস
।।
নদের চাঁদ ফিরে এসেছে
নৌকা বাঁধা ঘাটে
আমরা এখনো আত্মীয় পরস্পর
ইতিহাস সাক্ষী
পৃথিবীর পাঠশালায় ভর্তি হই আবার ।।
এখন আমি প্রৌঢ়ত্বে
তার জন্যে মনের মাঝে হা হুতাস
জলের জন্যে নামি একবুক জলে
যদি তার সঙ্গে সাক্ষাত হয় কোনোদিন
ভুলে যাবো না তার প্রেমের অবদান ।।
প্রাক্তন
সাফরিদ সেখ
সে এখন কি করে ?কোন ফ্ল্যাটে থাকে?
ওই ১১/৯ ফাল্গুন আবাসন কলকাতা ৯।
একটু পরেই না সতুদের বাড়ি?
তোমার সঙ্গেই ওই সেদিন চা খেয়ে এলাম।
তোমার সাথে ওর দেখা হয় কখনো?
নাকি তুমি ইচ্ছে করেই দেখা কারো?
আগের মতোই মিষ্টি আভা আছে এখন?
ছেলে বউ এক সাথে থাকে এখন?
আগের মতো রাতের বেলা ঘরে ফেরে?
নাকি সন্ধ্যা হলেই বাড়ি আসে ?
চা এর আড্ডায় বসে এখন প্রতি সন্ধ্যায়?
নাকি চা খাওয়া ভুলে গেছে?
এখন আর অফিস কামাই হয়?মাইনে কাটে?
নাকি নো cl নো ml খাতায় লাল কালি বাদ।
অফিস যেতে কিছু ভুলে যায় নিতে?
নাকি আফিসই সব কিছু?আদর্শ স্থান।
স্থবির প্রহরে
বদরুদ্দোজা শেখু
--------------------------------------------
ভোর ভোর ওঠার অভ্যাস আজকাল
বদলে' গেছে , বলা যায় বিষণ্ণ হতাশা
ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষুদ্র জীবনযাপনে। মনের প্রজাপতিগুলোর
ডানাপাখনা ছেঁটে গেছে অদৃশ্য দস্যু করোনার ত্রাসে।
তবু বিদ্রোহী মনে বেপরোয়া রোখ চড়ে---
"চলো অশরীরী দেখে আসি স্থবির পৃথিবীটাকে,
টেক্সাস প্যারিস রোম লন্ডন নয়,
অন্ততঃ নিজের শহরটাকে দেখে আসি দূর দিয়ে
সৃসিক্ষু ঝটিকা সফরে " ----
ইত্যাকার ভাবতে ভাবতে পৌঁছে গেলাম একাই
ঐতিহাসিক ব্যারাক স্কোয়ার চত্বরে---
সেখানে চৌদিক ছিল খোলা মাঠ , এখন লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা,
রেলিঙের পারে ফুলগাছ ঝাউগাছ বাহার বসেছে,
ভিতরে চৌহদ্দি জুড়ে বাঁধানো হাঁটার পথ সুচারু সুন্দর
এখানে অনেক মেলাখেলা হয় , অনুষ্ঠান হয়
যুবকযুবতী বুড়োবুড়ি জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে সকাল বিকাল,
বালক বালিকারা বেলুন ওড়ায়, ফেরিওয়ালাগুলো
খাদ্যদ্রব্য খেলনাপাতির মনোরম পসরা সাজিয়ে বসে,
বিনোদনে উৎসবে গমগম করে ।- - - -
এখন সেসব শুনশান অচেনা চত্বর , শ্বাস ফ্যালে শুধু
শিরীষ বৃক্ষের জিরাফের মতো উঁচুউঁচু গ্রীবাগুলো বিবিক্ত প্রহরে।
নিত্য ভিক্ষুকরাও দেখি প্রাণভয়ে ঢুকেছে গুহায় ।
দেখতে দেখতে এমন দৃশ্য , অস্পৃশ্য বিশ্ব
জুটলো এসে আষ্টেপৃষ্ঠে ক্লিষ্ট এবং নিঃস্ব,
শিষ্টাচারের রীতিপ্রথায় হাতকড়া প্রচ্ছন্ন
দূরত্ব বাঁচিয়ে চলার মহড়ায় আচ্ছন্ন
অধিকাংশ জনমানব টুঁড়ি পরার অভ্যাস
করতে ব্যস্ত নাকে মুখে , সুখের স্বপ্নবিন্যাস
ত্রস্ত ধ্বস্ত ভূতগ্রস্ত, আমোদ প্রমোদ বন্ধ
দ্বন্দ্ব-দ্বিধার পদক্ষেপেও সংক্রমণের গন্ধ
শুঁকছে সবাই, ধুঁকছে সবাই খাদ্যাভাবে দৈন্যে
কর্মহারা লাখো বেচারা জীবন-যুদ্ধের সৈন্যে
শ্রমিক মজুর ঝি-চাকরানি খেটে-খাওয়া নিত্য
অধিকাংশ গণসম্প্রদায়, দায়দায়িত্বের বৃত্ত
অসহায় স্থবির নুলো, ধামাকুলোর গোষ্ঠী
ঝাঁপ ফেলেছে পথের ধারেও প্রান্ত জনসমষ্টি,
সবাই ক্যামন ব্রাত্য এবং সবাই সন্দিগ্ধ ।
করোনা-গ্রাসের বিশ্ব-ত্রাসে উৎকট নিষিদ্ধ
স্বতঃস্ফূর্ত ক্রিয়াকলাপ , বিলাপের দুঃসংবাদ
ছড়াচ্ছে অপ্রতিরোধ্য , দুর্বোধ্য বরবাদ
মনে হচ্ছে জীবনযাত্রা , মাত্রাছাড়া ভাইরাস
সংক্রমণে শ্মশান-কবরে ভ'রে উঠছে শব-লাশ ।
এই অবকাশ হয়তো রক্ষা করবে দূষণাপন্ন
পরিবেশকে, জাগবে আবার প্রকৃতির লাবণ্য;
অন্যমনে করছি যখন এমন আশার ভিক্ষা --
এই করোনা দিয়ে গেল কি কোনো কিছুর শিক্ষা ?
পরিবেশের ভারসাম্য ? প্রকৃতি সংরক্ষণ ?
সেই আস্থায় চাগিয়ে উঠে বিদগ্ধ বিপন্ন মন।।
বৃষ্টি এলো
গোপাল বিশ্বাস
বৃষ্টি এলো
ঝমঝমিয়ে
আনন্দে ভিজি
বৃষ্টির ফোটায় গায়ে মেখে
সাত রঙে সাজি l
বৃষ্টি এলেই
কৃষক ভাইয়ের
মুখে হাসি ফুটে
ব্যাঙl ব্যাঙিরা খেলতে খেলতে
নালা দিয়ে ছুটে l
বৃষ্টি এলো
শ্যামলা মাঠে
সবুজ বরণ আঁখি
বৃষ্টির ছন্দেই গেয়ে ওঠে
অচেনা রঙিন পাখি l
বৃষ্টি এলো
জলে থই থই
পুকুর ডোবা নালা
নদী ভরে বান এসেছে
জুড়ায় তপ্ত জ্বালা l
বৃষ্টি এলেই
মিষ্টি হাসি
গাছ গাছালির নাচন
ছাতা মাথায় পথিক চলে
রিম ঝিম বারী বর্ষণ l
মিছিল
উমর ফারুক
দেখেছি মিছিলের মুখ
ডান হাতে অস্ত্র -
অগ্রভাগে ছিন্ন করা মাথা
ফোকাস দেশের মানুষ
অশ্রু ঝরা দুই চোখ।
সবুজ মাঠ পেরিয়ে
কালো রঙের পিচের রাস্তায়
আঁকাবাঁকা পথটা
আরও অনেক...
অনেক বেশি ঘন পুরু
দীর্ঘ একটি পশমে ঢাকা ___
কালো রঙের মাথাগুলো
আকাশ থেকে সমুদ্রের জলে লীন
সাদা কালো বৈষম্য থেকে
কেউ কেউ মিছিলের সুর
কখনো এড়াতে পারে নি!
এখন হিংসা বন্দনা
কিংবা বিক্ষোভ করে!
বিশেষ ধারাবাহিক প্রবন্ধ :
কবিতার রূপকল্প : পর্ব : ২০
|| রবীন্দ্র পরবর্তীকাল এবং আধুনিক কবিতার আন্দোলন ||
( পঞ্চম অংশ )
সৌম্য ঘোষ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
বিশুদ্ধ কবিতার আত্মমগ্ন ধারা --------------------------------------------------------------------
প্রগতি আন্দোলন দ্বারা প্রাণিত সমাজসচেতন কবিতার ধারার পাশাপাশি প্রভাবিত হয়েছিল " বিশুদ্ধ কবিতার আত্মমগ্ন ধারা" । এই ধারার কবিরা বুদ্ধদেব বসুর কলাকৈবল্যবাদকে গ্রহণ করেছিলেন । তাঁরা বুদ্ধদেব বসুকে তাঁদের 'নেতা' মেনে নিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে আছেন ---- সুনীল চন্দ্র সরকার , অশোক বিজয় রাহা , কামাক্ষী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণ কুমার সরকার, নরেশ গুহ, রমেন্দ্র কুমার আচার্য চৌধুরী, জগন্নাথ চক্রবর্তী, অরুণ ভট্টাচার্য, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আলোক সরকার প্রভৃতি।
কবি সুনীল চন্দ্র সরকার (১৯০৭-১৯৬১) মগ্ন মুগ্ধ কবি । তিনি আহ্বান করেন,
"আয় চলে এই জামতলায়
দূর থেকে দ্যাখ বাড়িটা তোর ।"
দেশ ভাগ এবং তর্জনীর উদ্বাস্তু বন্যার কথা তিনি ভুলতে পারেন না ।
"ছেড়ে গ্রাম জমি জোত
আজ এই শ্রেণী স্রোত
হয় পৃথিবীর ।"
কবি অশোক বিজয় রাহা (১৯১০--৯০)
ছিলেন 'রূপদক্ষ কবি' । তাঁর কবিতায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য সৌন্দর্য চমৎকারভাবে রূপায়িত হয়েছে । এই দেশ যেন রূপকথার দেশ, সেখানে নিসর্গ আর প্রেমের অনুভূতি মিশিয়ে তাঁর কবিতার বই "উড়োচিঠি ঝাঁক"।
কবি কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (১৯১৭--৭৬) এই সময়ের একজন সুপরিচিত কবি ছিলেন ।
"মৈনাক, সৈনিক হক
ওঠো কথা কও।
দূর করো মন্থর মন্থরা
মেদময় স্ফীত বৃদ্ধ জরা ।"
কবি বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯১৬--) আজ প্রায় বিস্মৃত । তাঁর কাব্যগ্রন্থ "আকাশিনী ও মৃন্ময়ী" ।
বিশুদ্ধ কবিতার ধারা র তিনজন খুব উল্লেখযোগ্য কবি হলেন , কবি অরুণ কুমার সরকার (১৯২২--৮০) , কবি নরেশ গুহ (১৯২৪--২০০৯),কবি রমেন্দ্রকুমার আচার্যচৌধুরী ( ১৯২২--২০০৯ ) । অরুণ কুমার সরকার মনোজ্ঞ কবিতা লিখতেন । তাঁর কবিতায় আছে জাত শিল্পীর প্রমাণ ।
"স্মৃতি থেকে তাই এনেছি দু'মুঠো
গন্ধ মদির আমনধান্য ।
ওদুটি চোখের তাৎক্ষণিকের
পাব কি পরশ যৎসামান্য ?"
আনন্দ চিত্তে বুদ্ধদেব বসুর কাব্যের রাজ্যে ভ্রমণ করেন তিনি এবং প্রার্থনা করেন, "যদি মরে যাই/ ফুল হয়ে যেন ঝরে যাই ।"
আদ্যন্ত প্রেমের কবি অরুণ কুমার লিখলেন,
"বইতে পারিনা আমি এই গুরুভার
এত প্রেম কেন দিলে এতটুকু প্রাণে।
প্রেম জাগে দু নয়নে, প্রেম জাগে ঘ্রাণে
প্রেম জাগে তৃষাতুর হৃদয় আমার ।"
কবি নরেশ গুহ বুদ্ধদেব বসুর ভাব শিষ্য। তাঁর প্রথম বই "দুরন্ত দুপুর" । এই কবি শৈলী দক্ষ ।
"আমাকে ডুবাও জলে, হাওয়ায় শুকাও,
তবু গান দাও।"
প্রেমের কবি লিখলেন,
"মাঘ শেষ হয়ে আসে
ভোর হলো হীমে নীল রাত ।
আলোর আকাশগঙ্গা ঢালে কত উল্কাপ্রপাত।
আনত ওষ্ঠের তাপ বসন্তের প্রথম হাওয়ায় ।"
কবির সংকল্প :
"মৃত্যুকে দিয়ে মৃত্যুকে হবো পার,
কবিতা আমার, কবিতা আমার ।"
আবার কখনো লেখেন :
"এক বর্ষার বৃষ্টিতে যদি মুছে যায় নাম
এত পথ হেঁটে এত জল ঘেঁটে কী তবে হলাম ?"
কবি রমেন্দ্রকুমার আচার্যচৌধুরী এই সময়ের এক বড় মাপের কবি । তাঁর চারটি কাব্যগ্রন্থ একত্রে সংকলিত হয়ে " ব্রহ্ম ও পুঁতির
মউরি " । তাঁর বিখ্যাত কবিতার বই "আরশিনগর"।
এই ধারার দুই সফল কবি জগন্নাথ চক্রবর্তী (১৯২৪-- ৯২), অরুণ ভট্টাচার্য (১৯২৫--৮৫) ।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
--------------------------------
তাঁর কবিতার প্রেরণা রাজনৈতিক মতাদর্শ নয়, আবার তিনিই বিশুদ্ধ কলাকৈবল্যবাদী কবিও নন।
তাঁর অবস্থা যেন মধ্যবর্তী । তিনি এই রোগ নয় সমাজের ব্যাখ্যাতা এবং দুঃস্থ দিবসের ভাষ্যকার ।
তিনি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ( ১৯২৪---২০১৮)
তিনি সময় কে তাঁর কবিতার দর্পণে নিজের মতন করে ধরতে সবসময় উদ্যোগী থেকেছেন। তার বামপন্থী কবিতা "এশিয়া" । পরে তিনি রাজনৈতিক সংস্রব থেকে সরে যান । "আমার ভিতরে / দলবদ্ধ হবার আকাঙ্খা নেই ।/ দলভুক্ত কবি, তুমি গজভুক্ত কপিত্থ প্রায় । "
'উলঙ্গ রাজা' তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
দীর্ঘ সময় তিনি ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। নীরেন্দ্রনাথের প্রথম কবিতার বই ‘নীল নির্জন’, প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৪ সালে। এরপর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা ‘অন্ধকার বারান্দা’, ‘নীরক্ত করবী’, ‘নক্ষত্র জয়ের জন্য’, ‘আজ সকালে’ সহ অসংখ্য কবিতার বই।
তাঁর কবিতা :
" অন্ধকার বারান্দা "
---------------------------------
"না, আমাকে তুমি শুধু আনন্দ দিয়ো না,
বরং দুঃখ দাও।
না, আমাকে সুখশয্যায় টেনে নিয়ো না,
পথের রুক্ষতাও
সইতে পারব, যদি আশা দাও দু-হাতে।
ভেবেছিল, এই দুঃখ আমার ভোলাবে
আনন্দ দিয়ে; হায়,
প্রেম শত জ্বালা, সহস্র কাঁটা গোলাপে,
কে তাতে দুঃখ পায়, ..........."
কিম্বা ,
|| অমলকান্তি ||
"............ ........ ............
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সেই অমলকান্তি–রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে
ভাবতে-ভাবতে
যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল। "
অথবা তাঁর বিখ্যাত জনপ্রিয় কবিতা :
" উলঙ্গ রাজা "
---------------------------
"......... ........ .........
যাও, তাকে যেমন করেই হোক
খুঁজে আনো।
সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে
নির্ভয়ে দাঁড়াক।
সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে গলা তুলে
জিজ্ঞাসা করুক:
রাজা, তোর কাপড় কোথায়?"
ভ্রমণ আলেখ্য - শিল্পী মিত্র হাতি
দুবছর আগে এদিনে বাংলাদেশ গেছিলাম....
দুদিনের শঙ্খচিল..
------------//-------------
ভিসার মেয়াদ শেষ হতে আর ঠিক চার দিন বাকি, হঠাৎ করেই ঠিক করে ফেললাম, তিনদিনের জন্যেই না হয় যাই বাংলাদেশে, দেখে আসি ভাইটাকে, সেই যে দেখে এলাম, তারপর সব খবর তো ফোনে। এক সেকেন্ড, ভুল বললাম, তিনদিন নয়, আসলে দুইরাত আর একটা আধবেলা, হল আড়াইদিন, হ্যা এই আড়াই দিনের জন্য গেলাম বাংলাদেশ।
গতবার যখন গেছিলাম শুধুই ছিল উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ আর কেমন দমবন্ধ করা অসোয়াস্তি, সে স্মৃতি আর আনতেই চাই না। এর আগে যতবার গেছি, ইন্ডিয়া বর্ডার পেরোলেই আমার ইতিউতি খু্ঁজে বেড়ান চোখ দুটো আচমকা থমকে যেত ভাইয়ের সহাস্য উপস্থিতিতে, কাঁধের ব্যাগটায় আলতো টানে বলত, 'দিদি, এইতো আমি'। এরপর দুজনের বকবক থামত বাড়ির উঠোনে, যদিও তার মধ্যে আধঘণ্টা অন্তর অন্তর ফোন, 'কদ্দুর?'---- আসলে সেইমত বাড়ির সবাই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে এই আর কি!! এবার বর্ডারে কেউ নেই অপেক্ষায়। মনটা কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা। যাক, সবখানি রাস্তা পেরিয়ে শেষকালে একটা সাইকেল ভ্যান করে বাড়ির কাছে আসতেই দেখি ভাই মোড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে। ভাই, আমার ছোট্ট ভাই, ও আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে, এতেই যে আমার চোখ ভরে জল, ঈশ্বর তুমি কত করুণাময়!!!
ভাই হাঁটছে, যদিও ডান পা টা টেনে টেনে তবু তো হাঁটছে। বৃদ্ধ বাবার সারা দিনের প্রহর গোণা শেষ, কী খুশি, আমায় বুকে জড়িয়ে 'আমার মা টা আ্যসে গেছে'। এমন সুখের মুহূর্তের জন্যই তো মনে হয় জীবনটা কানায় কানায় পূর্ণ। কোন কিছুর অভাব বোধ হয় না, সমস্ত ঐশ্বর্য যেন উপচে পড়ে এদিক ওদিক।
আশে পাশের সবার সাথে দেখা হচ্ছে, একজন দুজন করে আসছে, তবুও আমি যেন সুখটাকে হজম করতে পারছি না, কেবলই মনে হচ্ছে, আর মাত্র একটা দিন, তারপর ফিরতে হবে, কখন যেন কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। সকালে উঠেই চললাম পাড়ায় ঢুঁ মারতে। দেখা হল পুরোন নবীন বন্ধুর সাথে। একাকী ডিভোর্সি রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে একান্ত প্রচেষ্টায়, উদ্যমে আর নিরলস পরিশ্রমে গড়ে তুলেছে এক বিরাট মুরগির ফার্ম। তার বাড়ি গেলাম। ডাবল কুসুমওয়ালা ডিমসেদ্ধ খেলাম, আহা আমার প্রিয় খাবার। কি স্বাদ!!
তার ফার্মের ভিতর ঢুকে সমস্ত আধুনিকীকরণ ব্যবস্থা দেখে এলাম সচক্ষে। কি ঝকঝকে তকতকে, এতটুকু কটু গন্ধ নেই। মুরগির বিষ্ঠাও জমা হচ্ছে একটা ট্রে তে, একদিন পর একদিন লোক এসে নিয়ে যায়, আবার পয়সা দিয়ে যায়, এগুলো ব্যবহৃত হয় মাছের ঘেরে, মাছের পুষ্টিকর খাদ্য। রোজ এক হাজারের মত ডিম দেয় মুরগি, একটা ঘরে শুধু সারিবদ্ধ ট্রে তে রাখা ডিম। সারা দিন ই কাস্টমাররা আসছে, এরা খুচরো ক্রেতা, এ ছাড়াও একদিন অন্তর অন্তর শহর থেকে পাইকেরি ক্রেতারা আসেন। আমাদের এখানে হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে গেছে আর আশ্চর্যজনক ভাবে ওখানে প্রতি ডিমের দাম দশ থেকে পাঁচ টাকায় নেমেছে। অন্যদিকে মুরগির খাবার ও অন্যান্য অনুসঙ্গের দাম বেড়েছে বলে বন্ধুর মনটা একটু খারাপ, বিজনেস ভাল চলছে না। কিন্তু আমার বিশ্বাস এ মন্দা চিরস্থায়ী হবে না, আবার সুখের মুখ দেখবে ও। খুব ভাল লাগে যখন এমন কিছু ব্যতিক্রমী মানুষের সাক্ষাৎ পাই, বেশ কাটল।
ভাইয়ের অসুস্থতার জন্য মানত করেছিল মা কালীর মূর্ত্তি দিয়ে বাড়িতে বড় করে পুজো দেবে, যদিও সেদিনের কিছু কিছু ছবি আমার কাছে এসেছে বটে কিন্তু টাটকা গল্প শোনার মজাটাই আলাদা। শুনলাম, আশপাশের গ্রাম থেকে, হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান নির্বিশেষে অনেক মানুষ এসেছিলেন। তারা খিঁচুড়ি প্রসাদ নিয়ে গেছেন। বহু মানুষ নিমন্ত্রণ ছাড়াই এসেছেন, বলেছেন, 'রূপমের (ভাই) কল্যাণে পুজো, আবার নেমন্তন্ন লাগবে কিসির জন্যি?'--- সত্যি মনের এমন উদারতার কাছে মনটা আর্দ্র হয়ে ওঠে কিনা বলুন। সবার শুভ কামনায় তো ভাই কে ফিরে পাওয়া!!!
ফিজিওথেরাপিস্ট ছেলেটির নাম আকাশ, ও খ্রিস্টান। বেশ ঝকঝকে, হাস্যমুখ, আন্তরিক, মজার, পজেটিভ থিঙ্কিং, একদম তরুণ তুর্কি। ভাইয়ের অসুখের সময় ওই গাঁ গ্রামে কোথায় পাব ফিজিওথেরাপিস্ট, কত চাইবে, বেশি চাইলে আ্যফোর্ড করতে পারব কিনা, এমন চিন্তায় যখন কুল কিনারা হীন, দিশেহারা তখন স্বয়ং ঈশ্বর যেন একে পাঠালেন। এবারে গিয়ে দেখলাম ও যেন একদম আমাদের ঘরের ছেলে হয়ে গিয়েছে, একটু ভাল মন্দ কিছু হলেই ওকে না খাইয়ে ছাড়ে না।
স্বাধীনতার এত বছর পরেও সন্ধ্যের পর দেশ গাঁয়ে কেমন একটা গা ছমছমানি ভাব, চোরা হলেও একেবারে লুপ্ত হয়নি। ছিঁচকে চুরি চামারি, সময়কালে সেটাও ডাকাতি, এসব আজও নাশ হয়নি। নিরাপত্তার খাতিরে ভাই বৌ বাড়ির কিছু গাছ বিক্রি করে বারান্দায় গ্রিল বসিয়ে একটু পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করেছে। বয়েসে ছোট হলেও ও আমার শ্রদ্ধার পাত্রী। বড্ড যত্ন করে ভাইকে, একেবারে বাচ্চার মত। তার নিজের বাচ্চাটি যদিও জেঠু জেঠিমার কাছেই থাকে ( আমার পিসতুত দাদা বৌদি, এখনও এক হাঁড়ি, এক বাড়ি), দুই জায়ে বেশ মিলমিশ। দাদার প্রাণ হল আমার ভাইঝি, সে ও জেঠাই আর বড়মা বলতে অজ্ঞান।শাসন করারও অধিকার নেই আমার ভাই আর ভাইবৌয়ের। আসলে পাঁচটা আঙুল একত্রে একটা মুষ্ঠি তৈরী হয়, যার জোর অনেক। এই সারসত্য টা আমি দেশে গেলে শেখার চেষ্টা করি। পাড়া পড়শিরাও সুবিধা অসুবিধায় কখনও মুখ ফিরিয়ে নেয়না।
আসার দিন সকালে পাড়ার এক কাকিমার সাথে দেখা করতে গেলাম, খুব অসুস্থ, বলে আর হয়ত দেখা হবেনা। মনটা ভারী হয়ে যায়। বিসর্জনের বাজনা বেজে ওঠে, রিকশা আসে, আমিও ভিজে চোখে পিছন ফিরে ফিরে দৃশ্যমানতা কে অবলম্বন করে হাত নাড়তে নাড়তে অন্তরালে হই, মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকি, সবাই ভাল থাকুক, গোটা বাংলাদেশ ভাল থাকুক, তবে আমি ভাল থাকব। গত বার যখন ফিরছিলাম ভরা বর্ষাকাল, কেমন বৃষ্টি, কাদা,জল.... এবারে দেখি সকালের সোনালী রোদ ছেয়ে আছে পিছনে পড়ে থাকা নিকোন উঠোনে, রোদেলা হোক ওদের আগামী জীবন, ভালোবাসার উষ্ণতা ঘিরে থাকুক আমার আত্মীয় পরিজন, পাড়া প্রতিবেশীদের।
ট্রেন ছাড়তে দেরি করার জন্য বর্ডারে অনেকটা দেরী হল, বাংলাদেশ কাস্টমস থেকে বেরোনোর আগের মুহূর্তে সব অফিশিয়াল কাজ বন্ধ করে গেট আটকে দিল, জানাল প্রতিদিনের মত বৈকালিক প্যারেড হচ্ছে, অন্তত আধ ঘণ্টা খানেকের ব্যাপার। সিনেমায় যেমন দেখান হয়, ওয়াঘা বর্ডারে হয়, সেটা হচ্ছে আর আমি দেখতে পাচ্ছি না......, খুব করে রিকোয়েস্ট করাতে আ্যালাউ করল। বাংলাদেশ বর্ডারের ভিতর রাস্তার দুপাশে সুন্দর গ্যালারি করা, বিকেলে দুদেশের মানুষ টিকিট কেটে এই প্যারেড দেখতে আসেন। আমি ও অনুমতি পেয়ে টুক করে ঢুকে পড়লাম গ্যালারিতে আর একটা ঐতিহাসিক সুন্দর দৃশ্যের সাক্ষী হলাম।
সবাই ভিডিও করছে এমন দৃশ্য, আমি বাপু ওসবে নেই, আমার চর্মচক্ষে মর্মচক্ষে আমি চেখে নিতে চাই। নেট সার্চ করলেই এসব তো এখন জলভাত। যাক গে যাক, কি অপূর্ব একটা অনুষ্ঠান দেখলাম। শুধু একটাই শব্দ চোখে মুখে ঠোঁটে এগিয়ে আসে, তা হল, শৃঙ্খলা। কি শৃঙ্খলিত এই গোটা আয়োজন। এক চুল এদিক ওদিক নয়, বড়ই মনোরম। দুই দেশের দুই পতাকা দুই সেনা সসম্মানে ধীরে, অতি ধীরে নামালেন, গোটা গ্যালারি তখন সমবেত দণ্ডায়মান। রোমকূপে যেন শিহরণ!! ভারতীয় পতাকা প্রথমে তিনটি ভাঁজে ও বাংলাদেশের টি প্রথমে দুটি ভাঁজে ভাঁজ হল, এরপর দুই পতাকার দুই রশি কী সুন্দর আদরণীয় ভঙ্গীতে আবার গোটান হল। লক্ষ্য করলাম এ কাজে একপক্ষ এগিয়ে গেলেও অন্য পক্ষ ঠিক ততটুকু সময় অপেক্ষা করেন বাকি কাজটুকু সমাধার জন্য। এরপর দুদেশের সেনার হাতের মিলন, আর গ্যালারিতে করতালির ঢেউ। আহা, আমার ও হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে যে ভারত-বাংলাদেশের একত্র বসত।
ভালো লাগলো । সুন্দর আয়োজন ।
উত্তরমুছুনবেশ ভালো লাগলো । সম্পাদক ও সাহিত্য সাথীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুন